কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করে খুনের অভিযোগ জলপাইগুড়িতে জলপাইগুড়ি, 1 জানুয়ারি: যৌন নির্যাতনের পর দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে (Teenage girl murder in Jalpaiguri) ৷ রবিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির এক পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ মৃত কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী ৷ প্রতিবাদে অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর চালাল স্থানীয়রা । ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
মৃতার দিদির অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না, সেই সুযোগে চার পড়শি যুবক বাড়িতে আসে ৷ ঘরের দরজা ভেঙে ওই কিশোরীর উপর চড়াও হয় চার যুবক ৷ অত্যাচারের পর খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে থেকেই এক যুবক অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে ফোন করে ছাত্রীর দিদিকে মৃত্যুর খবর দেয় ৷ বোন মারা গিয়েছে । খবর পেয়েই বাড়ি ফিরে এসে ওই ছাত্রীর দিদি দেখেন, তাঁর বোন ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে ৷ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । ছাত্রীর ঘর থেকে পাওয়া যায় এক অভিযুক্তের মোবাইল । সেই মোবাইল থেকেই চার যুবকের নাম পাওয়া যায় ।
দিদির কথার রেশ টেনেই মৃতার মামা নিমাই চন্দ্র রায় বলেন, "ভাগ্নির মা-বাবা আমার বাড়িতে গিয়েছিল । এরপর এক মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয় আমার ভাগ্নি শেষ । বালিশ চাপা দিয়ে মারা হয়েছে ওকে ।"
মৃতের বাবা নিতুল রায় বলেন, " আমার মেয়েকে বিরক্ত করত ছেলেরা । এর আগেও পঞ্চায়েত মিটিং হয় । গতকাল বাড়িতে কেউ ছিল না । ঘরের দরজা ভেঙে মেয়েকে খুন করে পালিয়ে যায় ওরা ।"
আরও পড়ুন:নাবালিকা সন্তানের যৌন নির্যাতনে সাহায্য ধর্ষককে, 14 বছরের হাজতবাস মায়ের
পুলিশ সূত্রে খবর পড়শি যুবক ধনঞ্জয় রায়, গোপাল তন্ত্র, রাহুল তন্ত্র ও হৃদয় দেবনাথ চড়াও হয় ওই নাবালিকার উপর । ঘটনার পর অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর করে ক্ষিপ্ত জনতা । কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক আরও তিন ৷ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ । তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট এলেই জানা যাবে এটি ধর্ষণ না খুন, খবর পুলিশ সূত্রে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
