বকখালি, 28 জুলাই: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বালু-ভাস্কর্যের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রূপ ফুটিয়ে তুলেছিলেন দক্ষিণ 24 পরগনার বকখালির পলাশ দাশ ৷ তাঁর সৃষ্টি সেই বালু-ভাস্কর্যকে স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ৷ পেশায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বাংলা সহায়তা’ কেন্দ্রের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তিনি ৷ তবে, ভালোবাসার জায়গা থেকে ছবি আঁকা, বালু-ভাস্কর্য এবং অন্যান্য কারুশিল্পের সঙ্গে যুক্ত তিনি ৷ এই বহুমুখী প্রতিভারই ফসল ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বালু-ভাস্কর্য ৷ কবিগুরুর সবচেয়ে বড় বালু-ভাস্কর্য হিসেবে সেটি পলাশ দাশের নামে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে জায়গা করে নিল ৷
পলাশ দাশ পেশাগতভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বাংলা সহায়তা’ কেন্দ্রের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার নামখানা ব্লকের বকখালির পাতি বুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি ৷ কাজে বাইরে সময় বের করে পাতি বুনিয়া গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত আদিবাসী সমাজের ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে আঁকা শেখান ৷ তাঁদের নিয়েই বকখালির সৈকতে রবীন্দ্রনাথের বালু-ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন পলাশ ৷ এই শিল্প তাঁর খুদে ছাত্রছাত্রীদেরও শেখাচ্ছেন তিনি ৷ ছবি আঁকা ও বালু-ভাস্কর্যের পাশাপাশি, কাগজ ও থার্মোকলের কারুশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৷