নয়াদিল্লি, 16 এপ্রিল: দৈনিক হার কিছুটা কমলেও হরেদরে 10 হাজারের উপরেই দেশের কোভিড সংক্রমণ ৷ গত 24 ঘণ্টায় নতুন করে দেশে 10 হাজার 93 জন নতুন করে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যার জেরে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 57 হাজার 542 ৷ রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা বুলেটিনে এই তথ্যই সামনে এসেছে ৷
প্রসঙ্গত একদিন আগেই দেশে কোভিডের সক্রিয় সংখ্যা ছিল 10 হাজার 753টি ৷ কেন্দ্রের নয়া বুলেটিন অনুযায়ী, এখন দেশে অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে হয়েছে প্রায় 58 হাজারের কাছাকাছি ৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, গত একদিনে কোভিড সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন ছয় হাজার 248 জন ৷ সেই সঙ্গে, গত 24 ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যু 23 জনের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কোভিড কেসের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় সাড়ে 4 কোটি ৷ সক্রিয় কেসগুলি এখন মোট সংক্রমণের 0.13 শতাংশ এবং কোভিড-19 সুস্থ হওয়ার হার ছিল 98.68 শতাংশ। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন দেখে সাধারণ মানুষের কার্যত চোখ কপালে উঠেছে ৷ ওইদিন দিল্লিতে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের পরিসংখ্যান ছিল 31.9 শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যা গত এক বছরে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ পাশাপাশি, এদিন সকাল 8টায় জারি করা কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে তিনজন, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রে দু'জন, হরিয়ানায় একজন, ওড়িশা, তামিলনাড়ু এবং উত্তরাখণ্ড থেকে একজন এবং কেরালায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে ৷
সেই সঙ্গে, গত 24 ঘণ্টায় নতুন করে দেশে 807 জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর ৷ সরকার জানিয়েছে, দেশে দৈনিক সুস্থতার হার 5.61 শতাংশ এবং সাপ্তাহিক সুস্থতার হার 4.78 শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার 1.19 শতাংশ বলে জানিয়েছে সরকার। মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের অধীনে এ পর্যন্ত দেশে 220 কোটি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি এখন সুস্থতার হার 98 শতাংশ।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের জেরে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 5 দিনের ছুটি ঘোষণা মমতার
কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণ হিসাবে, বিশেষজ্ঞরা মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন ৷ দেশে ক্রমাগত ঊর্ধ্বগামী কোভিড সংক্রমণের মধ্যেও সাধারণ মানুষ উদাসীন ৷ মাস্কের ব্যবহার প্রায় উঠে গিয়েছে বলেই আরও বাড়ছে কোভিড দাবি বিশেষজ্ঞদের ৷ পাশাপাশি নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের কারণেও সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা ৷