ETV Bharat / city

মৃতদেহ ফেলে রাখা যাবে না, কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পৌরনিগমের

author img

By

Published : Jul 31, 2020, 3:44 AM IST

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল বৈঠক করেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা ।

KMC meeting on covid situation
ফিরহাদ

কলকাতা, 31 জুলাই: কোরোনা পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে বারবার মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার অভিযোগ আসছে । কোথাও অ্যাম্বুলেন্সের অভাব আবার কখনও শববাহী গাড়ি মিলছে না । অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক পাওয়া না যাওয়ায় সার্টিফিকেট মিলছে না । দাহ করা যাচ্ছে না দেহ । কোথাও 10 ঘণ্টা তো কোথাও 16 ঘণ্টা ধরে দেহ পড়ে থাকার ঘটনা ঘটেছে ৷ একধিকবার এমন ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসল কলকাতা পৌরনিগম । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গতকাল কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা বৈঠক করেন । প্রতিটি বোরোর কো-অর্ডিনেটর ও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গেও ভিডিয়ো কনফারেন্স হয় ৷ নিজের নিজের এলাকায় নজরদারি চালাতে কো-অর্ডিনেটর ও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয় । রোগীদের খবর রাখার কথাও বলা হয়েছে । কোনওভাবেই যাতে মৃতদেহ পড়ে না থাকে তাও দেখতে হবে ৷

বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণ বেশি ৷ বিশেষ করে বাইপাস-পাটুলি-মুকুন্দপুর এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ।"

পৌরনিগমের বৈঠকে কড়া নির্দেশ মুখ্য প্রশাসক ও স্বরাষ্ট্রসচিবের ৷

তাঁর কথায়, "বাইপাস-পাটুলি-মুকুন্দপুর-আনন্দপুর এলাকায় একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে । বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকেই এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে । সেই কারণে এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা হবে । প্রয়োজনে বাজারঘাটও বন্ধ করা হতে পারে । এই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে ৷ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ধাপে ধাপে নেওয়া হবে ৷"

আজ 16টি বোরোর কো-অর্ডিনেটর (চেয়ারম্যান) ও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের (কাউন্সিলর) নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মুখ্য প্রশাসক ও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম । সেখানে বোরো চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের আরও বেশি করে তৎপর হতে বলা হয়েছে । কোথাও মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দেন ফিরহাদ হাকিম। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ৷

বৈঠকের শেষে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "প্রত্যেক বোরো কো-অর্ডিনেটর ও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের নিজের নিজের এলাকায় নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কোন বাড়িতে কোন মুমূর্ষ রোগী রয়েছে, কোন বাড়িতে কোরোনা রোগী মারা গেছে সে খবর রাখতে হবে ।" প্রয়োজনে স্থানীয় থানার সাহায্য নিতে হবে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের ।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, "রোগী মারা গেছে কিন্তু চিকিৎসকের সার্টিফিকেটের অভাবে দেহ দাহ করা যাচ্ছে না, এরকম পরিস্থিতি হলে তবে মুখ্য প্রশাসক অথবা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষকে জানতে হবে । প্রথমে চিকিৎসকের সার্টিফিকেটের ব্যবস্থার চেষ্টা করা হবে । তা না হলে মেডিকেল কলেজ অথবা অন্য কোনও সরকারি হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ পোস্টমর্টেম করে সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ৷ কিন্তু, দেহ ফেলে রাখা যাবে না । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.