কোন্নগর, 22 অক্টোবর: মাত্র তিন বছর বয়স কাব্যর ৷ মোবাইল দেখে সবটা রপ্ত করতে পারে সে ৷ ইংরাজি থেকে বাংলা বর্ণমালা, পশু-পাখির নাম, ছড়া, সবই ঠোঁটস্থ ওই তিনবছর বয়সি শিশুর ৷ মেয়ের এই গুণ দেখে তার মা মাস ছ'য়েক আগে আবেদন করেছিলেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ (India Book of Records)।
দু'বছর বয়স থেকে মোবাইল দেখে সব কিছু বলতে আরম্ভ করে কাব্য। স্কুলের পঠন-পাঠন ছাড়াই রীতিমতো পড়াশোনার প্রতি এত মনোযোগ দেখে পরিবারে মা-বাবা সকলেই অবাক। সারাদিন বই নিয়েই খেলা। তাই মা দীপিকা কুমার নিজেই পড়াশোনা করান। বাবা ধীরাজ কুমার একজন ইন্ডিয়ান আর্মি (Indian Army)। তাঁর পোস্টিং সুদূর জম্মুতে।
মা দীপিকা বাড়ির সমস্ত কাজে ব্যস্ত থাকেন। আর ছোট্ট মেয়ে কাব্য সারাদিন ব্যস্ত থাকে নিজের পড়াশোনা করতে। মোবাইল দেখে নিজেই শিখে ফেলেছে অনেক কিছু। ছড়া, পশু-পাখির নাম, ফল-ফুলের নাম, এমনকী ছবি দেখে দেখে আঁকতেও পারে সে। নিজের মনেই কত কী এঁকে ফেলেছে ছোট্ট মেয়েটি। মেয়ের এই গুণ দেখে তার মা মাস ছ'য়েক আগে আবেদন করেছিলেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ (Konnagar Child in India Book of Records) ।
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলল ছোট্ট কাব্য আরও পড়ুন:ব্যাডমিন্টনে অনূর্ধ্ব-15 ভারতীয় দলে জলপাইগুড়ির সম্প্রীতি পাল
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাঁদের বাড়িতে এসে পৌঁছয় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডের শংসাপত্র। মা দীপিকা কুমার বলেন, "2 বছর বয়স থেকেই ফোন দেখেই সব বলতে পারে। মুখে মুখে একবার, দু'বার বলার পরই নিজে নিজেই বলছে সব । ভালোভাবে কথা বলতে পারে না কিন্তু সব কিছু বলতে সড়গড় ছোট্ট মেয়ে। প্রতিভা দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে অনলাইন আবেদন করি। তাদের টিম দেখে 16 অক্টোবর সার্টিফিকেট পাঠাল।" কাব্যর বাবা ধীরাজ কুমার বলেন, "মেয়ের কাছে থাকতে তাঁর খুব ইচ্ছা করে কিন্তু উপায় পাই না । বর্ডারে থেকে যখন তিনি দেশরক্ষা করছেন তখন তার ছোট্ট মেয়ে দেশের বুকে রেকর্ড তৈরি করছে। খুব গর্বিত আমি মেয়ের জন্য ৷"