পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

যাদবপুরে স্থগিত হতে পারে সমাবর্তন ? আশঙ্কায় উপাচার্যকে চিঠি অধ্যাপকদের

By

Published : Dec 13, 2019, 11:08 PM IST

JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "নতুন বিধির জেরে MAKAUT-এর সমাবর্তন শেষ মুহূর্তে স্থগিত করে দেওয়া হল । তাই আমাদেরও আশঙ্কা যে সমাবর্তন স্থগিত বা বাতিল করে দেওয়া হতে পারে ।

aa
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর: ১০ ডিসেম্বর আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করে বিধানসভায় বিল পেশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । পরদিনই স্থগিত করে দেওয়া হয় রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন । ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা । এই পরিস্থিতিতে তা স্থগিত করে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহল । সমাবর্তন স্থগিত না করার আবেদন জানানো হয়েছে ৷ এই বিষয়ে আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনকে চিঠি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন JUTA ৷


চিঠিতে বলা হয়েছে, "বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পেরেছি রাজ্য সরকারের অনুরোধে মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (MAKAUT)-র সমাবর্তন স্থগিত করা হয়েছে । আমাদের আশঙ্কা, প্রথা অনুযায়ী প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বর হয়ে আসা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন স্থগিত হতে পারে। এই বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে । তাঁদের মধ্যে একজন ভারতরত্ন ও একজন জ্ঞানপীঠ পুরস্কারজয়ী । তাই সমাবর্তন স্থগিত বা বাতিল করা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ও নীতিবিরুদ্ধ হবে। আমরা JUTA-র তরফে দাবি জানাচ্ছি, ২৪ ডিসেম্বরই যাতে সমাবর্তন হয় ৷ সমাবর্তন স্থগিত যাতে না করা হয়, তা নিশ্চিত করা হোক ।"

JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "নতুন বিধির জেরে MAKAUT-এর সমাবর্তন শেষ মুহূর্তে স্থগিত করে দেওয়া হল । তাই আমাদেরও আশঙ্কা যে সমাবর্তন স্থগিত বা বাতিল করে দেওয়া হতে পারে । আমরা আজ উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছি । বলেছি, ২৪ ডিসেম্বর আমাদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং বরাবর ওইদিনই সমাবর্তন হয়ে এসেছে । এবার সমাবর্তনেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা আসবেন । যাঁদের ডিলিট দেওয়া হচ্ছে তাঁরা খুবই নামী ব্যক্তিত্ব । তাই সমাবর্তন যাতে নির্দিষ্ট দিনেই হয় সেই দাবিতে আমরা আজ উপাচার্য ও শিক্ষা দপ্তরের সচিবকে চিঠি দিয়েছি ।"

Intro:কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর: গত ১০ ডিসেম্বর আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করে বিধানসভায় বিধি পেশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরের দিনই স্থগিত করে দেওয়া হয় রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে তা স্থগিত করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহল। তাই কোনওভাবেই যাতে সমাবর্তন বাতিল না করা হয় সেই দাবি জানিয়ে আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈনকে চিঠি দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন JUTA।
Body:বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈনকে পাঠানো চিঠিতে JUTA-র তরফে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পেরেছি রাজ্য সরকারের অনুরোধে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির সমাবর্তন স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা প্রথা অনুযায়ী প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বর হয়ে আসা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সঙ্গেও একই জিনিস হতে পারে। বিভিন্ন অস্থির সময়ে, রবিবার হলেও ২৪ ডিসেম্বরই সমাবর্তন হয়ে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করতে চলেছে। যার মধ্যে একজন ভারতরত্ন ও একজন জ্ঞানপীঠ পুরষ্কারজয়ী। তাই সমাবর্তন স্থগিত বা বাতিল করা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পিরিট, সংস্কৃতি ও নীতিবিরুদ্ধ হবে। তাই আমরা JUTA-র তরফ থেকে দাবি জানাচ্ছি, ২৪ ডিসেম্বরই যাতে সমাবর্তন হয় এবং রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়কে বললেও যাতে এই সমাবর্তন স্থগিত বা বাতিল না করা হয় তা নিশ্চিত করুন।

এ বিষয়ে JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "নতুন বিধি পেশের পড়ে MAKAUT-এর সমাবর্তন শেষ মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হল। তা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে আমাদের সমাবর্তনও স্থগিত বা বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। তাই আমরা আজ উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছি। বলেছি, ২৪ ডিসেম্বর আমাদের ফাউন্ডেশন ডে এবং সবসময় ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন হয়ে এসেছে। এবারের সমাবর্তনে গোটা দেশ থেকে বহু মানুষ আসবেন। এবার যাঁদেরকে ডিলিট দেওয়া হচ্ছে তাঁরা খুব নামকরা ব্যক্তিত্ব। তাই এই সমাবর্তন যাতে বাতিল না করা হয় সেই দাবি জানিয়ে আমরা আজ উপাচার্য ও শিক্ষা দপ্তরের সচিব মনীশ জৈনকে চিঠি দিয়েছি।"


Conclusion:

ABOUT THE AUTHOR

...view details