সান ফ্রান্সিসকো, 8 এপ্রিল : স্কটিশ সাগরের তলদেশে একটা গোটা ডেটা সেন্টারকে ডোবানোর পর মাইক্রোসফট এবার নিজেদের সার্ভারগুলিও তরলে চোবাতে শুরু করেছে ৷ সেগুলির কার্যক্ষমতা ও সেগুলির এনার্জি বাঁচানোর জন্যে ।
ভার্জে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সার্ভারগুলির একটি র্যাককে উৎপাদনজনিত ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যে দেখে মনে হচ্ছে, “যেন তরল দিয়ে তাদের স্নান করানো হচ্ছে ।” মাইক্রোসফটের ডেটা সেন্টার অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান বেলাডেকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টটি জানিয়েছে, “এটি আদপে একটি স্নানাগার, বাথটাব । র্যাকটিকে ওই টাবের ভিতরে শুইয়ে রাখা থাকছে । আপনি দেখতে পাবেন, তার উপরের তরল ফুটছে, ঠিক যেমন আপনার বাড়ির কোনও পাত্রে রাখা তরল ফোটে । আপনার পাত্রে তরল যে উষ্ণতায় ফোটে, তা হল 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস । আর এইক্ষেত্রে পাত্রটির উষ্ণতা 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস ।”
এই ফ্লুরো কার্বন ভিত্তিক তরল উষ্ণতা লাঘব করে কাজ শুরু করে ৷ এটি সরাসরি উপাদানগুলির উপর আঘাত করে । আর তার ফলেই এই তরল এমন একটি স্বল্প মাত্রার বয়লিং পয়েন্টে পৌঁছে জমে যায় ৷ তার পর ঝরে পড়ার মতো করে পাত্রে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে । এই ‘লিকুইড কুলিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্লেয়াররা । এই পদ্ধতিতে তারা বিটকয়েন ও অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করে। বেলাডের কথায়, “ডেটা সেন্টারগুলির জল আহরণের চাহিদাকে এই পদ্ধতি দূর করে দেবে । তাই আমাদের জন্য এটি খুবই জরুরি জিনিস ।” তিনি বলেছেন, “এটি একটি ছোট ডেটা সেন্টার ৷ আমরা একটি র্যাকের মূল্য অনুধাবন করছি । আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ধাপে ধাপে এগোনো হয় ৷ পরবর্তী ধাপে শীঘ্রই আমরা একাধিক র্যাক নিয়ে কাজ করব ।”