ETV Bharat / state

বিয়ের দিনে নিখোঁজ যুবক, মৃতদেহ উদ্ধার কুয়ো থেকে

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 28, 2024, 10:03 PM IST

Young man missing on wedding day: গত 23 জানুয়ারি সৈকতের বিয়ে ছিল। বিয়ের দিন ভোরবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সৈকত দাস। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের পরনে জামা-প্যান্ট, জুতো ও শীতের জ্যাকেট ছিল। যদিও পুলিশের অনুমান, দিন কয়েক ধরে মৃতদেহটি কুয়োয় পড়ে থাকার কারনে ফুলে গিয়েছে।

Etv Bharat
Etv Bharat

আসানসোল, 28 জানুয়ারি: বিয়ের দিন সকাল থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। 5 দিন পর ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ির কাছের একটি পরিত্যক্ত এক কুয়ো থেকে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়াল বারাবনি থানার জামগ্রাম এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সৈকত দাস (31)। বারাবনি থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা কুয়ো থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। কীভাবে এই মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সংশয়ে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মৃত সৈকত দাসের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 23 জানুয়ারি সৈকতের বিয়ে ছিল। আগের দিন গায়ে হলুদের পর্বও ঠিকঠাকভাবেই মিটেছিল। সৈকতও কোনও অস্বাভাবিক আচরণ করেননি। বিয়ের দিন ভোরবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সৈকত। কোথায় যাচ্ছেন সে বিষয়েও কিছু জানায়নি পরিবারকে। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মেলেনি সৈকতের। পরিবারের লোকেরা মিসিং ডায়েরি করেছিল বারাবনি থানায়। কিন্তু তারপরেও কোনও খোঁজ মেলেনি সৈকতের। রবিবার বিকেলে এলাকায় পঁচা গন্ধ পাওয়া যায়। তখন গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় একটি মৃতদেহ ভাসছে কুয়োয়। খবর দেওয়া হয় বারাবনি থানায়। খবর পেয়ে আসে দমকল বাহিনীও। পুলিশ ও দমকল এসে মৃতদেহটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করে ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের পরনে জামা-প্যান্ট, জুতো ও শীতের জ্যাকেট ছিল। যদিও পুলিশের অনুমান দিন কয়েক ধরে মৃতদেহটি কুয়োয় পড়ে থাকায় ফুলে গিয়েছে। মৃত সৈকত দাস ইসিএলের কর্মী ছিলেন বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি ইসিএলের কাল্লা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বিয়ের দিনে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। তারপরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল !

খুন না আত্মহত্যা, নাকি দুর্ঘটনা তা নিয়ে পুলিশ ধোঁয়াশায়। যে স্থানে কুয়ো থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি ইসিএল নিয়ে নিয়েছে কয়লা উত্তোলনের জন্য। ফলে বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় কার্যত ফাঁকা হয়ে আছে এলাকাটি। ওই কুয়োটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মৃত সৈকত দাসের বাবা স্বপন দাসের দাবি, "খুন করা হয়েছে আমার ছেলেকে। আত্মহত্যা করার কোনও কারণ নেই। গত দুদিন আগেও ওর মোবাইলে রিং বেজেছে। কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলে মোবাইল জলে পড়ত। বিয়ের দিন ভোরে তাকে কেউ বা কারা ওকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।"

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারাবনি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মৃত সৈকতের ফোন কল রেকর্ডও দেখা হচ্ছে পরীক্ষা করে। পাশাপাশি তাঁর লাস্ট টাওয়ার লোকেশনও দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর আগে সে কোথায় গিয়েছিল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

কাঁচরাপাড়ায় স্ক্র্যাপের দোকানে বোমাবাজিতে হাত উড়ল কর্মচারীর, জখম আরও এক

বড়ঞায় যুবকের মৃত্যু রহস্য, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বিক্ষোভ

পদের লোভ দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণে আত্মঘাতী মহিলা কর্মী ! বেপাত্তা বাঁকুড়ার বিজেপি নেতা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.