ETV Bharat / state

কয়েকঘণ্টার জন্য প‍্যারোলে মুক্ত হয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ মনুয়ার

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 6, 2024, 3:08 PM IST

Manua Majumdar: সকাল থেকেই বাড়ির লনে মেয়ের অপেক্ষায় ৷ প‍্যারোলে মুক্তি পেয়ে প্রিজন ভ‍্যান থেকে মনুয়া নামতেই হাত বাড়ালেন বাবা । খোঁজ নিলেন অসুস্থ মায়েরও । বারাসত যেন ফিরে গেল সাত বছর আগে । প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন করেছিল মনুয়া মজুমদার ।

Manua Majumdar
মনুয়া মজুমদার
প‍্যারোলে মুক্ত মনুয়া

বারাসত, 6 ফেব্রুয়ারি: সংশোধনাগার থেকে প‍্যারোলে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ মা'কে দেখতে বারাসতের বাড়িতে স্বামী হত‍্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া মজুমদার । সোমবার মাত্র 6 ঘণ্টার জন্য প‍্যারোলে মুক্তি পায় সে। এদিন বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রিজন ভ‍্যানে চাপিয়ে প্রথমে মনুয়াকে নিয়ে আসা হয় বারাসত থানায়। এরপর সেখানকার পুলিশ কর্মীদের সহায়তায় তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় ষষ্ঠীপুকুরের বাড়িতে।

ঘরের মেয়ে মনুয়ার আসার অনেক আগে থেকেই বাড়ির লনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন তার বাবা নির্মল মজুমদার-সহ পরিবারের বাকি সদস‍্যরা । তাই মনুয়া প্রিজন ভ‍্যান থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকতেই চোখেমুখে বাড়তি অনুভূতি লক্ষ্য করা যায় পরিবারের লোকজনের মধ্যে। যদিও সংবাদমাধ্যমের তৎপরতা এড়াতে এদিন মনুয়াকে সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা । বারাসত থানা থেকে বাড়ি পর্যন্ত, এই সময়কালের মধ্যে একটিও টুঁ শব্দ উচ্চারণ করেনি মনুয়া । মুখ খোলেননি মনুয়ার বাবা নির্মল মজুমদারও ।

তবে সূত্রের খবর, মনুয়ার মা রুমা মজুমদার স্পন্ডেলাইটিসে ভুগছেন বেশ কয়েকবছর ধরেই । এছাড়া তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে আরও নানান উপসর্গ । এর জেরে কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই অসুস্থতা আরও বেড়ে গিয়েছে তাঁর । একপ্রকার বিছানাতেই শয্যাশায়ী মনুয়ার মা । মায়ের অসুস্থতার খবর বর্ধমান সংশোধনাগারে লকআপে থেকেই পেয়েছিল মনুয়া । তাই দেরি না-করে অসুস্থ মাকে একবার নিজের চোখে দেখতে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছিল সে । মনুয়ার সেই আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বারাসত কোর্টের কাছেও । শেষমেশ মনুয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত ছ'ঘণ্টার জন্য প‍্যারোলে মুক্তি মঞ্জুর করেন ।

এই বিষয়ে অশোক মজুমদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,"শুনেছি ওর(মনুয়া) মা নাকি খুব অসুস্থ । সেই কারণে ছ'ঘণ্টার প‍্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসেছে অসুস্থ মাকে দেখতে । প‍্যারোলে মুক্তি পেলেও ওঁকে তো আবার জেলেই ফিরে যেতে হবে । দোষ করলে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা তো হবেই । সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাঁর সাজা ভোগ করবে এটাই নিয়ম ৷"

প্রসঙ্গত, 2017 সালের 2 মে বারাসতের হৃদয়পুরে প্রেমিক অজিতকে দিয়ে স্বামী অনুপম সিংহকে খুন করানোর অভিযোগ ওঠে মনুয়া মজুমদারের বিরুদ্ধে । হাড়হিম করা সেই হত্যাকাণ্ড ফোনের অপরপ্রান্তে প্রতিটি মুহুর্ত নিজের কানে শুনেছিল প্রেমিকা মনুয়া । খুনের সেই ঘটনা শোরগোল ফেলেছিল রাজ্যে । শেষমেশ স্বামী অনুপম সিংহকে পরিকল্পিত হত‍্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় মনুয়া । একই সাজা হয় মনুয়ার প্রেমিক অজিত রায়েরও । সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া আপাতত স্থান হয়েছে বর্ধমান সংশোধনাগারে । সেখানে সে নাচের দলের সঙ্গেও যুক্ত।

