পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

পশ্চিম মেদিনীপুরের স্ক্রাব টাইফাসের থাবা, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল 400

By

Published : Dec 4, 2019, 6:43 PM IST

Updated : Dec 4, 2019, 10:59 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল অধ্যুষিত প্রত্যন্ত এলাকায় স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক ৷ মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 400 জনের বেশি ৷ তবে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরার দাবি, সঠিক সময় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে তাই এখনও পর্যন্ত জেলায় কেউ মারা যায়নি ৷

scrub typhus
প্রতীকী ছবি

মেদিনীপুর, 4 ডিসেম্বর : পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল অধ্যুষিত প্রত্যন্ত এলাকায় স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক ৷ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানান, এই মুহূর্তে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 400 জনের বেশি ৷ যদিও তাঁর দাবি সঠিক সময় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে তাই এখনও পর্যন্ত জেলায় কেউ মারা যায়নি ৷

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অজানা জ্বরের সঙ্গে বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাসের দাপট । পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও এর দাপট অব্যাহত । বিশেষ করে জেলার শালবনি, ভাদুতলা, গড়বেতা 1 ,2 ও 3 নম্বর ব্লক এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি । মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভরতি রয়েছে প্রায় 400 জনের বেশি ৷ প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন-চারজন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত রোগী ভরতি হচ্ছেন হাসপাতালে । ইতিমধ্যেই রাজ্যের নির্দেশিকা মতো জেলাস্তরে এর মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । এলাকায় এলাকায় ক্যাম্প করা হচ্ছে ৷ সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ একদিকে ডেঙ্গি, অজানা জ্বর অন্যদিকে স্ক্রাব টাইফাস এই ত্রিমুখী আক্রমণে প্রায় নাজেহাল জেলাবাসী ।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম, আবহাওয়ার এই আকস্মিক পরিবর্তনের জন্যই জেলায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে ৷ তাদের পরামর্শ, যারা জঙ্গলে কাজ করতে যায়, তারা যেন ফুলহাতা জামা এবং ফুল প্যান্ট পরে যায় ৷ ঘুমনোর সময় মশারি ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে ৷ মাটিতে শুতে নিষেধ করা হচ্ছে ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানান, অন্য জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেও মানুষ স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হচ্ছে ৷ কয়েক মাস ধরেই দেখা যাচ্ছে অনেকেই আসছেন জ্বর, মাথা ব্যাথা এবং গায়ে র্যাশ নিয়ে ৷ চিকিৎসকদের প্রথমদিকে সন্দেহ হয় ৷ পরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে, আক্রান্তদের বেশীরভাগেরই স্ক্রাব টাইফাস হয়েছে ৷ প্রথম থেকেই বিষয়টা ধরা পড়ার কারণে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়নি ৷ এখনও পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় 400 জনের বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ৷ তবে চিকিৎসা সময়মতো শুরু হওয়ায় সকলেই ভালো আছে ৷ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ৷ তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ তবে জেলাবাসীকে আরও সতর্ক হতে হবে ৷ বাড়িতে মেঝেতে না শুয়ে একটু উঁচু জায়গায় শোবার ব্যবস্থা করতে হবে । জঙ্গলে কাজ করতে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা এবং ফুল প্যান্ট পরে যেতে হবে ৷ ঘরের আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ৷ যাতে স্ক্রাব টাইফাস বহনকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা কমে ৷ তিনি আরও বলেন, "আমরা বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতামূলক বিভিন্ন ক্যাম্প করছি ৷ বিশেষ করে শালবনি গড়বেতা এবং চন্দ্রকোণা এলাকায় । আমরা ক্যাম্প চালিয়ে যাচ্ছি মানুষকে বোঝাচ্ছি এবং সতর্ক করছি ৷ পাশাপাশি প্রয়োজন মতো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি ৷ "

Intro:সারা রাজ্যের সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল অধ্যুষিত প্রত্যন্ত জেলায় স্ক্রাব টাইফাস এর হানা ,প্রায় 400 অধিক রোগী মেদিনীপুর মেডিকেল সদর হসপিটালে ভর্তি ,তবে জেলাবাসীকে জঙ্গলে কাজ করতে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা প্যান্ট পরার এবং মেঝেতে না শোয়ার আবেদন করেছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ।



Body:সারা রাজ্যের সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল অধ্যুষিত প্রত্যন্ত জেলায় স্ক্রাব টাইফাস এর হানা ,প্রায় 400 অধিক রোগী মেদিনীপুর মেডিকেল সদর হসপিটালে ভর্তি ,তবে জেলাবাসীকে জঙ্গলে কাজ করতে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা প্যান্ট পরার এবং মেঝেতে না শোয়ার আবেদন করেছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ।


রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অজানা জ্বরের সাথে সাথে বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাস এর দাপট । জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশে এর দাপট রয়েছে অব্যাহত । বিশেষ করে সালবনি ,ভাদুতলা ,গড়বেতা 1 ,2 ও 3 নম্বর ব্লক এলাকায় এর হানা বহুদিন আগেই দিয়েছে । যেহেতু এখন সনাক্ত করা গেছে তাই স্ক্রাব টাইফাস এর আক্রমন কতটা ভয়াবহ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীরা । স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি মেদিনীপুর সদর হসপিটালে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছে চারশোরও বেশি রোগী এই রোগের আক্রমণে । আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ প্রমাণিত করে যে সেই রোগের দ্বারা আক্রান্ত , তাই রাজ্যের নির্দেশিকা মত জেলাস্তরে এর মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । আক্রান্ত এলাকায় ক্যাম্প করা হচ্ছে , সতর্ক করা হচ্ছে পাশাপাশি মানুষজনকে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন । প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন থেকে চারজন স্ক্রাব টাইফাস এ আক্রান্ত রোগী মেদিনীপুর মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি হচ্ছে । তাদের ট্রিটমেন্ট করা এবং তাদের অন্যান্য রোগীদের থেকে আলাদা করে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ও হাসপাতালে কর্মীবৃন্দ ডাক্তারেরা । একদিকে ডেঙ্গু, অজানা জ্বর অপরদিকে স্ক্রাব টাইফাস এই ত্রিমুখী আক্রমণে নাজেহাল হয়ে উঠেছে জেলাবাসী । কখনো ঠান্ডা কখনো গরম আবার বাড়িতে থাকলে ফ্যান না চালিয়ে কিছুতেই ঘুমানো যাচ্ছে না এই ওয়েদারের আকস্মিক পরিবর্তনে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের । তাই যারা জলে জঙ্গলে কাজ করতে চান তারা যেন ফুলহাতা জামা এবং ফুল প্যান্ট পরে কাজ করেন সে বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা । এছাড়াও যাদের খাট নেই যারা মাটিতে ঘুমোন তারা যেন একটু সতর্ক হয়ে ঘুমোন এবং মশারি টাঙিয়ে ব্যবস্থা নেন । কারণ এই স্ক্রাব টাইফাস যে কারণে হয় সেই স্ক্রাব টাইফাস পতঙ্গ দেখতে একদম ছোট, যার কামড়ে বিন্দুমাত্র জ্বালা-যন্ত্রণা করে না প্রাথমিক ক্ষত হয় অংশটায় যেখানে কামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা যায় । সাধারণ মানুষেরা জানতেই পারে না কেন পোকার কামড়ে জ্বর আসছে । জ্বর কে নরমাল ভেবে তার ট্রিটমেন্ট করছেন ,যার ফলে পরবর্তীকালে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অথবা আক্রান্ত হয়ে ভুগছেন দিনের পর দিন । তাই আজকে নির্মূল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা । জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা বলেন এই মুহূর্তে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অধিক 400 অধিক । প্রতিদিন গড়ে 4 থেকে 5 জন রোগী আসছেন এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে । আমরা এর মোকাবিলা করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছি ,তবে জেলাবাসীকে আরও সতর্ক হয়ে চলতে হবে যাতে তারা আক্রান্ত না হয় । সে বিষয়ে বিশেষভাবে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে । বাড়িতে মেঝেতে না শুয়ে একটু উঁচু জায়গায় শোবার ব্যবস্থা করতে হবে । জঙ্গলে কাজ করতে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা এবং ফুল প্যান্ট পড়ে যেতে হবে যাতে কোনভাবে আক্রান্ত না হয় । পাশাপাশি ঘরের আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার যাতে এই পোকা না আসতে পারে এবং এই রোগের উপদ্রব যেন না হয় ।এছাড়াও আধিকারিকের বক্তব্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতামূলক বিভিন্ন ক্যাম্প করছি বিশেষ করে শালবনি গড়বেতা এবং চন্দ্রকোনার এলাকায় । আমরা ক্যাম্প চালিয়ে যাচ্ছি মানুষকে বোঝাচ্ছি এবং সতর্ক করছি পাশাপাশি মানুষকে তার প্রয়োজন মতো ওষুধ পথ্য দিয়ে আমরা তাদের সারিয়ে তুলছি । আমাদের জেলায় এখনো পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি এই স্ক্রাব টাইফাস এর আক্রমনে ।


Conclusion:সারা রাজ্যের সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল অধ্যুষিত প্রত্যন্ত জেলায় স্ক্রাব টাইফাস এর হানা ,প্রায় 400 অধিক রোগী মেদিনীপুর মেডিকেল সদর হসপিটালে ভর্তি ,তবে জেলাবাসীকে জঙ্গলে কাজ করতে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা প্যান্ট পরার এবং মেঝেতে না শোয়ার আবেদন করেছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ।
Last Updated : Dec 4, 2019, 10:59 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details