কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন প্রায় 24 ঘণ্টা হতে চলেছে ৷ এবার সোশাল মিডিয়ায় অফিসিয়ালি নিজের অবসর নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেন ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami Express Her Gratitude) ৷ যেখানে ঝুলন উল্লেখ করছেন, এমন একটা সফর তিনি শেষ করলেন, যা তাঁর জীবনে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ৷ আর সেই সফরকে 'সবচেয়ে সুখের সফর' বলে উল্লেখ করেছেন ঝুলন গোস্বামী ৷ তবে, পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে অবসর নিলেও, তিনি বেশিদিন মাঠের বাইরে থাকবেন না, সে কথাও জানিয়েছেন ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ ৷
এদিন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তটিতে তাঁর ক্রিকেট পরিবার এবং তাঁর অনুরাগীদের উল্লেখ করেছেন ঝুলন ৷ যেখানে তিনি শুরুটা করেছেন এইভাবে, ‘‘আমার ক্রিকেট পরিবার এবং তাঁর থেকেও বেশি যাঁরা, তো অবশেষে সেই দিনটা এসে গেল ! প্রতিটা সফরের যেমন একটা শেষ আছে ৷ ঠিক তেমনই আমার দীর্ঘ 20 বছরের ক্রিকেট সফর শেষ হল আজ ৷ আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলাম ৷’’
এ দিন ঝুলন তাঁর ধন্যবাদ জ্ঞাপন চিঠিতে আর্নেস্ট হ্যামিংওয়ের মন্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘‘আর্নেস্ট হ্যামিংওয়ে বলেছিলেন, ‘পরবর্তী সফর শুরু করার আগে, একটা সফর শেষ হওয়া খুব জরুরি ৷ কিন্তু, এটা সেই সফর, শেষে গিয়ে যার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে’ ৷ আমার জন্য এই সফর সবচেয়ে সন্তোষজনক ৷ এটা খুবই উত্তেজক ছিল ৷ বলতে গেলে একপ্রকার রোমাঞ্চ ছিল এই সফরে ৷ আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি ৷ আমি ভারতের জার্সি গায়ে প্রায় দু’দশক আমার দেশের হয়ে খেলে গিয়েছি এবং আমার সেরাটা দেওয়া চেষ্টা করেছি ৷ যখনই আমি প্রতি ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত শুনতাম, সেখানে সবসময় একটা গর্বের অনুভূতি কাজ করত ৷’’
ঝুলনের ধন্যবাদ জ্ঞাপনে, উঠে এসেছে সতীর্থ খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষ, খেলার মাঝে তৈরি হওয়া বন্ধু, সাংবাদিক, ম্যাচের আয়োজক এবং বোর্ড প্রশাসকদের প্রসঙ্গ ৷ আর এরা সকলে তাঁর জীবনে বছরের পর বছর ধরে উপহারের মতো এসেছেন বলে জানান ঝুলন ৷ চাকদা এক্সপ্রেস চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেটার হিসাবে আমি সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করেছি ৷ আশা করি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট এবং বিশ্ব ক্রিকেটের অগ্রগতিতে আমি অবদান রাখতে পেরেছি ৷ আশা করি পরবর্তী প্রজন্মের মেয়েদের আমি এই সুন্দর খেলার সঙ্গে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করতে পেরেছি ৷’’