পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Dooars Tea Garden: কুড়ি বছর পর খুলতে চলেছে ডুয়ার্সের তিনটি বন্ধ চা-বাগান

By

Published : Jul 29, 2022, 10:42 PM IST

রাজ্যের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ দীর্ঘ 20 বছর বন্ধ থাকার পর একই সঙ্গে খুলতে চলেছে ডুয়ার্সের তিনটি চা-বাগান ৷ শুক্রবার ওই তিনটি চা বাগান খোলার ঘোষণা করা হল (Three Tea Gardens Set to Open at Dooars) ৷ রাজ্য শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে খুলতে চলেছে চা বাগানগুলি। আর চা-বাগান খোলার খবরে খুশির হাওয়া চা-বাগান শ্রমিকমহলে।

Dooars Tea Garden
রাজ্য শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে খুলতে চলেছে চা বাগানগুলি

শিলিগুড়ি, 29 জুলাই:দুই দশক ধরে চরম সমস্যায় দিন কাটিয়েছেন ওই চা বাগানের শ্রমিকরা। মাঝে প্রধানমন্ত্রী রেড ব্যাংক-সহ বেশ কিছু চা বাগান অধিগ্রহণ করার আশ্বাস দিলেও তা মেটেনি। আর অবশেষে রাজ্য শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার হস্তক্ষেপে সেই দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে খুলতে চলেছে চা বাগানগুলি (Three Tea Gardens Set to Open at Dooars)।

ওই তিন চা বাগানের অচলাবস্থা নিয়ে টানা দফায়-দফায় বৈঠক হয় মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও শ্রম দফতরের মধ্যে। এর আগে আলিপুরদুয়ার জেলার বান্দাপানি চা বাগান খুলেছে ৷ আর এদিন ডুয়ার্সের নাগরাকাটা বিধানসভার তিনটি বন্ধ চা বাগান খোলার ঘোষণা হল। আগামী মাসেই খুলবে ধরণীপুর, রেড ব্যাংক ও সুরেন্দ্রনগর চা বাগান।

উত্তরবঙ্গের জয়েন্ট লেবার কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, "এক ঐতিহাসিক দিন। দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটিয়ে ওই তিনটি চা বাগান খুলতে চলেছে। আমরা খুব খুশি। এই প্রথম 20 বছর পর ডুয়ার্সের নাগরাকাটা বিধানসভা এলাকার তিনটি বাগান এক মাসের মধ্যে খুলতে যাচ্ছে। নাগরাকাটা ব্লকের ধরণীপুর চা বাগান এবং বানারহাট ব্লকের রেডব্যাংক ও সুরেন্দ্রনগর বাগান খুলবে। শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার প্রচেষ্টায় বন্ধ বাগানগুলি খোলা সম্ভব হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় দু'হাজারের বেশি শ্রমিক উপকৃত হবে।"

প্রসঙ্গত, 2002 সালে রেড ব্যাংক গ্রুপের ওই তিনটি বাগানে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বন্ধ হয়ে যায় বাগানের কাজ। 2012 সালে একটি নতুন কোম্পানি কয়েকমাস ওই তিনটি চা বাগান চালিয়েছিল। কিন্তু, তারা দুর্গাপুজোর বোনাস না দিয়ে বাগান ছেড়ে পালিয়ে যায়। 2014 সালে সেই কোম্পানির লিজ বাতিল করে সরকার তিনটি বাগানকে অধিগ্রহণ করে।

আর চা বাগান খোলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া চা বাগান শ্রমিকমহলে

আরও পড়ুন:জিএসটির চাপে বাড়ছে হোটেল ভাড়া, পর্যটক কমার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

2002 সাল থেকে বন্ধ থাকায় অর্ধাহার, অনাহারে একই মালিকানাধীন তিনটি চা বাগানে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে। ওই বাগানের শ্রমিকদের পিএফের কয়েক কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। শ্রমদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধরণীপুর বাগানের 358 জন শ্রমিকের বকেয়া পিএফের অঙ্ক এক কোটি টাকা। রেডব্যাংক ও সুরেন্দ্রনগরের 699 জন শ্রমিকের তিন কোটি টাকার মতো বকেয়া আছে। ধরণীপুর বাগানটি নিয়েছে গ্রিন টি ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।

অন্যদিকে, শিলিগুড়ির সুশীল টি কোম্পানি নিয়েছে রেড ব্যাংক ও সুরেন্দ্রনগর বাগান। বানারহাট ব্লকের রেড ব্যাংক চা বাগানের কারখানার ভগ্নদশা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে জয়েন্ট লেবার কমিশনারের অফিসে মালবাজারের একটি চা কোম্পানির মালিককে ধরণীপুর বাগানটি দেওয়া হয়। শিলিগুড়ির একটি কোম্পানিকে সুরেন্দ্রনগর ও রেড ব্যাংক চা বাগান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ধরণীপুর চা বাগান খোলা হবে 1 অগস্ট। 11 অগস্ট খুলে দেওয়া হবে সুরেন্দ্রনগর ও রেডব্যাঙ্ক বাগান। চা বাগান খোলার পাশাপাশি বাগানের শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স ও বাচ্চাদের স্কুল ও স্কুলবাসের ব্যবস্থাও করা হবে মালিকপক্ষের তরফে। বন্ধ তিনটি চা বাগান খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে শ্রমিক মহল্লায় এখন খুশির হাওয়া।

আরও পড়ুন:শিলিগুড়ি সংলগ্ন জঙ্গলের জমি জবরদখল, রাতারাতি পুনরুদ্ধার করে বৃক্ষরোপণ বন বিভাগের

চা বাগানের শ্রমিক ভোলানাথ পাট্টু বলেন, "আমরা খুব খুশি। অনেক কষ্টে শ্রমিকরা দিন কাটিয়েছে। রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details