ETV Bharat / city

পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হোক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি JUTA-র

author img

By

Published : Sep 3, 2020, 6:36 AM IST

universities be given the freedom to fix the date of examination
পরীক্ষার দিন

22 অক্টোবর থেকে দূর্গা পুজো শুরু হয়ে যাবে। ফলে ফলাফল প্রকাশে দেরি হবে৷ তাতে অনেক পড়ুয়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ হারাবেন। এই অবস্থায় পরীক্ষার দিন নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানাল JUTA৷

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: গত 31 সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে 1 থেকে 18 অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত বর্ষ ও সিমেস্টার পরীক্ষা নিতে এবং 31 অক্টোবরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে বলেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিলেও 22 অক্টোবর থেকে দূর্গা পুজো শুরু হয়ে যাবে। ফলে ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়ে যাবে এবং তাতে অনেক পড়ুয়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ হারাবেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হোক এই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন JUTA।

JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "আমাদের অনেক পড়ুয়া IIT, অন্য প্রতিষ্ঠান বা বাইরে গিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। অনেকে চাকরিও পেয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই মার্কশিটটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজন। 18 অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হলেও 22 তারিখ থেকে পুজো। ফলে 31 অক্টোবরের মধ্যে রেজাল্ট আর বের হবে না, নভেম্বর হয়ে যাবে। সুতরাং, আমরা বলার চেষ্টা করছি যে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোনমির উপরেই ছেড়ে দেওয়া হোক। কে কবে পরীক্ষা নেবে সেটার সিদ্ধান্ত তাঁরা নিক। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোটা ব্যাপারটাকে গুটিয়ে নিতে চেষ্টা করব। এটাই বলেছি।"

এর আগে রাজ্যের পরামর্শ মেনে 80-20 ফর্মুলায় চূড়ান্ত সিমেস্টারের পড়ুয়াদের মূল্যায়ন সম্পূর্ণ করে ফেলেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মূল্যায়ন ইনভ্যালিড হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে JUTA-র চিঠিতে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়ারা অসম্ভব মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ নিয়ে। যদি ফলাফল প্রকাশে আরও দেরি হয় তাহলে তাঁদের অনেকেই দেশে এবং দেশের বাইরে যেখানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন এবং অনেকে যে চাকরির সুযোগ পেয়েছেন তা হারাতে পারেন। তাই চূড়ান্ত বর্ষ ও সেমিস্টারের পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের 29 এপ্রিলের গাইডলাইন মেনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়নের প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর 27 জুন রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তর 80-20 ফর্মুলার প্রস্তাব দিয়ে একটি অ্যাডভাইজারি জারি করে। তার কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়নের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের 28 অগাস্টের নির্দেশের পর উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পরামর্শ মেনে তৈরি ফলাফল অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছে। যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে আগের পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে দেওয়া হত তাহলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রকাশিত ফলাফল ভ্যালিড থাকত।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.