বোলপুর, 20 সেপ্টেম্বর: তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে কংক্রিটের আবাসন নির্মাণের অভিযোগ। সদ্য ইউনেসকো শান্তিনিকেতন আশ্রমকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। সেই আশ্রম থেকে কিছুটা দূরেই সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বোলপুর মহকুমা শাসকের নির্দেশে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা-সহ শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ যান ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। আপাতত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত বোলপুর পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের তালতোর এলাকায় সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী কয়েক লক্ষ টাকার সরকারি জমি দখল করে কংক্রিটের আবাসন নির্মাণ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। শাসক দল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রবীন্দ্রনাথ লাহার বিরুদ্ধে এই সরকারি জমি দখল করে নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। প্রশাসনের কোনও স্তরের কোনও রূপ অনুমতি ছাড়াই চলছিল নির্মাণ। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথের নির্দেশে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যান বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দাগ, খতিয়ান নম্বর মিলিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। ছবিও তোলেন নির্মীয়মান আবাসনের ৷ আপাতত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে ৷ উল্লেখ্য, 17 সেপ্টেম্বর সৌদি আরব থেকে ইউনেসকো শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' বা 'বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান' ঘোষণা করেছে। সেই আশ্রম থেকে কিছু দূরেই সরকারি জমি জবর দখলের অভিযোগে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
এই প্রসঙ্গে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, "আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলব। সেই মতো ব্যবস্থা নেব ৷" তবে সরকারি জমি জবর দখলের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লাহা বলেন, "আমি প্রথমে জানতাম এটা কংকালীতলা ট্রাস্টের জমি। তাই ঘিরে বাড়ি করতে শুরু করে দিয়েছিলাম ওদেরকে বলেই ৷ পরে জানছি এটা সরকারি জায়গা। ভেস্ট ল্যান্ড এটা। বিএলআরও অফিস থেকে অফিসাররা এসে দেখিয়ে দিয়ে গেল এটা সরকারি জমি। আর এখন কাজ বন্ধ রাখতে বলে গেল।"
আরও পড়ুন:প্রকল্পের কাজ না-করেই টাকা আত্মসাৎ, কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত