কলকাতা, 3 জানুয়ারি : আজ 17 দিনে পড়ল পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান । 18 ডিসেম্বর থেকে সল্টলেকে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে । কিন্তু এতদিনে একবারও নিজেদের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেননি তাঁরা । বরং তাঁদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ধাপে ধাপে বহু পার্শ্বশিক্ষকের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে এবং আগামীতেও করা হবে । শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা । তাঁদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য পার্শ্বশিক্ষকদের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে রাজ্য সরকার ।
এই প্রসঙ্গে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের এক সদস্য শান্তা বিশ্বাস বলেন, "দশ বছর ধরে ধাপের গল্প হচ্ছে । ধাপটা এখন আমাদের কাছে ধাপ্পাবাজি । সব থেকে বড় কথা আমাদের মনে হচ্ছে, ধাপটা সরকারের ভোটে পৌঁছানোর ধাপ । ভোটে জেতার ধাপ । সেটাতে আমাদের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে । রাজনীতি হচ্ছে, এটা আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার ও স্পষ্ট । আমরা সবাই শিক্ষক, শিক্ষিত । তাই এটুকু বুঝে নিতে আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না । এই সমস্ত কথা অনেকদিন ধরে চলছে। এমনকী ক্ষমতায় আসার আগে থেকে চলছে। অনেক ধৈর্য্য ধরেছি আমরা । অনেক সহনশীলতা দেখিয়েছি। এবার বোধহয় তার সময় শেষ হয়ে এসেছে ।"
18 ডিসেম্বর থেকে চলে আসা পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থানের আজ 17তম দিন । একাধিক সমস্যা নিত্যসঙ্গী তাঁদের । পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ভয়ংকর ঠান্ডায় আমাদের প্রত্যেক পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের পরিবার ছেড়ে, ছাত্রদের ছেড়ে, এলাকা ছেড়ে পড়ে আছেন অবস্থানে । শখে কেউ পড়ে নেই । শুধু এই অমানবিক সরকারের কানে যাতে আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া যায়, তাঁদের চেতনা আনা যায় । তাঁদের যে কাজটা আমরা রোজ দায়িত্ব নিয়ে করছি তার ন্যূনতম প্রতিদান চাইছি । আমরা বলছি না যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনার বেতন 2011 সালের আগে 7 হাজার ছিল, এখন 1 লাখ 17 হাজার । আমরা 1 লাখ 17 হাজার চাইছি না । আমরা ন্যূনতম বেতন কাঠামো চাইছি ।"