মালদা, 13 জুলাই : গত বছর দুর্গাপুজোর সময় চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাটের কাছে মহানন্দায় নৌকাডুবির স্মৃতি এখনও দগদগে ৷ সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের ৷ তারপর থেকেই জেলার নদীগুলিতে নৌকা চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রশাসন ৷ নদীতে জল বেড়ে গেলে বেশ কিছু ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ এই মুহূর্তে মহানন্দার জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই ৷ পরিস্থিতি বুঝে বেশ কয়েকটি ঘাটে ফেরিনৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন৷ পুরাতন মালদায় মহানন্দার 12টি ঘাটের মধ্যে 6টি ঘাটে নৌকায় যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তার মধ্যেও বেশ কিছু ঘাটে বিপজ্জনকভাবে চলছে যাত্রী পারাপার ৷ এমনকী অনুমতি না থাকা ঘাটগুলিতেও চলছে যাত্রী পারাপার ৷ খবর পেয়ে আজ প্রতিটি ঘাটে অভিযান চালায় মালদা থানার পুলিশ৷ একটি ঘাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি নৌকা সহ নৌ চলাচলের কিছু সামগ্রী৷
মালদা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরাতন মালদা ব্লকে মহানন্দা ও টাঙন নদীর মোট 12টি ঘাট রয়েছে ৷ এর মধ্যে প্রশাসন 6টি ঘাটে নৌকায় যাত্রী পারাপারের অনুমতি দিয়েছে ৷ কিন্তু খবর এসেছে, বাকি 6টি ঘাটেও লুকিয়ে যাত্রী পারাপার করছে ঘাট মালিকরা ৷ এর বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ঘাটে পুলিশি অভিযান চলছে ৷ আজও কয়েকটি ঘাটে অভিযান চালানো হয়৷ লোলাবাগে মহানন্দার ঘাট থেকে একটি যাত্রীবাহী নৌকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কিছু সামগ্রীও৷