কলকাতা, 17 অক্টোবর : বিজয়া দশমী, দেবী দুর্গার পিতৃগৃহ ছেড়ে কৈলাসে স্বামী গৃহে পাড়ি দেওয়ার দিন ৷ ফলে স্বভাবতই গোটা দিন জুড়েই থাকে বিষাদের সুর ৷ সেই মনখারাপের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নেয় বাঙালিরা ৷ ঠিক সেই সময় পিছিয়ে নেই তারাও । এখানে 'তারাও' বলতে সমাজের অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর জগতে যাওয়া বন্দিরা । প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের আবাসিকরা বন্দিদশা ভুলে মেতে উঠল বিজয়া দশমী পালনে ৷ তবে সংশোধনাগারের যাবতীয় সরকারি আইন কানুন মেনে ও সরকারি বিধিনিষেধ পালনের মাধ্যমে ।
আরও পড়ুন : Babul Supriyo : মঙ্গলবার থেকে আর আসানসোলের বিজেপি সাংসদ নন, ইস্তফা দিচ্ছেন বাবুল
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, "একেবারে সংশোধনাগারের আইন মেনে আমরাই প্রত্যকেটি সেলে যাচ্ছি, বন্দি বা আবাসিকরা আমাদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন । আমরাও তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । এই ভাবেই ভালবাসার আদান-প্রদান হচ্ছে ৷ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি তাদের থেকে জেনে নেওয়া হচ্ছে, সংশোধনাগারে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথাও ।"
অনেকেই পাল্টা জানতে চেয়েছেন, "আমার সাজা আর কত দিন স্যার?" "বাড়ির লোক কি ফোন করেছিল?" "আমার ছেলে মেয়ে কি একবার আসতে পারে দেখা করতে স্যার?" কিছু উত্তর দেওয়া হচ্ছে, আবার কিছু প্রশ্নের উত্তর আইনি ঝামেলা এড়ানোর জন্য সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ এভাবেই পালিত হচ্ছে সংশোধনাগারের বিজয়া । তবে এই সংশোধনাগারেই বন্দি দশা কাটাচ্ছে একাধিক ভয়ানক আসামী । তাদের মধ্যে বাছাই করা আবাসিকদের সাথেই পালন হচ্ছে এই দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান । যদিও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে মিষ্টি মুখের প্রথা প্রচলিত থাকলেও তা সংশোধনাগারের জন্য লাগু নয় ।
আরও পড়ুন : 82 Mann Ki Baat : মন কি বাতের দিন বদল করে টুইট প্রধানমন্ত্রীর
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্যের সংশোধনাগারের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানান, "প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে মোট 2100 বন্দি । তারা একদিকে যেমন অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর পথে পা রাখতে চাইছে । ঠিক সেই ভাবেই বন্দি অবস্থায় থেকেই হাতের কাজ শিখছে । যাতে বাইরে বেড়িয়ে জীবনের বাকি দিনগুলো ভাল ভাবে কাটাতে পারে । এর আগে অতিমারিতে প্রায় 50 এর বেশি বন্দিকে (মহিলা-পুরুষ) প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় ।