ETV Bharat / city

কেন্দ্রের বার্তা পেয়েই রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা, নজরদারি সোশাল মিডিয়ায়

author img

By

Published : Aug 6, 2019, 2:50 AM IST

ছবি সৌজন্য ফেসবুক

জম্মু-কাশ্মীরে 370 ধারা প্রত্যাহারের পর রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । তারপর রাজ্যজুড়ে আঁটসাট হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷

কলকাতা, 6 অগাস্ট : সংবিধানের 370 ধারা প্রত্যাহারের পরই সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এরপরই রাজ্যজুড়ে আঁটসাট করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা । বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে সীমান্তে । সতর্ক কলকাতা পুলিশও । শহরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে চালানো হচ্ছে বিশেষ নজরদারি । যেসব এলাকায় কাশ্মীরিরা থাকেন সেখানে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে ৷

গতকাল জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের 370 ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে ৷ 370 ধারার এক নম্বর উপধারার প্রয়োগ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহারের নির্দেশিকা সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ কেন্দ্রের আশঙ্কা, এর জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়াতে পারে অশান্তি । সেজন্য দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং DGP-কে পাঠানো হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা । পশ্চিমবঙ্গেও পাঠানো হয়েছে ওই নির্দেশিকা । এরপরই রাজ্যের সব পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের নবান্নের তরফে সতর্ক করা হয় । কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে যেখানে যেখানে কাশ্মীরিরা থাকেন সেখানে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখতে রাজ্যগুলিকে বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

কলকাতার বউবাজার, বড়বাজার, বেহালা, ঠাকুরপুকুর এবং বন্দর এলাকায় কাশ্মীরিরা থাকেন । মূলত ব্যবসা কিংবা পড়াশোনার জন্য আসেন তাঁরা । তাঁদের অভয় দিয়েছে পুলিশ । সেই সব এলাকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ পিকেটিং ছাড়াও চালানো হচ্ছে নজরদারি । যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে ৷ ওইসব থানা এলাকার পুলিশ অফিসাররা গিয়ে কাশ্মীরিদের নিজেদের নম্বর দিয়ে এসেছেন বলে লালবাজার সূত্রে খবর ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাশ রাজ্যসভায়

এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠীসংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে ৷ পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে কেউ কেউ ঝামেলা পাকাতে পারে বলে একাধিক সূত্রে খবর পেয়েছে লালবাজার ৷ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তরের আশঙ্কাও তেমনই । ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে গুজব । সেজন্য সাইবার সেলকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখতে রাজ্যগুলিকে বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার । বিতর্কিত পোস্ট সরাতে ইতিমধ্যে ফেসবুক, টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷ কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম বলেন, "যে কোনও অশান্তি ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে কলকাতা পুলিশ । সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে সোশাল মিডিয়াতেও ।"

এই সংক্রান্ত আরও খবর : পাঁচবছর দিন, কাশ্মীরকে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর করে তুলব : অমিত শাহ

Intro:কলকাতা, 5 অগাস্ট: জম্মু ও কাশ্মীরে 370 ধারা প্রত্যাহারের পর রাজ্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই সূত্রে ওটা রাজ্যজুড়ে আঁটোসাটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে সীমান্তে। সতর্ক কলকাতা পুলিশ। শহরের সবকটি স্পর্শকাতর এলাকায় চালানো হচ্ছে বিশেষ নজরদারি। পাশাপাশি যেসব অঞ্চলে কাশ্মীরের মানুষজন থাকেন সেখানে বাড়তি সতর্কতার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ।


Body:কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের ছেড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তৈরি হতে পারে অশান্তি। এমনই আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। সেই সূত্রে দেশের সবকটি রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং DGPকে পাঠানো হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। পশ্চিমবঙ্গেও পাঠানো হয়েছে ওই নির্দেশিকা। তার জেড়ে নবান্নের তরফে সমস্ত পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, যেসব অঞ্চলে কাশ্মীরিরা থাকেন সেখানে বাড়তি নজর দিতে হবে। কলকাতার আশপাশের জেলা গুলিতে থাকেন বহু কাশ্মীরি। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকেও কাশ্মীরেদের জন্য আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কলকাতায় মূলত বউবাজার, বড়বাজার, বেহালা, ঠাকুরপুকুর এবং বন্দর এলাকায় কাশ্মিরিদের বাস। এখানে মূলত ব্যবসা সূত্রে কিংবা পড়াশোনার জন্য আসেন কাশ্মীরিরা। তাদের অভয় দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যে কোন ঘটনা ঘটলে ১০০ ডায়ালতো আছেই। ওইসব থানা এলাকার পুলিশ অফিসাররা নিজেরা গিয়ে কাশ্মিরিদের নিজস্ব নম্বর দিয়ে এসেছেন বলে লালবাজার সূত্রের খবর। একই সঙ্গে ওই এলাকাগুলোতে করা হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পিকেটিং ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ নজরদারি রাখছে। এই শহর কাশ্মীরদের জন্য সুরক্ষিত এই বার্তাই দিতে চাইছে কলকাতা পুলিশ।



Conclusion:তবে বড় আশঙ্কার জায়গাটা অন্য। লালবাজারের চিন্তার কারণ এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের আশঙ্কা। বিভিন্ন শক্তি এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষ পাকাতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছে লালবাজার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আশঙ্কাও তেমনই। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরানো হচ্ছে নানা গুজব। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে সাইবার সেলকে। কোন ব্যক্তি যদি গুজব ছড়ানোর চেষ্টা কিংবা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেন হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুকে তবে তাকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার। ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলিতে বিতর্কিত পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে। সূত্র জানাচ্ছে, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ফেসবুক টুইটার ইত্যাদি অথরিটি সঙ্গে কথা বলেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাবেদ শামিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ যে কোনো অশান্তি ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে কলকাতা পুলিশ। সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.