পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Chandan Mondal Arrest Reaction: 'অযোগ্যদের সকলের চাকরি গেলে গ্রামে হাহাকার পড়ে যাবে !' বলছেন চন্দনের পড়শিরা

By

Published : Feb 18, 2023, 7:39 PM IST

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চন্দন মণ্ডল ওরফে (ইদানীংকালে বহু চর্চিত) 'সৎ রঞ্জন' ৷ এই ঘটনার পর কী বলছেন তাঁর এলাকার বাসিন্দারা (Local People Reaction on Chandan Mondal Arrest) ?

Local People Reaction on Chandan Mondal Arrest due to Bengal Recruitment Scam
চন্দন মণ্ডলের বাড়ি যেন ছোট একটি প্রাসাদ

মুখ খুলছেন চন্দনের পড়শিরা

বাগদা, 18 ফেব্রুয়ারি:চন্দন মণ্ডল ওরফে ইদানিংকালে বহু চর্চিত 'সৎ রঞ্জন' প্রসঙ্গে বরাবরই চুপ থেকেছেন উত্তর 24 পরগনার বাগদার মামাভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দারা ৷ আসলে বরাবরই রহস্যে মোড়া ছিলেন চন্দন ৷ তবে, সিবিআইয়ের হাতে তাঁর গ্রেফতার হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা (Local People Reaction on Chandan Mondal Arrest) ৷ তাঁরা বলছেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এলাকার ছেলেমেয়েদের সরকারি চাকরি পাইয়ে দিতেন চন্দন ৷ তবে, তাঁর দাপট শুধু নিজের এলাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, চন্দনের জাল নাকি ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যজুড়ে ! অন্তত এমনটাই দাবি করছেন তাঁর প্রতিবেশীরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার তদন্ত এবং আদালতের হস্তক্ষেপের জেরে যদি একবার অযোগ্যদের সকলের চাকরি যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে বাগদার এই এলাকায় হাহাকার পড়ে যাবে ! তার থেকেও বড় কথা, চন্দনের সঙ্গে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের এক সদস্যেরও যোগাযোগ ছিল ! স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন !

এই বাগদারই বিধায়ক ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাস ৷ তিনিই প্রথম 'সৎ রঞ্জন'-এর কথা প্রকাশ্যে আনেন ৷ তারপর এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লাগাতার খবর সম্প্রচার হয়েছে ৷ অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েছেন সেই 'সৎ রঞ্জন' অর্থাৎ চন্দন মণ্ডল ৷ এই ঘটনার পর চিন্তা বেড়েছে মামাভাগ্নে গ্রামের বহু বাসিন্দার ৷ কারণ, এখানকার বহু ছেলেমেয়েই বেআইনি পথে সরকারি চাকরি আদায় করেছেন বলে অভিযোগ ৷ মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁদের চাকরি পাইয়ে দিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি তুলেছেন চন্দন ৷

আরও পড়ুন:চন্দনের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল পার্থ-প্রসন্নদের, দাবি সিবিআইয়ের

অমলকৃষ্ণ মণ্ডল নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "আমাদের এখানকার বহু মানুষ চন্দনের কাছে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ৷ এক-একটি চাকরির জন্য 5 লক্ষ থেকে 12 লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতেন চন্দন ৷ অনেক জেলা থেকে লোকজন আসতেন ৷ চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে লাইন লেগে যেত ৷ এর মধ্যেই এলাকার সাত-আটজনের গ্রুপ ডি থেকে চাকরি চলে গিয়েছে ৷ এইভাবে চাকরি গেলে আগামী দিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হবে ৷ চারিদিকে হাহাকার পড়ে যাবে ! চন্দনের হয়ে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁরাও আজ ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন ৷ এখন তাঁদের কাছে বাইরে থেকে লোকজন আসছেন ৷ তাঁরা তাঁদের টাকা ফেরত চাইছেন ৷"

রমেশচন্দ্র মণ্ডল নামে আর এক ব্যাক্তি বলেন, "2011-12 সাল থেকে চন্দন চাকরি দেওয়ার কাজ করছেন ৷ শুধু এই এলাকায় নয়, মেদিনীপুর থেকে দিনাজপুর, সব জায়গায় বহু ছেলেমেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিতেন চন্দন ৷ প্রথম দিকে চাকরি পিছু 2-3 লক্ষ টাকা করে নিতেন ৷ পরে দর বেড়ে যায় ! শিক্ষা দফতরের আওতাধীন সর্বস্তরে চাকরি পাইয়ে দিতেন তিনি ৷ এমনকী, টাকার বিনিময়ে পছন্দ মতো স্কুলে বদলিও করে দিতেন ৷" এই রমেশচন্দ্রই দাবি করেন, "চন্দনের কাছে অনেক লোকজন আসতেন ৷ শুনেছি কার্তিক নাকি আসতেন ৷ মমতার ভাই না দাদা জানি না ৷ আমি দেখিনি ৷ তবে শুনেছি !" প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল চন্দনের ? তাঁর কথাই কি এখানে বলা হচ্ছে ? এই প্রশ্নের কোনও নির্দিষ্ট জবাব এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details