নয়াদিল্লি, 28 জানুয়ারি : ফের নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস ! হ্যাঁ, ‘নিওকোভ’ নামের করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করল খোদ উহানের বিজ্ঞানীমহল । তাঁরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। বহু লোকের মৃত্যু হতে পারে। একে রুখতে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেনি (Wuhan scientists alarm bells over another type of coronavirus NeoCov) । যদিও এখনই এমন কিছু ঘটছে না, আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়ার একটি বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান ।
তবে এটা কিন্তু একেবারে নতুন নয়, জানাচ্ছে চিনের উহান বিশ্ববিদ্যালয় (Wuhan University) এবং চিনের অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর ইনস্টিটউট অফ বায়োফিজিক্স (Institute of Biophysics of the Chinese Academy of Sciences) । 2012 এবং 2015, দুই সালে মধ্যপ্রাচ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এমইআরএস-কোভ-র (MERS-CoV) প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় । এর সঙ্গে যোগ রয়েছে নিওকোভ-এর, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা ।
উপরে উল্লিখিত দুই প্রতিষ্ঠানের একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়দের মধ্যে এই জাতীয় ভাইরাসের সন্ধান মেলে। নিওকোভ এবং এর নিকটাত্মীয় পিডিএফ-2180-কোভ (PDF-2180-CoV) যদি কোনওভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। উদাহরণস্বরূপ, গড়ে তিনজন সংক্রামিতের মধ্যে একজন মারা যেতে পারে। গবেষকরা বলছেন, “শুধুমাত্র একবার মিউটেশন হলেই যথেষ্ট। মানুষের কোষে ঢুকে পড়বে এই মারণ ভাইরাস।”
আরও পড়ুন : Covishield and Covaxin : এবার খোলা বাজারেও মিলবে কোভিশিল্ড- কোভ্যাক্সিন
ইটিভি ভারত এই গবেষণাপত্র খতিয়ে দেখেছে । তারই একটি অংশে লেখা হয়েছে, “এমইআরএস-কোভ সংক্রমণে মৃত্যুর হার অনেক বেশি । এছাড়া, আমাদের গবেষণা জানাচ্ছে, বর্তমান কোভিড-19 ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে মানুষকে রক্ষা করতে পারবে না।”
এই গবেষণার প্রত্যুত্তরে বৃহস্পতিবার আরেকটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অফ ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (Vector Russian State Research Centre of Virology and Biotechnology) । এই সংস্থার মতে, “চিনের গবেষকদের নিওকোভ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ভেক্টর গবেষণা কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞেরা সচেতন । এই মুহূর্তে, নতুন কোনও করোনা ভাইরাসের সক্রিয় হয়ে মানুষকে আক্রমণ করার ক্ষমতা নেই ।”
2019 থেকে চলছে কোভিড-19 মহামারি । কোভিডের উৎসও বাদুড়, এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে নতুন গবেষণা । যদিও করোনা ভাইরাস কী ভাবে এল, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি । দ্বিতীয় আরেকটি তত্ত্বের দাবি, কোনও গবেষণাগারে পরীক্ষানিরীক্ষার ফল এই ঘাতক ভাইরাস । তবে গত বছর এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে স্বয়ং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু ।