পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Primary Recruitment Scam: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় একক বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে সওয়াল আইনজীবীদের

By

Published : Jul 12, 2022, 5:09 PM IST

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তাঁর পদ থেকে অপসারণের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন মানিকবাবুর আইনজীবী (Primary Recruitment Scam)। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় একক বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে সওয়াল করলেন আইনজীবীরা ৷

Primary Recruitment Scam
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা

কলকাতা, 12 জুলাই: "এটা কোনও ছেলেখেলা নয় ৷" প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তার পদ থেকে অপসারণের নির্দেশের বিরুদ্ধে এইভাবেই ডিভিশন বেঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন মানিকবাবুর আইনজীবী (Primary Recruitment Scam)। সিঙ্গল বেঞ্চ বিচার করতে বসে হুমকি দেওয়ার ভঙ্গিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে তাঁর পদ থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন কোনও রকমের প্রমাণপত্র না-পেয়েই । তদন্তে কী পাওয়া যায় তা না-দেখেই । এইভাবেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল আইনজীবী জয়দীপ করের ।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর পক্ষে আইনজীবী জয়দীপ কর আরও বলেন, "বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পূর্ণ এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে মানিকবাবুকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছেন । নথিপত্র ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে । তার রিপোর্ট আসার আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ কী করে দেন বিচারপতি ! মানিকবাবু একজন জনপ্রতিনিধি । এর সামগ্রিক প্রভাব আছে সমাজে । এটা কোনও ছেলেখেলা নয় ! আদালতের কোনও এক্তিয়ারই নেই, তাঁকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়ার ।

আরও পড়ুন :মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

একদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আবার অন্যদিকে মানিকবাবুকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । একই সঙ্গে দু'রকম পদক্ষেপ আদালত নিতে পারে না । কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করি, তাই তাঁকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারে না-আদালত । যেটা সিঙ্গল বেঞ্চ করেছে । মানিকবাবুকে দু'জায়গায় বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ? সিবিআই এবং হাইকোর্ট দু'জায়গায় । হাস্যকর নির্দেশ । স্বাভাবিক বিচার পাওয়ার অধিকার এবং মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে ।"

অন্যদিকে 63 জন চাকরি খোয়ানো প্রার্থীর তরফে আইনজীবী প্রতীক ধর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন যে সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের চাকরি গেল তারা কী করবে ? তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স 35-45-এর মধ্যে । ফলে তাঁদের অন্য চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও কম । তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে তারা কী করবে ?

এ কথায় বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, আপনি ঠিক কি বলতে চাইছেন ? প্রতীক ধর জানান, আমরা কী এখন অনশন করে থাকব ? না-খেয়ে থাকব ? বিচারপতি জানান, কিন্ত যারা মামলাকারী তারা তো না-খেয়েই রয়েছে এখনও ? প্রতীক ধর জানান, একটা রেসে একজন জিতে যাওয়ার পর তার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু ঘটে । আমাদের ফ্যামিলি বাচ্চাকাচ্চা রয়েছে । আমরা প্রশিক্ষিত । আমাদের 1 নম্বর ঘাটতি ছিল । প্রশ্নে ভুল ছিল বলেই অতিরিক্ত 1 নম্বর দেওয়া হয়েছে । 2017 সাল থেকে চাকরি করছি । এখন চাকরি খুইয়ে আমি কী করব ? এই পরিস্থিতিতে আমি কী করব ? আমি যদি কোথাও পরীক্ষা না-দিয়ে চাকরি পেয়ে থাকতাম বা তদন্ত করে পাওয়া যেত যে সত্যিই আমরা বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছি তাহলে চাকরি খোয়ানোটা মেনে নেওয়া যেত । আমাদের বক্তব্য না-শুনেই চাকরি কেড়ে নেওয়া হল, এখন আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কী করব ?

আরও পড়ুন :রাজ্যে শুরু হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

চাকরি খোয়ানোদের তরফে আর এক আইনজীবী মিলন ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের বক্তব্য না-শুনে আদালত বলে দিল আপনি কাল থেকে স্কুলে আসবেন না । আদালতের সেই এক্তিয়ার কি আছে ? কোর্ট কি চাকরি দিয়েছিল ? মামলার শুনানির প্রথম দিনেই সিবিআই তদন্ত থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দেওয়া হয়ে গিয়েছে । 2017 সাল থেকে পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছি । সার্ভিস দিয়েছি । হঠাৎ করে আমার বক্তব্য না-শুনে আমাকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার মত কী হল ? এই ধরনের নির্দেশ কী করে সম্ভব ?

আর এক আইনজীবী এক্রামূল বারি বলেন, "1 নম্বর দেওয়ার বিষয়টি সরকারের একটা সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত । আমাদের 1 নম্বর কম ছিল আমরা আন্দোলন করার পর প্রশ্ন ভুলের নিরিখে আমাদের নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার । এর মধ্যে দুর্নীতির বিষয় কোথায় ?" এরপর এদিনের মত শুনানি শেষ হয় । আগামী বৃহস্পতিবার ফের শুনানি এই মামলার ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details