নভেম্বর বিপ্লবের অনালোচিত বিষয় নিয়ে জয়দীপের 'weekend-এ সূর্যোদয়'

author img

By

Published : Sep 4, 2019, 12:38 PM IST

Updated : Sep 4, 2019, 2:17 PM IST

জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ()

নভেম্বর বিপ্লব বিশ্বের নিঃসহায় মানুষের জীবনে মৌলিক অধিকার অর্জনের যে বার্তা এনে দিয়েছিল, তা আজও অমর হয়ে রয়েছে । পরনের কাপড়, মাথার উপর ছাদ, সবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যের অধিকার, সমবায় ব্যবস্থা - সবকিছুই মানুষ পেয়েছিল সেই ঐতিহাসিক বিপ্লবের হাত ধরে । পৃথিবীর নানা প্রান্তে এই অর্জিত অধিকারের অনেক কিছু মানুষের ব্যবহারিক জীবনচর্চায় স্থান করে নিলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে এর বৈপ্লবিক অবদান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনালোচিত থেকে যায় । এই অনালোচিত বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করার প্রয়াস নিয়েই এই ছবির নির্মাণ।

কলকাতা : নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে মুক্তি পেতে চলেছে 'উইকেন্ডে সূর্যোদয়' । ছবিটির পরিচালনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ (West Bengal Democratic Writers Artists Association) । পরিচালনায় অযান্ত্রিক । নির্বাহী পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । ETV ভারত সিতারাকে ছবি সম্পর্কে জানালেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ।

ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব মানুষের জীবনে এনেছিল মুক্তির নতুন বার্তা । অভুক্ত মানুষের পেটে দু'বেলা খাবার । নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার । শ্রমিকের 8 ঘণ্টা কাজ । শিক্ষার অধিকার । বেকারত্বের অবসান । ঘাম ঝরানো ফসল কৃষকের ঘরে তোলার নিশ্চয়তা । কলকারখানায় ন্যায্য মজুরি । প্যারি কমিউনের পর সেই প্রথম দেশ চালানোর আসনে রাজা-মহারাজা বা বড় বড় শিল্প মালিকদের দল নয় । বিপুল ধনরাশির গরিমার বিপরীতে যাঁরা যুগ যুগ ধরে অবহেলিত, তাঁরাই নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ।1917 সালের রাশিয়ার সেই মহান বিপ্লবীর 100 বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত । সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আজ আর অস্তিত্ব নেই । সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাও আজ সেখানে টিকে নেই । তবু নভেম্বর বিপ্লব বিশ্বের নিঃসহায় মানুষের জীবনে মৌলিক অধিকার অর্জনের যে বার্তা এনে দিয়েছিল, তা আজও অমর হয়ে রয়েছে । পরনের কাপড়, মাথার উপর ছাদ, সবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যের অধিকার, সমবায় ব্যবস্থা - সবকিছুই মানুষ পেয়েছিল সেই ঐতিহাসিক বিপ্লবের হাত ধরে । পৃথিবীর নানা প্রান্তে এই অর্জিত অধিকারের অনেক কিছু মানুষের ব্যবহারিক জীবনচর্চায় স্থান করে নিলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে এর বৈপ্লবিক অবদান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনালোচিত থেকে যায় । এই অনালোচিত বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করার প্রয়াস নিয়েই এই ছবির নির্মাণ।

ভিডিয়োয় শুনুন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য

সমকালীন প্রেক্ষাপটে শুভ দাশগুপ্তর একটি মৌলিক গল্পের পাঁচটি প্রধান চরিত্রের হাঁপিয়ে ওঠা জীবন থেকে সাময়িক মুক্তি পাওয়ার আশা এক্ষেত্রে বড় প্রাসঙ্গিক । এক উইকেন্ডে ওরা পাড়ি দেয় শহর থেকে দূরে গ্রাম্য পরিবেশে । বুকভরা অক্সিজেন, শাল পিয়ালের বনানী আর উজান বেয়ে ধেয়ে চলা নদীর স্নিগ্ধ অবকাশ । নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় ওদের । সহজ সরল মেঠো জীবন খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করে ওরা । সেই জীবনে লড়াই আছে কিন্তু হতাশা নেই । বন্ধ্যা মাটিতে ফলনের প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োজিত এক কৃষিবিজ্ঞানের সংস্পর্শে আসে ওরা । একে একে খুলতে থাকে মনের গভীর অচলায়তনের একেকটি কপাট । সূর্যের আলো এসে পড়ে মনের কোণে । ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব গোটা দুনিয়ার মানুষের মধ্যে যে মুক্তির বার্তা এনে দিয়েছিল, তার আঁচ এসে পরে ওদের চেতনায় । ওরা কি সত্যিই খুঁজে পাবে পথ ? নিজেদের ক্ষুদ্র গণ্ডিকে অতিক্রম করতে পারবে ? শেষ পর্যন্ত ওদের জীবনে কি উত্তরণ ঘটবে ? তারই সুলুক-সন্ধানের ছবি 'Weekend এ সূর্যোদয়' ।

