ETV Bharat / sports

Santosh Trophy : সন্তোষ ট্রফির বাংলা দল গঠন নিয়ে অসন্তোষ, পাত্তা দিচ্ছেন না কোচ

author img

By

Published : Oct 31, 2021, 4:59 PM IST

Santosh Trophy
সন্তোষ ট্রফির বাংলা দল গঠন নিয়ে অসন্তোষ,পাত্তা দিচ্ছেন না কোচ

সন্তোষ ট্রফির 30 জনের দলে বাধ্যতামূলকভাবে অনূর্ধ্ব-21 ফুটবলার আট জন। 20 জনের দলে পাঁচজন এবং প্রথম একাদশ তিনজন অনূর্ধ্ব-21 ফুটবলার রাখতে হবে। সার্ভিসেসের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ বাংলার। মূলপর্বে জায়গা করে নিতে কঠিন লড়াই। তার আগে দল গঠনের এই বিতর্ক স্বস্তি দিচ্ছে না বাংলা শিবিরে।

কলকাতা, 31 অক্টোবর : সন্তোষ ট্রফির জন্য ঘোষিত বাংলা দল নিয়ে অসন্তোষ ময়দানে। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলার ফুটবলারদের হাতে কিটস তুলে দিয়েছেন ৷ এই অবস্থায় দল গঠনে অস্বচ্ছতা অস্বস্তি বাড়িয়েছে সুতারকিন স্ট্রিটের আইএফএ দফতরে ৷ চূড়ান্ত 20 জনকে বেছে নেওয়ার আগে সম্ভাব্য 30 জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে ৷

কিন্তু সম্ভাব্য 30 জনের মধ্যে এমন কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন, যারা নিয়মিত ফুটবল খেলেননি ৷ ক্লাব দলে থাকলেও প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি। অথচ ফুটবলার বাছতে আইএফএ অলোক মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায়দের মত প্রাক্তনদের 'স্পটার' হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, কলকাতা লিগের ম্যাচ দেখে 36 জন ফুটবলারের তালিকা জমা দিয়েছিলেন। তাহলে প্রথম দলে সুযোগ না-পাওয়া এবং ক্লাব দলে না-থাকা ফুটবলার সাম্ভাব্য 30 জায়গা পান কীভাবে ? যদিও যাবতীয় বিতর্ককে পাত্তা দিচ্ছেন না কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তাঁর মতে, নিয়মের লক্ষ্মণরেখায় থেকেই দল বাছা হয়েছে ৷

ইতিমধ্যে ইউনাইটেড স্পোর্টসের মিডফিল্ডার তারক হেমব্রমকে বাংলার শিবিরে না-ডাকা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে ৷ কলকাতা লিগে দু'বার 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ'-র পুরস্কার এবং ইমার্জিং ফুটবলারের পুরস্কার পেলেও বাংলা দলের জন্য বিবেচিত হয়নি হেমব্রমের নাম। রঞ্জন বলেন, "আপনারা একজনের কথা নিয়ে বলেন, অথচ ওর মতো পারফরম্যান্স আরও অনেকের রয়েছে ৷"

রবি দাস ডাক পেয়েছেন। বলা হচ্ছে, রবি দাস ইউনাইটেড স্পোর্টসের ফুটবলার ৷ বাস্তব সত্য হল তিনি দুই বছর আগের উয়াড়ি ক্লাবের ফুটবলার`। 2018-19 মরসুমে উয়াড়ির হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পাওয়ার পর রবি দাস আর কোনও ক্লাবে খেলার সুযোগ পাননি। কাস্টমসের গোলরক্ষক সংগ্রামজিত রায় চৌধুরী একটি ম্যাচ না-খেলেও সাম্ভাব্য 30 জনের দলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন ৷ এরিয়ানের দীপ সাহা মাত্র চারদিন অনুশীলন করেই সম্ভাব্য দলে জায়গা পেয়েছেন। অথচ রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম এবং হাওড়া স্টেডিয়ামে হওয়া বাংলা দলের অনুশীলনে ছিলেন না তিনি।

আরও পড়ুন : ফিরল এরিকসেনের স্মৃতি, হৃদযন্ত্রে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আগুয়েরো

প্রাক্তন ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা লিগের ম্যাচ দেখে 36 জন ফুটবলারের নাম দিয়েছিলাম। ফাঁকি বাজি করে তালিকা তৈরি করিনি ৷ ম্যাচে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড় বেছেছি ৷ তারপর ফুটবলারদের নেওয়ার বিষয়টি কোচের।" এখন প্রশ্ন আইএফএ নিয়োজিত স্পটারদের বেছে দেওয়া 36 জনের মধ্যে থেকে 30 জন ফুটবলারকে বেছে নিয়েছেন কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ কোচ তাঁর পছন্দের ফুটবলারকে নিতেই পারেন ৷ কিন্তু তার মানদণ্ড কী ছিল, সেটা জানা দরকার। রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "কোচের কোলের ছেলেকে নেওয়া হয়নি, চাপ ছিল না ৷ সবাই প্র্যাকটিসে পারফরম্যান্স করে দলে জায়গা পেয়েছে ৷" কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাহলে পারফরম্যান্সহীন ছেলেরা জায়গা পেল কী করে ? এই অভিযোগ পাত্তা দিচ্ছেন না কোচ ৷

নিয়মের গেরোতে অনূর্ধ্ব-21 ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে আটকে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ "কলকাতা লিগের 11 দলের মধ্যে 5 জন অনূর্ধ্ব-21 ফুটবলার রয়েছেন ৷ যাদের ঠিক বয়সের নথি রয়েছে ৷ আমাকে সম্ভাব্য 30 জনের 8 জন অনূর্ধ্ব-21 ফুটবলার আট জন। 20 জনের দলে সংখ্যাটি হবে পাঁচ ৷ এরা প্রতিভাবন হলেও অনভিজ্ঞ ৷ ফলে সেইল ও টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে ফুটবল নেওয়া হয়েছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.