পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপে লাইন্সম্যানের চোখ এড়ানো সূক্ষ্ম অফসাইড ধরল ভিএআর

By

Published : Nov 21, 2022, 3:25 PM IST

FIFA World Cup 2022 Ecuador Goal Cancelled Due to Advanced VAR Technology
FIFA World Cup 2022 Ecuador Goal Cancelled Due to Advanced VAR Technology

লাইন্সম্যানের নজর এড়ালেও, প্রযুক্তির নজর এড়ানো সম্ভব নয় ৷ আর সেটাই হল ফিফা বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) প্রথম ম্যাচে ৷ পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর ভিএআর-এর সাহায্য সূক্ষ্ম অফসাইড ধরা পড়ল (Ecuador Goal Cancelled Due to Advanced VAR Technology) ৷ আর তার জেরেই বাতিল হয়ে গেল ম্য়াচের 3 মিনিটে ইকুয়েডরের অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়ার করা গোল ৷

দোহা, 21 নভেম্বর: কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) প্রথম গোলই অবৈধ ঘোষিত হল ৷ আর সেটাও ভিএআর (VAR) অর্থাৎ, ‘ভিডিয়ো অ্যাসিসটেন্ট রেফারি’ (Video Assistant Referee) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৷ ম্যাচের 3 মিনিটে ইকুয়েডর অধিনায়ক ইনার ভ্যালেনসিয়া (Enner Valencia) হেডারে গোল করেন ৷ কিন্তু, লেফ উইং থেকে বল ভেসে আসার সময় ইকুয়েডরের এক ফুটবলার অফসাইড পজিশনে চলে যান (Ecuador Goal Cancelled Due to Advanced VAR Technology) ৷ তাও খুবই সূক্ষ্ম ৷ যা লাইন্সম্যানের নজরে পড়া কার্যত অসম্ভব ৷

ভিএআর প্রযুক্তিতে দেখা যায়, লেফ উইং থেকে ইকুয়েডরের খেলোয়াড় বল বাড়ানোর সময় রিসিভিং এন্ডের প্লেয়ারের ডান পা কাতারের ডিফেন্ডারের বডি লাইনের বাইরে ৷ এই অতি সূক্ষ্ম অফসাউড ধরা পড়ে ভিএআর প্রযুক্তিতে ৷ 2018 রাশিয়া বিশ্বকাপেও ভিএআর ব্যবহার হয়েছিল ৷ কিন্তু, সেখানে মাঠের রেফারিকে সিদ্ধান্ত নিতে হত কোনটি অফসাইড বা কোনটি পেনাল্টি ৷ কিন্তু, কাতার বিশ্বকাপে পুরোটাই ঠিক করে দিচ্ছে প্রযুক্তি ৷ আর সেটা করছে ম্যাচে ব্যবহার হওয়া বিশ্বকাপের বল ‘আল রিহলা’র মধ্যে থাকা ‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ এবং স্টেডিয়ামের ছাদে লাগানো 12টি ক্যামেরা ৷ যা সরাসরি বলের ‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ এর সঙ্গে যুক্ত ৷

অফসাইডের সেই মুহূর্তের গ্রাফিক্যাল ইমেজ (সৌজন্য-জিও সিনেমা)

আরও পড়ুন:সাদিয়ো মানেকে ছাড়াই ডাচদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযানে সেনেগাল

‘ইউনিট মোশন সেন্সর’ বা আইএমইউ’র সাহায্যে স্টেডিয়ামের বিশেষ 12টি ক্যামেরা বল ও ফুটবলারের অবস্থান নির্ধারণ করে মুহূর্তের মধ্যে জানিয়ে দিচ্ছে কোন খেলোয়াড় অফসাইউ পজিশনে যাচ্ছেন ৷ আর কোনটি বৈধ গোল ৷ কোনদিকে বল যাচ্ছে, তার গতি সবই 500 হার্ৎজ প্রতি সেকেন্ডে 500 ফ্রেমে রেকর্ড করছে স্টেডিয়ামের ওই 12টি ক্যামেরা ৷ সেই সঙ্গে মাঠের 22 জন ফুটবলারকে প্রতি সেকেন্ডে 50টি ফ্রেমে বন্দি করা হচ্ছে ৷ আর সেই পুরো তথ্য ‘ভিডিয়ো অপারেশন রুমে’, ‘ভিডিয়ো অ্যাসেসটেন্ট রেফারি’ এর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ৷ এই অ্যাডভান্স প্রযুক্তির দৌলতে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথম গোল অবৈধ ঘোষণা করলেন রেফারি ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details