ছবিতে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন সেন, দেবদূত ঘোষ, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া মুখোপাধ্যায়, পামেলা খৈতান, সান্তনু, সৌভিক, কৃষ ভট্টাচার্য, প্রমূখ । ছবির কাহিনি শুভ দাশগুপ্তর । চিত্রনাট্য লিখেছেন রাজা মিত্র এবং জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন সমীর কুণ্ডু । ছবিতে ক্যামেরার কাজ করেছেন পার্থ রায়চৌধুরী এবং প্রদীপ দাস । ছবির সংগীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট । গান গেয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্র, রূপঙ্কর বাগচী, ইমন চক্রবর্তী, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, জয়ন্তী সোরেন, দুর্নিবার সাহা, জয়িতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিশা রায়, পিলু ভট্টাচার্য এবং ক্যালকাটা কেয়ার ।

Intro:পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ (West Bengal Democratic Writers Artists Association) প্রযোজনা করেছে একটি ছবির। ছবির নাম 'Weekend এ সূর্যোদয়'। নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। পরিচালনায় অযান্ত্রিক। নির্বাহী পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ছবি সম্পর্কে জানতে ETV ভারত সিতারা কথা বলে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।


Body:ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব মানুষের জীবনে এনেছিল মুক্তির নতুন বার্তা। অভুক্ত মানুষের পেটে দুবেলা খাবার। নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার। শ্রমিকের ৮ ঘণ্টা কাজ। শিক্ষার অধিকার। বেকারত্বের অবসান। ঘাম ঝরানো ফসল কৃষকের ঘরে তোলার নিশ্চয়তা। কলকারখানায় ন্যায্য মজুরি। প্যারি কমিউনের পর সেই প্রথম দেশ চালানোর আসনে রাজা-মহারাজা বা বড় বড় শিল্প মালিকদের দল নয়। বিপুল ধনরাশির গরিমার বিপরীতে যাঁরা যুগ যুগ ধরে অবহেলিত, তাঁরাই নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব। ১৯১৭ সালের রাশিয়ার সেই মহান বিপ্লবীর ১০০ বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আজ আর অস্তিত্ব নেই। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাও আজ সেখানে টিকে নেই। তবু নভেম্বর বিপ্লব বিশ্বের নিঃসহায় মানুষের জীবনে মৌলিক অধিকার অর্জনের যে বার্তা এনে দিয়েছিল, তা আজও অমর হয়ে রয়েছে। পরনের কাপড়, মাথার উপর ছাদ, সবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যের অধিকার, সমবায় ব্যবস্থা - সবকিছুই মানুষ পেয়েছিল সেই ঐতিহাসিক বিপ্লবের হাত ধরে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে এই অর্জিত অধিকার এর অনেক কিছু মানুষের ব্যবহারিক জীবনচর্চা স্থান করে নিলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে এর বৈপ্লবিক অবদান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আলোচিত থেকে যায়।

এই অনালোচিত বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করার প্রয়াস নিয়েই এই ছবির নির্মাণ। সমকালীন প্রেক্ষাপটে শ্রী শুভ দাশগুপ্তর একটি মৌলিক গল্পের পাঁচটি প্রধান চরিত্রের হাঁপিয়ে ওঠা জীবন থেকে সাময়িক মুক্তি পাওয়ার আশা এক্ষেত্রে বড় প্রাসঙ্গিক। এক উইকেন্ডে ওরা পাড়ি দেয় শহর থেকে দূরে গ্রাম্য পরিবেশে। বুকভরা অক্সিজেন, শাল পিয়ালের বনানী আর উজান বেয়ে ধেয়ে চলা নদীর স্নিগ্ধ অবকাশ। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় ওদের। সহজ সরল মিঠো জীবন খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করে ওরা। সেই জীবনে লড়াই আছে কিন্তু হতাশা নেই। বন্ধ্যা মাটিতে ফলনের প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োজিত এক কৃষিবিজ্ঞানের সংস্পর্শে আসে ওরা। একে একে খুলতে থাকে মনের গভীর অচলায়তনের একেকটি কপাট। সূর্যের আলো এসে পড়ে মনের কোণে। ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব গোটা দুনিয়ার মানুষের মধ্যে যে মুক্তির বার্তা এনে দিয়েছিল, তার আঁচ এসে পরে ওদের চেতনায়। ওরা কি সত্যিই খুঁজে পাবে পথ? নিজেদের ক্ষুদ্র গণ্ডিকে অতিক্রম করতে পারবে? শেষ পর্যন্ত ওদের জীবনে কি উত্তরণ ঘটবে? তারই সুলুক-সন্ধানের ছবি Weekend এ সূর্যোদয়।

ছবিতে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন সেন, দেবদূত ঘোষ, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া মুখোপাধ্যায়, পামেলা খৈতান, সান্তনু, সৌভিক, কৃষ ভট্টাচার্য, প্রমূখ। ছবির কাহিনি শুভ দাশগুপ্তর। চিত্রনাট্য লিখেছেন রাজা মিত্র এবং জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন সমীর কুণ্ডু। ছবিতে ক্যামেরার কাজ করেছেন পার্থ রায়চৌধুরী এবং প্রদীপ দাস। ছবির সংগীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট। গান গেয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্র, রূপঙ্কর বাগচী, ইমন চক্রবর্তী, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, জয়ন্তী সোরেন, দুর্নিবার সাহা, জয়িতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিশা রায়, পিলু ভট্টাচার্য এবং ক্যালকাটা কয়্যার।


Conclusion:ভিডিওতে দেখে নিন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য :
Last Updated :Sep 4, 2019, 2:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.