পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

সামনে পৌর নির্বাচন, দলীয় সক্রিয়তায় জোর CPI-এর

By

Published : Jan 25, 2020, 2:30 PM IST

Updated : Jan 25, 2020, 7:16 PM IST

cpi meeting on municipal-elections
CPI

পৌর নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নামল CPI ৷ ভূপেশ ভবনে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্য নেতারা ৷ বাম দলটির বিশ্বাস, রাজ্যের কোনও কোনও অঞ্চলে এককভাবেও BJP ও তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে পারে তারা ৷ দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি দলকে চাঙ্গা করেছে ৷"

কলকাতা, 25 জানুয়ারি: তিন মাস পরে রাজ্যে পৌর নির্বাচন, ঘর গোছাতে নেমে পড়ল CPI । দলের রাজ্য দপ্তর ভূপেশ ভবনে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্য নেতারা ।
শনিবার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আসন্ন নির্বাচনের কৌশল নিয়ে পুরোদস্তুর আলোচনা হয় । পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যখন ফের বাম-কংগ্রেস জোটের প্রসঙ্গ উঠছে, তখন তাদের ছাড়া এককভাবে লড়তেও প্রস্তুত হচ্ছে CPI ৷ নেতৃত্বের বিশ্বাস, রাজ্যের কোনও কোনও অঞ্চলে দল এককভাবেও BJP ও তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে পারে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মতো শক্ত ঘাঁটিকে প্রাক নির্বাচন পর্বে জোর দেওয়া হচ্ছে৷ এছাড়া উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট, মধ্যমগ্রামের মতো CPI প্রভাবিত জায়গাগুলিতে সক্রিয় রণকৌশলের সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের বৈঠকে।

বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে CPI আদর্শগতভাবে মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। ওঠে আর্থিক সংকটের প্রসঙ্গ। দলীয় মুখপত্র 'দৈনিক কালান্তর' পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দলের প্রচারে বেগ পেতে হচ্ছে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন CPI রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মঞ্জুকুমার মজুমদার। কর্মীদের কাছে উচ্চনেতৃত্বের বার্তা পৌঁছানোর মাধ্যম ছিল দলীয় মুখপত্র । যা বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন অনেকেই ।

কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সম্প্রতি কানাইয়া কুমারকে শহরে এনেছিল CPI। শনিবার রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি দলকে বেশ কিছুটা চাঙ্গা করেছে।" তিনি মন্তব্য করেন, "দেশজোড়া লংমার্চ প্রমাণ দেয় শ্রমজীবী মানুষের কথা বলার জন্য এখনও বামপন্থীরা আছেন৷ ''

Intro:নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও, আর তিন মাস পরে রাজ্যের শতাধিক পৌরসভা এবং কর্পোরেশন নির্বাচন হবে, এই লক্ষ্যে ঘর গোছাতে ব্যস্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। দলের রাজ্য দপ্তর ভূপেশ ভবনে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সিপিআই নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েছেন। মূল লক্ষ্য, বা পাখির চোখ রাজ্যের শতাধিক পৌরসভা এবং কর্পোরেশন নির্বাচন।


Body:দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিআই জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে পুরোদস্তুর আলোচনা হচ্ছে সংগঠনের সক্রিয়তা নিয়ে। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসতো আছেই, সিপিআই এককভাবে নির্বাচনে লড়াই করতে কতটা শায়েস্তা করতে পারে বিজেপি এবং তৃণমূলকে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হচ্ছে দলের অন্দরে। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আসন্ন নির্বাচনে জোর দেওয়া হচ্ছে সিপিআই দলগতভাবে। উত্তর 24 পরগনা বসিরহাট, মধ্যমগ্রাম সহ সিপিআই প্রভাবিত জায়গাগুলিতে সংগঠনকে সক্রিয় করার রণকৌশল ঠিক হয়েছে আজকের বৈঠকে।
সমগ্র রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো সিপিআই নেতৃত্ব আদর্শগতভাবে কতটা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে। দলীয় মুখপত্র দৈনিক কালান্তর পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দলের আদর্শ এবং মতামত প্রচারে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিআই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মঞ্জু কুমার মজুমদার।
আর্থিক সংকটের প্রসঙ্গটি বৈঠকে উঠে এসেছে বারবার। দলীয় মুখপত্র কালান্তর পত্রিকা দলীয় কর্মীদের কাছে নেতৃত্বের বার্তা পৌঁছানোর অন্যতম মাধ্যম ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত জেলার মেহনতী মানুষের কাছে পার্টি অফিসের এক কোনায় টানানো কালান্তর পত্রিকা নিয়মিত পড়ে সেখান থেকে বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া অনেক সহজ ছিল। সেই মাধ্যম আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘোর সমস্যায় পড়েছেন শীর্ষস্তরের নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল স্তরের সিপিআই কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে এবং সংগঠন কে চাঙ্গা করতে সম্প্রতি কানাইয়া কুমার শহরে এসেছিলেন। একের পর এক আন্দোলন কর্মসূচি দলকে কিছুটা হলেও ছাড়া করেছে বলে মন্তব্য করেন রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে দেশজোড়া লংমার্চ প্রমাণ দিয়ে যায় এখনো শ্রমজীবী মানুষের কথা বলার জন্যই রয়েছে বামপন্থীরা মন্তব্য সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


Conclusion:
Last Updated :Jan 25, 2020, 7:16 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details