হায়দ্রাবাদ, 7 মার্চ: শেষ হতে চলেছে আরও একটি অর্থবর্ষ। শেষ হতে চলা বছরটা কেমন ছিল তা জেনে রাখা দরকার। কোন সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছিল, কোনটার ক্ষেত্রে অকারণে দেরি করেছিলেন- এগুলি আগে থেকে জেনে রাখলে পরের বছর সমস্যা হবে না। এক ভুল দ্বিতীয়বার করলে তাতে সমস্যা বাড়বে। তাছাড়া লেনদেন সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝলে কর হিসেব করতেও সুবিধা হবে । তাই এই অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই নিজের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে রাখুন। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টাকেই বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন (Know Your Annual Information Statement) বলে থাকেন।
তবে এই কাজ আপনাকে একা করতে হবে না। আলাদা করে টাকা খরচ করে কোনও বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে না গেলেও চলবে। শুধু একবার যেতে হবে আয়কর দফতরের নির্দিষ্ট পোর্টালে। সেখানে মাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট তথ্য দিলেই আপনার লেনদেন থেকে শুরু করে সমস্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ থাকবে ।
শুধু তাই নয় আপনার মোট রোজগারের ঠিক কতটা বেতন থেকে এসেছে সেটাও জানতে পারবেন । জানতে পারবেন আপনার দেয় কর থেকে শুরু করে টিডিএসের পরিমাণ। পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্প থেকে আপনার কী পরিমাণ রোজগার হয়েছে সেটাও জানতে পারবেন । পলিসি থেকে প্রাপ্ত অর্থ সম্পর্কেও জানা যাবে । সেখান থেকে হওয়া রোজগার থেকে শুরু করে বোনাস-সহ সমস্ত তথ্যই এই মুহূর্তে আপনার জানা হয়ে যাবে ।
আয়কর দফতরের নিজস্ব পোর্টালে গিয়ে আপনাকে প্রথমে সার্ভিস অপশনে যেতে হবে । সেখানে AIS খুঁজে বের করতে হবে। সেটি ক্লিক করে ভেতরে ঢুকে এক এক করে আপনার নিজস্ব সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। সেটা হয়ে গেলে পোর্টাল আপনার প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হবে । এবার এক এক করে সমস্ত তথ্য মিলিয়ে দেখলেই কেল্লা ফতে । এই প্রতিবেদন তৈরি করে রাখলে কর দেওয়া নিয়ে চাপ তৈরি হবে না । পাশাপাশি আগামী বছর কীভাবে খরচ করবেন এবং কীভাবে বিনিয়োগ করবেন সেটাও সহজে ঠিক করতে পারবেন ।