কলকাতা, 16 জুন: কলকাতা পৌরনিগম এবার অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় ল্যাবরেটরি তৈরির পরিকল্পনা নিল। কোরোনা প্রতিরোধে শহরের কোন এলাকায় কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা নির্ধারণ করতেই ল্যাবরেটরি তৈরির পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পৌরনিগম। শহরের যত বেশি কোরোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে ততই সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে। সে কথা মাথায় রেখেই ল্যাবরেটরি নির্মাণের নকশা তৈরি করা হয়েছে। 58 নম্বর ওয়ার্ডের চম্পামনি মাতৃসদন হাসপাতালে ও বোড়াল TB হাসপাতালে ল্যাবরেটরি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান, পৌরনিগমের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য দুটি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা পৌরনিগমের নিজস্ব জায়গাতেই ল্যাবরটেরি তৈরির ভাবনা রয়েছে। ল্যাবরেটরি তৈরি হয়ে গেলে শহরে মানুষের কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা জানা যাবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পৌরনিগমের ল্যাব অ্যাডভাইসর রাজ্যের ল্যাব অ্যাডভাইজ়রের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ল্যাবরেটরিটি তৈরি হয়ে যাবে। ICMR অনুমতি দিলে আগামী দিনে এখানেই অ্যান্টিবডি নিয়ে পরীক্ষনিরীক্ষা করা যাবে।
এদিকে, কলকাতাজুড়ে অ্যান্টিবডির খোঁজে যে রক্তপরীক্ষা চলছিল তা আজই শেষ হল। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর ও ICMR নির্দেশে শহরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তার খোঁজে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছিল কলকাতা পৌরনিগম। কোরোনা সংক্রমিত এলাকাগুলি থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে যেমন, তেমনই যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণ ঘটেনি সেই সব এলাকা থেকেও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে পৌরনিগম। আপাতত সমস্ত নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ICMR-এ। কিছুদিনের মধ্যেই রিপোর্ট আসবে৷
অতীন ঘোষ বলেন, "এই রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহরের কোন এলাকায় কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা জানা যাবে৷ তার উপর নির্ভর করবে ভাইরাস প্রতিরোধ। রিপোর্ট দেখে নতুন করে কোরোনা প্রতিরোধে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে।"
এছাড়াও কলকাতা পৌরনিগমের যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বেশি ঘটছে সেগুলোর উপর বিশেষ নজরদারি শুরু হল এবার। আগামীকাল ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই এলাকাগুলির পৌরচিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হবে প্রশাসকদের। এলাকাগুলিতে কাজ করতে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা আলোচনা হবে।