পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

তুলসী মেলায় মন্দিরে মাটি দিতে ভিড় পুণ্যার্থীদের

By

Published : Jan 20, 2020, 11:07 PM IST

সবংয়ের তুলসী চারা মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়। 500 বছর পুরোনো এই মেলায় বহর বেড়েছে অনেকটাই । মনস্কামনা পূরণের পাশাপাশি তুলো আর বাদ্যযন্ত্রের পসরা সাজিয়ে হাজির সবংয়ের এই মেলা ।

tulsi mela
তুলসী মেলা

সবং, 20 জানুয়ারি : মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শুরু সবং-পটাশপুরে অনুষ্ঠিত সাত দিনের হয় তুলসী চারার মেলা । 500 বছরেরও বেশি পুরোনো এই মেলা । শুধু তাই নয়, তুলসী চারার মেলা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও প্রাচীন মেলা । পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে নদীবক্ষে রয়েছে তুলসী মন্দির । প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে তুলসী চারার মেলা শুরু হয় । এই তুলসী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এই মেলার নামকরণ-তুলসী চারার মেলা ।

পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে বাকসিদ্ধ বৈষ্ণব শ্রী শ্রী গোকুলানন্দ গোস্বামী বৈষ্ণবচার্যরূপের সমাধি মন্দির রয়েছে l বয়স্কদের কথায়, গোকুলানন্দ সবং-এর কোলন্দা গ্রামের নামকরা জমিদার পরমানন্দ ভুঁইঞার ভান্ডারি ছিলেন । বেশিরভাগ সময়ই সাধন ভজনে ব্যস্ত থাকতেন । পরমানন্দের ছেলে বিপ্রপ্রসাদ গোকুলানন্দের শিষ‍্যত্ব গ্রহণ করেন।

তুলসী চারার মেলার আর একটি বিশেষত্ব হল তুলো

কথিত আছে, গোকুলানন্দ গোস্বামী পৌষ সংক্রান্তিতে রাত 12 টা নাগাদ নদীর মাঝখানে, তাঁর যোগমঞ্চে সাধনা করতে করতে সমাধিপ্রাপ্ত হন । দেহরক্ষার আগে গোকুলানন্দ গোস্বামী তাঁর শিষ্য বিপ্রপ্রসাদকে ডেকে বলে যান পৌষ সংক্রান্তিতে তুলসীমঞ্চে তিনমুঠো মাটি দিলে সবার মনস্কামনা পূরণ হবে ।

এরপর থেকেই পৌষ সংক্রান্তির ভোরে পুণ্যস্নান করে গোকুলানন্দ গোস্বামীর তুলসী মঞ্চে কেলেঘাই নদী থেকে তিন মুঠো মাটি তুলে দান করেন । দুই মেদিনীপুরের হাজার হাজার মানুষ তুলসী মঞ্চে মাটি দিয়ে পূজা নিবেদন করেন । সম্প্রতি , কেলেঘাই নদীর বাঁধের সংস্কার হয়েছে । এর ফলে মেলার আয়তনও বেড়েছে । বর্তমানে প্রায় 13-14 একর জায়গা জুড়ে মেলা বসে । অতীতে 1 দিনের জন্য মেলা বসত । বর্তমানে মেলা চলে 7 দিন ।

তুলসী চারার মেলার আর একটি বিশেষত্ব হল তুলো । দীর্ঘদিন ধরেই থেকেই এই মেলায় পসরা সাজিয়ে আসছেন তুলো ব্যবসায়ীরা । নানা ধরনের তুলো কেনাবেচা হয় এই মেলাতে । এছাড়াও এই মেলায় পাওয়া যায় ভাবসংগীত ও লোকসংগীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র । সময়ের সাথে আকারে ও বহরে বেড়েছে তুলসীচারার মেলা । একে একে মেলায় যোগ হয়েছে মাটির সামগ্রী থেক সবজি , মাছ ও সবং-পটাশপুরের পরিচিত মাদুর এবং বাগমারির শঙ্খ , বিভিন্ন মিষ্টির পসরা ।

Intro:তুলসী মঞ্চে তিন মুঠা মাটি কেলেঘাই নদী থেকে তুলে দান করা এই মেলার বিশেষত্ব , সবংয়ে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে শুরু 500 বছরের প্রাচীন তুলসিচারার মেলা ,
13-14 একর জায়গা জুড়ে চলে মেলা l Body:তুলসী মঞ্চে তিন মুঠা মাটি কেলেঘাই নদী থেকে তুলে দান করা এই মেলার বিশেষত্ব , সবংয়ে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে শুরু 500 বছরের প্রাচীন তুলসিচারার মেলা ,
13-14 একর জায়গা জুড়ে চলে মেলা l


