শিলিগুড়ি, 3 ফেব্রুয়ারি: ফেব্রুয়ারি মাসের তিনটে দিন গড়িয়ে গিয়েছে ৷ অথচ মাইনের দেখা নেই ৷ বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে এটা কোনও নতুন ঘটনা নয় ৷ কিন্তু যদি বলা হয় এই পরিস্থিতি কোনও বেসরকারি সংস্থার কর্মীর নয় বরং রাজ্য সরকারের কর্মীদের বিশ্বাস করাটা একটু মুশকিল ৷ অবিশ্বাস্য হলেও এখনও অ্যাকাউন্টে জানুয়ারি মাসের বেতন ঢোকেনি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীদের ৷ এমন পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট পুলিশ কর্মীরা ৷ যদিও রোষে পড়ার ভয়ে প্রকাশ্যে এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা ৷
মাস পয়লার আগেই রাজ্য জুড়ে বেতন পেয়েছেন সরকারি কর্মীরা । দার্জিলিং জেলা পুলিশে মাইনে হয়েছে 28 জানুয়ারি । এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট । এই কমিশনারেটের আওতায় থাকা একাধিক থানার কর্মীরা এখনও মাইনের মুখ দেখেননি ৷ রোষে পড়ার ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও আড়ালে আবডালে নিজেদের অসন্তোষ ব্যক্ত করছেন তারা । নিচু তলার কর্মীদের অভিযোগ, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডিসিপি হেডকোয়ার্টার অমিতাভ মাইতি বদলি হন আলিপুরদুয়ার জেলার এসপি হিসেবে । তিনিই ছিলেন ডিডিও । তাঁর পরিবর্তে দায়িত্বে আসেন অঞ্জলি সিং । এর জেরে অর্থ দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে কর্মীদের বেতনের ফাইল তৈরি করিতে গিয়েই দেরি হচ্ছে ।
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক বিজয় শংকর সিনহা এমন ঘটনাকে নজিরবিহীন অ্যাখ্যা দিয়েছেন ৷ তাঁর মন্তব্য, "ডিডিও বদলি হলেও দ্রুত অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব বুঝিয়ে এই বিড়ম্বনা এড়ানো যেত । এই ঘটনায় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করছি । বেতন বিন্যাসের পরিবর্তনের জেরে বর্ধিত বেতন দিতে গিয়ে সফটওয়্যারজনিত সমস্যায় বিলম্বের কথা বলা হলেও তা সঠিক নয় । কারণ রাজ্যের মনিটর মাসের প্রথম দিনেই বেতন পেয়েছেন ।" দায়িত্ব প্রাপ্ত নতুন ডিসিপি হেডকোয়ার্টার অঞ্জলি সিং ক্যামেরার সামনে কিছু না বলতে চাইলেও অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণেই যে বেতন হয়নি তা মেনে নিয়েছেন । তাঁর দাবি, নতুন বেতন কাঠামো সফটওয়্যারে ঢোকাতে গিয়ে দেরি হচ্ছে ৷ এর সঙ্গে বদলির কোনও সম্পর্ক নেই । আগামী 10 ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেতন দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে । যদিও নিচু তলার কর্মীদের প্রশ্ন, রোপা কার্যকর হয়েছে গোটা রাজ্যেই । তাহলে সব জায়গায় বেতন হল কীভাবে? দার্জিলিং জেলা পুলিশে মাস ঢোকার আগেই কীভাবে বেতন হল? এর উত্তর অবশ্য মেলেনি।