ETV Bharat / city

রাজ্য পুলিশ 'হিজড়া', বিতর্কিত মন্তব্য মোস্তাকের

author img

By

Published : Apr 12, 2019, 5:19 PM IST

Updated : Apr 12, 2019, 6:10 PM IST

ভোটের আগে মালদার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের অপসারণের দাবিতে অবজ়ারভারের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিলেন মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম। সেইসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে 'হিজড়া' বলেও বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

মোস্তাক আলম

মালদা, 12 এপ্রিল : তৃতীয় দফায় 23 এপ্রিল ভোট মালদার দুই লোকসভা কেন্দ্রে। তার আগে মালদার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অপসারণের দাবিতে আজ জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম অবজ়ারভারের কাছে লিখিত আবেদন জানান। আবেদনপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। জেলা পুলিশকে 'হিজড়া' বলেন। আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

নির্বাচন শুরুর আগেও জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অপসারণের দাবিতে কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। জেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে তাঁদের অপসারণ চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি নির্বাচন কমিশন। আজ ফের একই দাবিতে মালদা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই অবজ়ারভারের সঙ্গে দেখা করেন। একই ইশুতে ফের চিঠি দেন। পরে তিনি বলেন, "আজ আমরা নতুন সার্কিট হাউজ় এবং গৌড় ভবনে গেছিলাম। ওই দুই জায়গায় পুলিশ ও প্রশাসনিক অবজ়ারভার রয়েছেন। আমরা তাঁদের জানিয়েছি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলায় এই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে কী কী হয়েছে। তৃণমূলের এক মন্ত্রীর নির্দেশে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন বাম জামানাকেও ছাপিয়ে গেছিল।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, "পুলিশ সুপার যেহেতু সারদাকাণ্ডে যুক্ত তাই তাঁকে শাসকদলের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করতেই হবে। আমাদের নয়, এই জেলার তৃণমূলের বক্তব্য, তাদের সভাপতি পুলিশ সুপার আর সম্পাদক জেলাশাসক। আমরা অবজ়ারভারদের বলেছি, এদের নেতৃত্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কতজন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে? কতজন দুষ্কৃতী অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে? এই তথ্য প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমকে দিতে হবে। কিন্তু জেলাশাসক কিংবা পুলিশ সুপার সেই নির্দেশ মানছেন না। যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে লুটতরাজ চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ জেলাশাসক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ডেকে বলছেন, ভোট দিতে হবে শাসকদলকে। আর পুলিশ সুপার সব সিভিক ভলান্টিয়ারদের OC আর IC-র মাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা যেন জনগণকে বলে শাসকদলকে ভোট দেওয়ার কথা। না দিলে সবাইকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হবে।"

ভিডিয়োয় শুনুন মোস্তাক আলমের বক্তব্য

গতকাল প্রথম দফার নির্বাচন ছিল কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। তাঁর বক্তব্য, কোচবিহারে সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সামনেই ভোটে লুটতরাজ হয়েছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশ সেখানে হিজড়ার মতো দাঁড়িয়েছিল। চোখের সামনে সব কিছু ঘটতে দেখেও পুলিশ চুপচাপ বসেছিল।

প্রসঙ্গত, ভোটের আগেই কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। মোস্তাকসাহেবের প্রশ্ন, "তাঁকে যদি অপসারণ করা যায় তবে মালদার পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা যাবে না কেন? জেলাশাসককেই বা অপসারণ করা যাবে না কেন?"

Intro:মালদা, ১২ এপ্রিল : পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে 'হিজড়ে' বলে সম্বোধন করলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম৷ নির্বাচনের আগে মালদার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অপসারণের দাবিতে আজ তিনি দুই অবজারভারের কাছে লিখিত আবেদন জানান৷ তার পরেই জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে এই মন্তব্য করেন তিনি৷ তাঁর এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসন ও পুলিশ মহলে৷ Body:         উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে মালদার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অপসারণের দাবিতে এর আগে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি৷ তখনও তিনি জানিয়েছিলেন, এই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার থাকলে মালদা জেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়৷ যদিও তাঁর আবেদনে এখনও পর্যন্ত সাড়া দেয়নি নির্বাচন কমিশন৷ আজ তিনি ফের একই দাবি নিয়ে মালদা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই অবজারভারের সঙ্গে দেখা করে একই ইশ্যুতে চিঠি দেন৷ পরে তিনি বলেন, "আজ আমরা নতুন সার্কিট হাউস এবং গৌড় ভবনে গিয়েছিলাম৷ ওই দুই জায়গায় পুলিশ ও প্রশাসনিক অবজারভার রয়েছেন৷ আমরা তাঁদের জানিয়েছি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলায় এই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে কী হয়েছে সবাই জানে৷ তৃণমূলের এক মন্ত্রীর নির্দেশে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন বাম জামানাকেও ছাপিয়ে গেছে৷ পুলিশ সুপার যেহেতু সারদা কাণ্ডে যুক্ত, তাই তাঁকে শাসকদলের তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করতেই হবে৷ আমাদের নয়, এই জেলায় তৃণমূলের বক্তব্য, তাদের সভাপতি পুলিশ সুপার আর সম্পাদক জেলাশাসক৷ আমরা অবজারভারদের বলেছি, এঁদের নেতৃত্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়৷ নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কত দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে, কত দুষ্কৃতী অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার তথ্য প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমকে দিতে হবে৷ কিন্তু জেলাশাসক কিংবা পুলিশ সুপার সেই নির্দেশ মানছেন না৷ যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে লুটতরাজ চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ আজ জেলাশাসক সয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ডেকে বলছেন, ভোট দিতে হবে শাসকদলকে৷ আর পুলিশ সুপার সব সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওসি আর আইসি'র মাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা যেন লোকজনকে বলে, শাসকদলকে ভোট না দিলে সবাইকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হবে৷"Conclusion:         মোস্তাক সাহেব আজ বলেন, "অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে হবে৷ গতকাল কোচবিহারে সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সামনেই ভোটে লুটতরাজ হয়েছে৷ আর পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সেখানে হিজড়ের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ সেই দৃশ্য সবাই দেখেছে৷ চোখের সামনে সব কিছু ঘটলেও পুলিশ চুপচাপ বসে রয়েছে৷ তাদের সঙ্গে বন্দুক কী করতে রয়েছে? মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য বন্দুকের ব্যবহার তো করতে হবে৷ কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা গেলে মালদার পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা যাবে না কেন? জেলাশাসককেই বা অপসারণ করা যাবে না কেন?"
Last Updated : Apr 12, 2019, 6:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.