কলকাতা, 24 অগাস্ট : ব্যক্তিগত নৈপুণ্য নয়, দলগত সংহতিতে আস্থা রেখে ডুরান্ড জয়ের স্বপ্ন গোকুলাম FC-র । শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিপক্ষ মোহনবাগান । ষোলো বার ট্রফি জয়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিপক্ষের লক্ষ্মণরেখা টপকে প্রথমবার ডুরান্ড ঘরে তোলা যে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সম্ভব নয় তা গোকুলাম কোচ স্যান্টিয়াগো ভারেলা জানেন । আর জানেন বলেই দলগত সংহতির কথা তাঁর মুখে । কিবু ভিকুনার মত তাঁর মুখে আটচল্লিশ ঘণ্টার ব্যবধানে 120 মিনিটের ম্যাচ খেলার ধকলের কথা । যা সূচির অব্যবস্থাপনার দিকে আঙুল তুলছে । তবে ফাইনালে পৌঁছে কোনও অসুবিধাকে অজুহাতের ঢাল দিয়ে আড়াল করতে চান না ।
কেরলের ক্লাব দলের আর্জেন্টিনার কোচ বলছেন, সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তাঁর দল সেরাটা নিঙড়ে দিয়েছিল । ফাইনালে একই রকম ভাবে নিজেদের উজাড় করে দিতে ছেলেরা যে তৈরি তা হেনরি কিসিয়াকাকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা করলেন ভারেলা । প্রতিপক্ষ মোহনবাগান সম্বন্ধে হোমওয়ার্ক সারা গোকুলাম থিংক ট্যাঙ্কের । সালভো চামারো ও বেইটাকে নজরে রাখার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন । শুধু এই দুই স্প্যানিশ ফুটবলার নন পুরো সবুজ মেরুন দলকে কড়া পাহারায় রাখার পরিকল্পনা । তাই অচেনা পরিবেশে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের উজাড় করার কথা কোচ এবং হেনরি কিসিয়াকার মুখে ।
গোকুলামের মার্কোস জোসেফ চলতি ডুরান্ডে আট গোল করেছেন । গোল করার ক্ষমতা বাড়তি শক্তি হলেও তাঁর ওপর নির্ভরশীল হতে নারাজ গোকুলাম । প্রথমবার কোনও ট্রফি জয়ের খুব কাছে গোকুলাম । আগেই তারা জানিয়েছে, বানভাসি কেরালার মানুষের জন্যে ডুরান্ড জিততে চায় । হেনরি কিসিয়াকার কাছে মোহনবাগান অচেনা নয় । তাঁর মতে, ফুটবলে সাফল্য সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর নির্ভর করে । সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম ডুরান্ড জয়ের স্বপ্ন গোকুলামের ।