ETV Bharat / bharat

Supreme Court: রাজ্যে-রাজ্যে সরকার ও রাজ্যপালের সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 6, 2023, 3:26 PM IST

Supreme Court
Supreme Court

CJI on Punjab Govt-Governor Row: পঞ্জাবের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই রাজ্যের সরকার ৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে তারা ৷ এই নিয়ে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যে রাজ্যে সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৷ এই নিয়ে লিখেছেন ইটিভি ভারত-এর সুমিত সাক্সেনা ৷

নয়াদিল্লি, 6 নভেম্বর: বিভিন্ন সময় দেশের একাধিক রাজ্যের সরকার ও সেই রাজ্য়ের রাজ্যপালের মধ্যে যে বিবাদের ছবি সামনে আসছে, তা নিয়ে সোমবার উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের মতে এই ধরনের বিবাদ এড়িয়ে চলার জন্য দু’পক্ষেরই উচিত গভীরে গিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা ৷

পঞ্জাব সরকারের দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই মন্তব্য করেছে ৷ ওই মামলায় পঞ্জাব সরকার অভিযোগ করেছে যে বিধানসভায় পাশ করা বিলে রাজ্যপাল সম্মতি না দিয়ে ফেলে রাখছে ৷ এই নিয়ে পঞ্জাবের রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করেছে, তা আগামী শুক্রবারের জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত ৷

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে এ দিন এই মামলার শুনানি হয় ৷ সেখানে বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, বাজেট অধিবেশন আয়োজন করতে কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে হবে ? এটা তো রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ৷

পঞ্জাব সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী তথা রাজ্য়সভায় কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি ৷ তিনি আদালতে জানান, অধ্যক্ষ শুধু পুনরায় বিধানসভার অধিবেশন ডাকেন ৷ সেখানে সাতটি বিল পাশ করানো হয় ৷ কিন্তু রাজ্যপাল বলছেন যে অধ্যক্ষ নতুন করে অধিবেশন ডাকতে পারেন না ৷ সেই কারণে তিনি বিলে সই করছেন না ৷ রাজ্যপাল যে বিলগুলি আটকে রেখেছেন, তার মধ্যে শিক্ষা ও আর্থিক বিল রয়েছে ৷ তাই পুরো বিষয়টিকে আদালতের বিবেচনা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন ৷ আদালতের কাছেও তিনি সেই আরজি জানান ৷

যে বেঞ্চে এ দিন শুনানি হয়, সেখানে দেশের প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্র ৷ তাঁরা সিংভির কাছে জানতে চান, আপনি কীভাবে জানলেন যে রাজ্যপাল সম্মতি দিচ্ছেন না, কারণ এই বিলগুলি স্থগিত হয়েছে ?

তখন সিংভি উল্লেখ করেন, জুন মাসে চারটে বিল পাঠানো হয়েছিল ৷ এর পর বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যপাল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে চিঠি লেখেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী সেই চিঠির জবাব দেন ৷ কিন্তু রাজ্যপাল ফের একই আপত্তি তোলেন ৷ কিন্তু সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান যে পঞ্জাবের রাজ্যপাল বনওয়ারি লাল পুরোহিত এই নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন ৷ তিনি রাজ্যপালের হয়ে এ দিন আদালতে সওয়াল করেন ৷

বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে এই ধরনের ঘটনা অন্য রাজ্যেও ঘটেছে ৷ তাই বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন করা হয়, কেন দলগুলিকে সুপ্রিম কোর্টে আসতে হবে ? বেঞ্চকে তেলেঙ্গানার বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা হয় ৷ জানানো হয়, ওই রাজ্যও আদালতে এসেছিল এবং তারপর রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন যে বিলগুলি পাশ করা হবে ।

প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন যে মার্চে বিধানসভা তলব করা হয়েছিল ৷ তার পর স্থগিত করে দেওয়া হয় ৷ জুন মাসে অধ্যক্ষ আবার অধিবেশন ডাকেন ৷ ছ’মাসের মধ্য়ে অধিবেশন ডাকতে হবেই, এই বিষয়টি কি সাংবিধানিক নিয়ম, তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি ৷

সিনিয়র আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল বেঞ্চের কাছে উল্লেখ করেন যে কেরালা সরকার তিনটি বিল পাস করেছে ৷ রাজ্যপাল দু’বছর ধরে সেই তিনটি বিলে সম্মতি জানাননি ৷ এই বিষয়টি পঞ্জাবের মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে কি না, তিনি জানতে চান ৷ তা নিয়ে প্রধান বিচারপতি জানান, রুটিন কোর্সে এসব বিষয় যত দ্রুত সম্ভব তালিকাভুক্ত করা হয় ।

আদালত জানিয়েছে, পঞ্জাব সরকারের অভিযোগ করেছে যে সাতটি বিল পাশ করা হয় ৷ সেখানে আর্থিক বিলও ছিল ৷ সংবিধানের অনুচ্ছেদ 200-কে অগ্রাহ্য করে এই বিল আটকে রাখা হয়েছে ৷ দু’টি বিল নিয়ে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করেছেন ৷ যদিও তুষার মেহতা আদালতে জানিয়েছেন যে রাজ্যপাল যথাযথ পদক্ষেপ করেছেন ৷ এই বিষয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে ৷ সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ৷

আরও পড়ুন: আটকে রেখেছেন বিল ! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরল সরকার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.