পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Priyank Kanoongo: মমতা সরকার শিশুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ, বিস্ফোরক অভিযোগ কানুনগোর

By

Published : May 12, 2023, 7:44 PM IST

জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ, পুলিশকর্মীর মোবাইল কেড়ে নিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। রাজ্য সরকার শিশুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বলেও সরাসরি অভিযোগ করেন তিনি।

Etv Bharat
অভিযোগ কানুনগোর

অভিযোগ কানুনগোর

মালদা, 12 মে:ফের একবার রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন ৷ একগুচ্ছ কর্মসূচিতে মালদায় এসে সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দাগেন চেয়ারপার্সন। এমনকী জাতীয় কমিশনের উপর রাজ্য সরকারের নজরদারি চালানোর অভিযোগে রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর মোবাইলও কেড়ে নেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো।

শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম, বাধাপুকুর-সহ একাধিক এলাকায় যান। বিভিন্ন ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, হোমগুলিও পরিদর্শন করেন তিনি। পরে মালদা শহরের বিবেকানন্দ যুব আবাসে শিশু সুরক্ষা অধিকার ভঙ্গের প্রতিকার শিবিরে যোগ দেন তিনি। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বলেন, “ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর আবেদনে বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা এই এলাকায় এনসিপিসিআর বেঞ্চ বসানোর কথা চিন্তাভাবনা করছিলাম। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা না মেলায় তা সম্ভব হয়নি। এখানে যে ক্যাম্প চলছে, তাতে যে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই অতিরিক্ত জেলাশাসকের দেখা মেলেনি। আমাদের যে সমস্ত অফিসারের প্রয়োজন ছিল তাঁদেরও পাওয়া যায়নি।" পাশাপাশি মেডিকেল বোর্ড যেমন বসানো হয়নি, তেমনই ম্যাজিস্ট্রেট পদ মর্যাদার কোনও আধিকারিক নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের অভিযোগ, সবমিলিয়ে মাত্রাতিরিক্ত অসহযোগিতার ছবি ধরা পড়েছে রাজ্যে। প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বলেন, "এই ক্যাম্পে কমপক্ষে দুই হাজার অভিযোগকারীর আসার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র 84 জন অভিযোগকারী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কারণ, এখানে যে ক্যাম্প বা বেঞ্চ বসানো হচ্ছে সেই বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয়নি।” জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন আরও জানান, গত 1 এপ্রিল কমিশনের পক্ষ থেকে এক নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা হয়েছিল। এরপর 7 এপ্রিল রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে নির্যাতিতা ও সাক্ষীর পুলিশি নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবি জানিয়েছিল কমিশন। অভিযোগ, তার কোনও জবাব এখনও রাজ্যের মুখ্য সচিবের তরফে আসেনি কমিশনের কাছে ৷ তিনি বলেন, "ওই নির্যাতিতার পরিবার আমাদের জানিয়েছেন, লুকিয়ে তাঁদের এখানে আসতে হয়েছে। নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷"

এদিন কালিয়াচকের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন চেয়ারপার্সন। ওই পরিবারের বক্তব্য, পুলিশের কথা এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সম্পূর্ণ পৃথক। অভিযুক্ত ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ পরিবারের। এদিন কানুনগো বলেন, "বিগত কয়েকটি ঘটনায় আমরা দেখেছি, এই সরকার শিশুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শিশুদের প্রতি যে ধরণের আচরণ করছে তা অসংবেদনশীল।” প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, রাজ্য সরকার কমিশনের উপর নজরজারি চালাচ্ছে ৷ তিনি বলেন, "ভেবেছিলাম, এই ক্যাম্পে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থাকবেন। তাদের হাতে এই মোবাইল তুলে দিয়ে তদন্ত করার কথা জানাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখানে কেউ নেই।”

আরও পড়ুন: কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা বাংলার

ABOUT THE AUTHOR

...view details