পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

BJP workers blame MPs: জেলায় বিজেপির খারাপ ফলের জন্য দায়ী সাংসদ ও জেলা সভাপতি, ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা

By

Published : Jul 15, 2023, 10:37 PM IST

রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি মূলত শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণেই বিজেপির ফল মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ-বিধায়কদের পারফরম্যান্সে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার জেরে চাপে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ।

Etv Bharat
সাংসদ ও জেলা সভাপতি, ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা

বর্ধমান, 15 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে বিজেপির কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। বিশেষ করে গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে ফল যে খারাপ হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ পঞ্চায়েতের ফলের নিরিখে বেশ কিছু জায়গায় হেরে গিয়েছেন বা পিছিয়ে পড়েছেন সাংসদ-বিধায়করা ৷ আর এই ফলের জন্য সাংসদ-বিধায়কদেরই দায়ী করেছেন বিজেপির জেলা স্তরের নেতা-কর্মীরা ৷

রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি মূলত শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণেই বিজেপির ফল মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ-বিধায়কদের পারফরম্যান্সে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার জেরে চাপে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় নাম রয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এস এস আলুওহলিয়ারও ৷ যদিও রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে।

সামগ্রিক ফলাফলে সিপিএম-বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বিজেপির একাংশের দাবি বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক সভাপতি অভিজিৎ তা ও বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার সাংসদ এস এস আলুওহলিয়ার কারণেই এত বাজে ফল হয়েছে জেলাতে। যার বিরুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। পোস্টারে লেখা ছিল 'এস এস আলুওহলিয়া ও অভিজিৎ তা জুটি হটাও'। সোশাল মিডিয়াতেও বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের এই জুটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় 215টি পঞ্চায়েতের চার হাজার 10টি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল এক হাজার 839টি আসনে। সেখানে তারা জিতেছে 198টি আসনে।

পঞ্চায়েত সমিতির 640টি আসনের মধ্যে বিজেপি 387 আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, জয় পেয়েছে 15টি আসনে। অন্যদিকে, সিপিএম জয় পেয়েছে 11টি আসনে। জেলা পরিষদের 66টি আসনের মধ্যে বিজেপি ও সিপিএম একটিও আসনে জিততে পারেনি। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওহলিয়াকে শুধুমাত্র রেলের ও বিজেপির কিছু অনুষ্ঠানে দেখতে পাওয়া যায়। সারা বছর তাঁর কোনও দেখা মেলে না বলেও দাবি বিজেপি কর্মীদের। উলটে বিজেপির জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁর দহরম মহরম থাকায় বেশ কিছু বিজেপি নেতা-কর্মীদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে দলীয় কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করেছিল পঞ্চায়েত ভোটে সেই আসনগুলিতেও ফল রীতিমতো খারাপ হয়েছে। অভিযোগ জেলা নেতৃত্ব নিজেদের ইচ্ছেমতো নিজেদের পছন্দের প্রার্থী ওই সব পঞ্চায়েতে প্রার্থী করেছিল। সেই কারণে মানুষ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। কর্মীদের অভিযোগ, সংগঠনকে মজবুত করার কথা সেখানে তারা দলের মধ্যেই বিভেদ তৈরি করে দিয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে লোকসভাতেও বিজেপির ফল খারাপ হবে বলে দাবি তাদের।

আরও পড়ুন: অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেন সৌমিত্র

যদিও বিজেপির জেলা মুখপাত্র এস আর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি এই ধরনের পোস্টার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েই এই ধরনের রাজনীতি করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পারছে লোকসভা নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। কারণ তারা ভোটে জিতলেও মনোনয়ন জমা থেকে ভোটের দিন কিংবা ভোট গণনার দিনে কিভাবে কারচুপি হয়েছে সেটা তারা জানে। কিন্তু এরপরেও বিজেপি ভালো ভোট পেয়েছে। সেই কারণে বিজেপির সংগঠনকে ভাঙতেই তারা এই ধরনের খেলা শুরু করেছে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details