পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

শিক্ষামন্ত্রী উলটোপালটা বলছেন, অভিযোগ পার্শ্বশিক্ষকদের

By

Published : Nov 25, 2019, 10:14 PM IST

আজ পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান ১৫ দিনে ও অনশন ১১ দিনে পড়ল । পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছেন, আজও অনশনকারীদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । তিনি বলেন, "আজ আমাদের ছ'জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । তাদের মধ্যে দু'জন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি । নীলরতন সরকার হাসপাতালেও দু'জন ভরতি ।

পার্শ্বশিক্ষকরা

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর : রবিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, পার্শ্ব শিক্ষকরা কথা বন্ধ করে দিলেও তিনি কোনও দিন কথা বন্ধ করবেন না । তাঁর এই দাবি খারিজ করে অনশনরত পার্শ্ব শিক্ষকরা আজ জানান, আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসেননি শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বাইরে উলটোপালটা কথা বলছেন । আজ ১১ দিনে পড়ল পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন । আজও অসুস্থ হয়ে পড়েন ছয় জন পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা ।

বিভিন্ন দাবিতে ১১ নভেম্বর থেকে সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের মেলা মাঠের সামনে ধরনায় বসেছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা । অনশন শুরুর আগে ১৩ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার আবেদন জানান পার্শ্ব শিক্ষকরা । কিন্তু, সেই চিঠির কোনও উত্তর তাঁরা পাননি বলে জানিয়েছেন । পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "সরকারিভাবে এখনও শিক্ষামন্ত্রী কিছু বলেননি আমাদের । কিন্তু বাইরে শিক্ষামন্ত্রী উলটোপালটা বলে বেড়াচ্ছেন । আমরা ওসবে কান দিচ্ছি না । আমাদের সঙ্গে একদিনও উনি আলোচনায় বসেননি ।"

আজ পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান ১৫ দিনে ও অনশন ১১ দিনে পড়ল । ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছেন, আজও অনশনকারীদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । তিনি বলেন, "আজ আমাদের ছ'জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । তাদের মধ্যে দু'জন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি । নীলরতন সরকার হাসপাতালেও দু'জন ভরতি । আজ মহম্মদ সেলিম ও মুকুল রায় এসেছিলেন আমাদের অনশন মঞ্চে । মুকুল রায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আগামীকালই উনি কথা বলবেন । মহম্মদ সেলিম বলেছেন, দিল্লি থেকে যে টাকা আসে সেই টাকা যাতে আমরা পাই তার ব্যবস্থা উনি করবেন ।"

Intro:কলকাতা, ২৫ নভেম্বর: গতকালই শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, পার্শ্বশিক্ষকরা কথা বন্ধ করে দিলেও তিনি কোনো দিন কথা বন্ধ করেন না। যদিও, অনশনরত পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি, আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনায় বসেননি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বাইরে বাইরে উল্টোপাল্টা কথা বলে বেরাচ্ছেন। তাঁর কথায় তাঁরা কান দিচ্ছেন না বলেই জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, আজ ১১ দিনে পড়ল পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন। আজ অসুস্থ হয়ে পড়েন ছয় জন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকা।Body:গত ১১ নভেম্বর থেকে সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের মেলা মাঠের সামনে ধরনায় বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, প্রথমত, ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে তাদের জন্য বেতন কাঠামো চালু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাঁদের স্থায়ীকরণ করতে হবে। এই দুটি প্রধান দাবি নিয়ে প্রথমে ধরনা ও তার কয়েকদিন পর থেকে অনশন শুরু করেন পার্শ্বশিক্ষকরা। অনশন শুরু করার আগে ১৩ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। কিন্তু, সেই চিঠির কোনো উত্তর বা তাঁদের দাবি নিয়ে কোনো আশ্বাস না পেয়েই অনশনের পথে বেছে নেন তাঁরা।

আন্দোলনের শুরু থেকেই পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়ে কঠোর মনোভাব লক্ষ্য করা যায় শিক্ষামন্ত্রীর কথায়। আন্দোলন শুরুর পরপরই তিনি হুমকি দেন, যাঁরা স্কুলে অনুপস্থিত থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। এমনকি কয়েকদিন আগে তাঁর নির্দেশে স্কুলগুলির কাছ থেকে পার্শ্বশিক্ষকদের অনুপস্থিতির হিসেব তলব করা হয়। কিন্তু, প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী অফিশিয়ালি কোনওরকম আলোচনায় বসেননি বলেই অভিযোগ। যদিও শিক্ষামন্ত্রী গতকাল বলেছিলেন, "ওদের সঙ্গে বসছি না কে বলেছে? ওদের সঙ্গে তো বহুবার বসি। কে বলতে পারবে যে আমার কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বসতে চাই আর আমি বারণ করেছি? বলেছি বসব না? বসবই। ওরা কথা বন্ধ করতে পারে। কিন্তু, আমি কোনও দিন কথা বন্ধ করি না।" এ বিষয়ে পাল্টা পর্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের বক্তব্য, "অফিশিয়ালি এখনো কিছু বলেনি। বাইরে বাইরে শিক্ষা মন্ত্রী উল্টোপাল্টা বলে বেড়াচ্ছেন। আমরা ওগুলোই কান দিচ্ছি না। আমাদের সঙ্গে একদিনও উনি আলোচনায় বসেননি।"

আজ পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান ১৫ দিনে ও অনশন ১১ দিনে পড়ল। ভগীরথ ঘোষ জানাচ্ছেন, আজও অনশনকারীদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, "আজকে আমাদের ছয় জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাদের মধ্যে এখনো দুজন বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর নীলরতন হাসপাতালে এখনো আমাদের দুইজন ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল। আজকে মহাম্মদ সেলিম ও মুকুল রায় এসেছিলেন আমাদের অনশন মঞ্চে। মুকুল রায় বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আগামীকালই উনি কথা বলবেন। আর মহম্মদ সেলিম বলেছেন, দিল্লি থেকে যে টাকা আসে সেই টাকা যাতে আমরা পাই তার ব্যবস্থা উনি করবেন।"


Conclusion:

ABOUT THE AUTHOR

...view details