কলকাতা, 25 অগাস্ট : কথা ছিল পনেরোটি গোল করবেন ডুরান্ডে । এগারো গোল করে সোনার বুট হাতে তুললেন । কথা ছিল চ্যাম্পিয়ন হলে ডোয়েন ব্রাভোর মত ক্যালিপসোর সুরে চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন বলে নাচবেন । কার্যত দুটো লক্ষ্য পূরণ করে আনন্দে ভাসতে ভাসতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছাড়লেন মার্কাস । ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে গত মরশুমের নয়টি ম্যাচের জন্যে গোকুলাম এফসির হয়ে খেলতে এসেছিলেন । এবার দুই মরশুমের জন্য কেরালার ক্লাব দলের পক্ষে সই করেছেন । আসন্ন আই লিগে তিনি যে বাকি দলগুলোর জন্যে দুঃস্বপ্ন বয়ে আনবেন তার জোরালো পূর্বাভাস ডুরান্ড কাপের পাঁচ ম্যাচে দিয়ে রাখলেন ।
চ্যাম্পিয়ন হয়ে ড্রেসিংরুমে এক চোট নেচেছেন মার্কাস । সাংবাদিক সম্মেলনে ফের সবার অনুরোধে কোমর দোলালেন । প্রথমবার গোকুলামকে ডুরান্ড কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে হাওয়ায় ভাসছেন বলে জানালেন । আপাতত মিশন ডুরান্ড শেষ । এবার লক্ষ্য আই লিগে ভালো ফল । চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবার পাখির চোখ তা কোনও রাখঢাক না করে জানিয়ে দিলেন সোনার বুটের মালিক ।
সাফল্যের তৃপ্তি গোকুলাম কোচ ভালেরার মুখে । সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের জার্সি নিয়ে । জন্মসূত্রে আর্জেন্টিনার মানুষ হলেও গত 16বছর থাকেন স্পেনে । তাও আবার লিওনেল মেসির বার্সেলোনায় । নিজেকে মেসির পড়শি বলতে গর্ব বোধ করেন । ট্রফি জয়ের আনন্দে মানবিকতা হারাননি । সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে মোহনবাগান সমর্থক রিঙ্কু নস্করের গ্যালারি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার খবরে সমবেদনা প্রকাশ করলেন । দ্রুত আরোগ্য কামনার মধ্যে দিয়ে নিজের মানবিক দিকটা তুলে ধরলেন ।
কেরালার দ্বিতীয় ক্লাব দল হিসেবে ডুরান্ড কাপ জিতল গোকুলাম FC। ফাইনালে প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে তারা । ভালেরা বলছেন, "ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা মাথায় ছিল না । তবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে খুশি । এই সাফল্য দলকে আই লিগে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে ।"