কৃষ্ণনগর, 5 সেপ্টেম্বর : দিগনগরে উদ্ধার প্রবীণের ঝুলন্ত দেহ । তাঁর হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । নিকটেই পড়ে মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই মহিলাকে প্রথমে খুন করেন সিদ্ধেশ্বর দুর্লভ (63) । এবং নিজে আত্মহত্যা করেন । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে । এইদিকে ওই মহিলার সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরের সম্পর্কের সূত্র পাচ্ছে পুলিশ ।
কৃষ্ণনগরে দিগনগর দুর্লভ পাড়ার গ্রামের বাসিন্দা সিদ্ধেশ্বর দুর্লভ । সকাল 10টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন তিনি । আর ফেরেননি । দুপুর নাগাদ তাঁর গ্রামের পাশে একটি আম বাগানে সিদ্ধেশ্বরের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা । খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থানে যান । স্থানীয়দের তরফে খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় । ঘটনাস্থানো আসে পুলিশ ।
সিদ্ধেশ্বরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । তাঁরা দেখেন, সিদ্ধেশ্বরের হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে । মাটিতেও রক্ত পড়ে রয়েছে । সেই সূত্র ধরে পাশে একটি জঙ্গলে যায় পুলিশ । রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক মহিলার দেহ । কেউ তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায় ।
সিদ্ধেশ্বর দুর্লভের স্ত্রী বলেন, "দীর্ঘদিন আমার স্বামীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই । আমার স্বামীর একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল । তাই আমি ছেড়ে চলে যাই ।"
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জঙ্গলে তাঁদের দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । ওই মহিলার সঙ্গে হয়তো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সিদ্ধেশ্বরের । যদিও ওই মহিলা পরিচয় সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি । তবে কী কারণে এমন ঘটনা, তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ।