আরও পড়ুন:

  1. খুনের ঘটনা অতীত, রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে চেনাচ্ছে বারাসতের মনুয়া
  2. মনমরা মনুয়া, রাগে ফুঁসছিল অজিত !
  3. অনুপম হত্যা মামলা : মনুয়া ও অজিতের যাবজ্জীবন

প‍্যারোলে মুক্ত মনুয়া

বারাসত, 6 ফেব্রুয়ারি: সংশোধনাগার থেকে প‍্যারোলে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ মা'কে দেখতে বারাসতের বাড়িতে স্বামী হত‍্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া মজুমদার । সোমবার মাত্র 6 ঘণ্টার জন্য প‍্যারোলে মুক্তি পায় সে। এদিন বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রিজন ভ‍্যানে চাপিয়ে প্রথমে মনুয়াকে নিয়ে আসা হয় বারাসত থানায়। এরপর সেখানকার পুলিশ কর্মীদের সহায়তায় তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় ষষ্ঠীপুকুরের বাড়িতে।

ঘরের মেয়ে মনুয়ার আসার অনেক আগে থেকেই বাড়ির লনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন তার বাবা নির্মল মজুমদার-সহ পরিবারের বাকি সদস‍্যরা । তাই মনুয়া প্রিজন ভ‍্যান থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকতেই চোখেমুখে বাড়তি অনুভূতি লক্ষ্য করা যায় পরিবারের লোকজনের মধ্যে। যদিও সংবাদমাধ্যমের তৎপরতা এড়াতে এদিন মনুয়াকে সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা । বারাসত থানা থেকে বাড়ি পর্যন্ত, এই সময়কালের মধ্যে একটিও টুঁ শব্দ উচ্চারণ করেনি মনুয়া । মুখ খোলেননি মনুয়ার বাবা নির্মল মজুমদারও ।

তবে সূত্রের খবর, মনুয়ার মা রুমা মজুমদার স্পন্ডেলাইটিসে ভুগছেন বেশ কয়েকবছর ধরেই । এছাড়া তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে আরও নানান উপসর্গ । এর জেরে কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই অসুস্থতা আরও বেড়ে গিয়েছে তাঁর । একপ্রকার বিছানাতেই শয্যাশায়ী মনুয়ার মা । মায়ের অসুস্থতার খবর বর্ধমান সংশোধনাগারে লকআপে থেকেই পেয়েছিল মনুয়া । তাই দেরি না-করে অসুস্থ মাকে একবার নিজের চোখে দেখতে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছিল সে । মনুয়ার সেই আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বারাসত কোর্টের কাছেও । শেষমেশ মনুয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত ছ'ঘণ্টার জন্য প‍্যারোলে মুক্তি মঞ্জুর করেন ।

এই বিষয়ে অশোক মজুমদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,"শুনেছি ওর(মনুয়া) মা নাকি খুব অসুস্থ । সেই কারণে ছ'ঘণ্টার প‍্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসেছে অসুস্থ মাকে দেখতে । প‍্যারোলে মুক্তি পেলেও ওঁকে তো আবার জেলেই ফিরে যেতে হবে । দোষ করলে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা তো হবেই । সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাঁর সাজা ভোগ করবে এটাই নিয়ম ৷"

প্রসঙ্গত, 2017 সালের 2 মে বারাসতের হৃদয়পুরে প্রেমিক অজিতকে দিয়ে স্বামী অনুপম সিংহকে খুন করানোর অভিযোগ ওঠে মনুয়া মজুমদারের বিরুদ্ধে । হাড়হিম করা সেই হত্যাকাণ্ড ফোনের অপরপ্রান্তে প্রতিটি মুহুর্ত নিজের কানে শুনেছিল প্রেমিকা মনুয়া । খুনের সেই ঘটনা শোরগোল ফেলেছিল রাজ্যে । শেষমেশ স্বামী অনুপম সিংহকে পরিকল্পিত হত‍্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় মনুয়া । একই সাজা হয় মনুয়ার প্রেমিক অজিত রায়েরও । সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া আপাতত স্থান হয়েছে বর্ধমান সংশোধনাগারে । সেখানে সে নাচের দলের সঙ্গেও যুক্ত।

আরও পড়ুন:

  1. খুনের ঘটনা অতীত, রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে চেনাচ্ছে বারাসতের মনুয়া
  2. মনমরা মনুয়া, রাগে ফুঁসছিল অজিত !
  3. অনুপম হত্যা মামলা : মনুয়া ও অজিতের যাবজ্জীবন
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.