পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

কার্যক্ষমতা বাড়াতে সার্ভারগুলিকে তরলে ডোবাল মাইক্রোসফট

By

Published : Apr 8, 2021, 12:56 PM IST

microsoft-puts-servers-in-liquid-to-enhance-performance
microsoft-puts-servers-in-liquid-to-enhance-performance ()

মাইক্রোসফট নিজেদের সার্ভারগুলিকে তরলে ডোবাতে শুরু করেছে ৷ যাতে তাদের পারফরম্যান্স এবং এনার্জি বাঁচানোর ক্ষমতা বাড়ে । উৎপাদনজনিত ক্ষমতা বাড়াতে সার্ভারগুলির একটি ব়্যাককে ব্যবহার করা হচ্ছে । ফ্লুরোকার্বন ভিত্তিক এই তরল উত্তাপ লাঘব করে ৷

সান ফ্রান্সিসকো, 8 এপ্রিল : স্কটিশ সাগরের তলদেশে একটা গোটা ডেটা সেন্টারকে ডোবানোর পর মাইক্রোসফট এবার নিজেদের সার্ভারগুলিও তরলে চোবাতে শুরু করেছে ৷ সেগুলির কার্যক্ষমতা ও সেগুলির এনার্জি বাঁচানোর জন্যে ।

ভার্জে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সার্ভারগুলির একটি র‌্যাককে উৎপাদনজনিত ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যে দেখে মনে হচ্ছে, “যেন তরল দিয়ে তাদের স্নান করানো হচ্ছে ।” মাইক্রোসফটের ডেটা সেন্টার অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান বেলাডেকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টটি জানিয়েছে, “এটি আদপে একটি স্নানাগার, বাথটাব । র‌্যাকটিকে ওই টাবের ভিতরে শুইয়ে রাখা থাকছে । আপনি দেখতে পাবেন, তার উপরের তরল ফুটছে, ঠিক যেমন আপনার বাড়ির কোনও পাত্রে রাখা তরল ফোটে । আপনার পাত্রে তরল যে উষ্ণতায় ফোটে, তা হল 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস । আর এইক্ষেত্রে পাত্রটির উষ্ণতা 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস ।”

এই ফ্লুরো কার্বন ভিত্তিক তরল উষ্ণতা লাঘব করে কাজ শুরু করে ৷ এটি সরাসরি উপাদানগুলির উপর আঘাত করে । আর তার ফলেই এই তরল এমন একটি স্বল্প মাত্রার বয়লিং পয়েন্টে পৌঁছে জমে যায় ৷ তার পর ঝরে পড়ার মতো করে পাত্রে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে । এই ‘লিকুইড কুলিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্লেয়াররা । এই পদ্ধতিতে তারা বিটকয়েন ও অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করে। বেলাডের কথায়, “ডেটা সেন্টারগুলির জল আহরণের চাহিদাকে এই পদ্ধতি দূর করে দেবে । তাই আমাদের জন্য এটি খুবই জরুরি জিনিস ।” তিনি বলেছেন, “এটি একটি ছোট ডেটা সেন্টার ৷ আমরা একটি র‌্যাকের মূল্য অনুধাবন করছি । আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ধাপে ধাপে এগোনো হয় ৷ পরবর্তী ধাপে শীঘ্রই আমরা একাধিক র‌্যাক নিয়ে কাজ করব ।”

আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় নিয়োগকারী ব্র্যান্ড মাইক্রোসফ্ট, বলছে সমীক্ষা

এর আগের একটি পরীক্ষায় মাইক্রোসফট একটি শিপিং কনটেনারের আকৃতির ডেটা সেন্টারকে 2018 সালে নিজেদের ‘প্রোজেক্ট নাটিক’-এর অংশ হিসাবে স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রতটে 117 ফুট গভীরে ডুবিয়েছিল ।

গতবছর সেপ্টেম্বরে এই টেক জায়েন্ট সংস্থা বলেছিল, তারা সমুদ্রের অতল থেকে শেওলা, গুগলি, শামুক ও সামুদ্রিক ফুলে আচ্ছাদিত অবস্থায় ডেটা সেন্টারটিকে তুলে এনেছিল । আর তার মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়েছিল অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্রতটের গভীরে ডেটা স্টোরেজ় আরও বেশি করে হবে । গবেষকরা মনে করেন, এই হার্ডওয়্যার তাদের বুঝতে সাহায্য করবে কেন সমুদ্রের অতল জলে রাখা ডেটা সেন্টার, স্থলে অবস্থিত ডেটা সেন্টারগুলির তুলনায় আট গুণ বেশি বিশ্বস্ত ।

এই দলের হাইপোথিসিস অনুযায়ী, সমুদ্রের অতলের জলবায়ুতে নাইট্রোজেন আছে, যা অক্সিজেনের থেকে কম ক্ষয়কারী । এবং সেখানে মানুষের ভিড় না থাকায় উপাদানগুলির একে অনে্যর সঙ্গে ধাক্কা লাগা বা ঘেঁষাঘেষির কোনও জায়গা নেই । এটাই হল প্রাথমিক পার্থক্য । মাইক্রোসফট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ডেটা সেন্টারগুলিকে উপকূলবর্তী শহরের জলের গভীরে রাখলে, ডেটা সঠিক স্থানে পৌঁছাতে কম সময় নেবে । যার জন্য দ্রুত এবং মসৃণ ওয়েব সার্ফিং করা যাবে ৷ ভিডিয়ো স্ট্রিমিং করা যাবে এবং গেমও খেলা যাবে ।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details