সবংয়ে মকর সংক্রান্তির উপলক্ষে শুরু 500 বছরের প্রাচীন তুলসিচারার মেলা, পূর্ণ স্নানে আগত পুণ্যার্থীদের ভিড় মেলা চত্তরে l অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও প্রাচীন মেলা হল তুলসী চারার মেলা l প্রায় 500 বছরের প্রাচীন এই মেলা l এখনও খুবই জনপ্রিয় l পটাশপুর ও সবং এলাকার 2-3 টি মৌজা নিয়ে (গোকুলপুর, খাউখান্ডা, কোলন্দা) মেলা বসে l পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে নদী বক্ষে আছে তুলসী মঞ্চ ,প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে তুলসী চারার মেলা শুরু হয় আর, এই তুলসী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এই মেলার নামকরন-তুলসী চারার মেলা l কথিত আছে পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে অষ্টাদশ শতকের বাকসিদ্ধ বৈষ্ণব শ্রী শ্রী গোকুলানন্দ গোস্বামী বৈষ্ণবচার্যরূপে বন্দিত্ব l নদীর মাঝখানে চড়া বিশালাকার সমাধি মন্দির l বয়স্কদের কথায়, গোকুলানন্দ সবং-এর কোলন্দা গ্রামের নামকরা জমিদার পরমানন্দ ভূঞ‍্যার ভান্ডারী ছিলেন l বেশিরভাগ সময়ই সাধন ভজনে ব‍্যস্ততার মধ‍্যে থাকতেন l পরমানন্দের ছেলে বিপ্রপ্রসাদ গোকুলানন্দের শিষ‍্যত্ব গ্রহন করেন l তারপর, একদিন নাকি গোকুলানন্দ বাবাজি পৌষ সংক্রান্তিতে রাত 12 টা নাগাদ নদীর মাঝখানে, তাঁর যোগমঞ্চে সাধনা করতে করতে, সমাধিপ্রাপ্ত হয়ে যান যা কথিত আছে l দেহরক্ষার আগে রেখে গিয়েছিলেন গোকুলানন্দ বাবাজি তাঁর শিষ‍্য বিপ্রপ্রসাদকে ডেকে বলে যান পৌষ সংক্রান্তির রাত বারোটার পর, মানে- সংক্রান্তির মনোস্কামনা পূরন হবে l তাই পৌষ সংক্রান্তির ভোরে শত শত নর-নারী পুন‍্যস্নান করে গোকুলানন্দ বাবাজির তুলসী মঞ্চে তিন মুঠা মাটি কেলেঘাই নদী থেকে তুলে দান করেন l স্থানীয় পটাশপুর, সবং এলাকাসহ দুই জেলার মানুষ এসে তুলসী মঞ্চে মাটি দিয়ে পূজা নিবেদন করেন l সম্প্রতি , কেলেঘাই নদী বাঁধের সংস্কার সম্প্রসারণ হয়েছে, যার ফলে মেলাটি 13-14 একর জায়গা জুড়ে মেলা বসে l আগে মেলা বসতো একদিনের জন‍্যে l দাদু-ঠাকুমারা বলতেন- ভীমরুল পোকার কামড় ও বাঘের ভয় থাকতো এখন সেটা আর নেই l এখন একদিন থেকে 7 দিন ধরে মেলা হয়। আমরা একটা বছর অপেক্ষা করে থাকি l তুলসী চারার মেলার বিশেষত্ব হলো তুলো l বহুদিন আগে থেকেই নানা ধরনের তুলো কেনা বেচার জন্য বিখ্যাত l মেলার বিশাল অংশ জুড়ে বসে তুলোর দোকান l বৈষ্ণবদের জন‍্য এই মেলায় খোল (মৃদঙ্গ) বিক্রি হয়। এছাড়াও মাটির হাঁড়ি, কলসি, লোহার সামগ্রী, শাক-সব্জির দোকান, মাছের বাজার, সবং-পটাশপুরের পরিচিত মাদুর, অমর্ষি ও বাগমারির শঙ্খ, মিষ্টি দোকান, হোটেল প্রভৃতি l

এই সাত দিন ধরে চলতে থাকা এই তুলসী চারার মেলায় আসা ভক্তদের মধ্যেও দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা l মিনতি কর নামে এক মেলা প্রেমী জানান এই মেলায় আমি প্রতিবছর আসি l মূলত মানত করার উদ্দেশ্যেই মানুষজন এই মেলায় আসে এবং সেই মানত করার ফলে তারা তার ফল স্বরূপ আশীর্বাদ পায় ,যে যা মানত করে তার মনোস্কামনা সেইভাবেই পূরণ হয় l এই মেলার বিশেষত্ব হল তিন মুঠো মাটি নিয়ে গিয়ে তুলসী মঞ্চে দেওয়া l এইভাবে বছরের পর বছর চলে আসছে এই মেলা l আরেক মেলা প্রেমীর বক্তব্য বহু বছর ধরে চলে আসা মেলায় পশ্চিম মেদিনীপুর ,বাঁকুড়া ,পুরুলিয়া পূর্ব মেদিনীপুর শহর কলকাতার বিভিন্ন অংশের মেলা প্রেমীরা এই মেলায় ভিড় জমান l এই মেলা 7 দিন ধরে চলতে থাকে এবং এই মেলার পাশাপাশি বিভিন্ন খাবারের পসরা নিয়ে ব্যবসায়ীরা , থাকে বিভিন্ন ঘর সাজানোর সামগ্রী l তাছাড়া এখানে বিখ্যাত
তুলসি চারা যা চলে আসছে পরম্পরা অনুযায়ী l


Conclusion:তুলসী মঞ্চে তিন মুঠা মাটি কেলেঘাই নদী থেকে তুলে দান করা এই মেলার বিশেষত্ব , সবংয়ে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে শুরু 500 বছরের প্রাচীন তুলসিচারার মেলা ,
13-14 একর জায়গা জুড়ে চলে মেলা l

ABOUT THE AUTHOR

...view details