ETV Bharat / state

মনমরা মনুয়া, রাগে ফুঁসছিল অজিত !

author img

By

Published : Jul 26, 2019, 6:05 PM IST

অনুপম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া ও অজিতের শরীরী ভাষা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা । এজলাসের ভিতর মনুয়া ছিল একটু মনমরা । অথচ, প্রেমিক অজিত ছিল সাবলীল । আগাগোড়া অজিতের চোখে মুখে ছিল স্পষ্ট রাগের ছাপ । কোনওরকম অনুতাপের ছাপ ধরা পড়েনি তার আচরণে ।

অজিত ও মনুয়া

বারাসত, 26 জুলাই : অনুপম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া ও অজিতের শরীরী ভাষা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা । এজলাসের ভিতর মনুয়া ছিল একটু মনমরা । অথচ, প্রেমিক অজিত ছিল সাবলীল । আগাগোড়া অজিতের চোখে মুখে ছিল স্পষ্ট রাগের ছাপ । কোনওরকম অনুতাপের ছাপ ধরা পড়েনি তার আচরণে ।

সকাল 11টা 5 মিনিটে আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফোর্থ কোর্টের এজলাসে কড়া নিরাপত্তায় মনুয়া ও অজিতকে নিয়ে আসে পুলিশ । মিনিট পনোরোর মধ্যেই শুরু হয় সাজা ঘোষণা । চলে মাত্র 5 মিনিট । এই সময়ে বিচারক বৈষ্ণব সরকার মনুয়া ও অজিতকে কিছু বলার আছে কি না তা জানতে চান । অনুপমকে হত্যার দায়ের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সাজা কী হতে পারে তা তুলে ধরা হয় তাদের সামনে । প্রথমে মনুয়া বিচারককে বলে, "প্রকৃত দোষীকে আড়াল করতেই আমাকে সফট কর্নার করা হয়েছে ।" এরপর অজিত বিচারককে বলে, "যাকে কোনও দিনও দেখেনি তার খুনেই আমাকে আসামি বানানো হয়েছে ।" দু'জনের বক্তব্য শোনার পর বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন । এছাড়াও 50 হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেন । অনাদায়ে আরও একবছরের জেল ।

মনুয়া ও অজিতকে কোর্টে নিয়ে আসা হচ্ছে

আজ প্রায় পৌনে এগারোটা নাগাদ প্রিজ়ন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় বারাসত আদালতে নিয়ে আসা হয় মনুয়া ও অজিতকে । কোর্ট চত্বরে নিরাপত্তা ছিল আঁটসাঁট । এরপর, প্রিজ়ন ভ্যান থেকে মনুয়া ও অজিতকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোর্ট লকআপে । সূত্রের খবর, সেখানে দু-জনের মধ্যে সামান্য কথাবার্তাও হয় । গতকাল অবশ্য মনুয়া ও অজিতের শরীরী ভাষা ছিল ঠিক উলটো । মনুয়া সাবলীল থাকলেও তার প্রেমিক অজিত ছিল মনমরা । আর আজ ঠিক উলটোটা ।

Intro:কোর্ট এজলাসে মনুয়া ছিল মনমরা।অজিত ছিল সাবলীল।তার চোখেমুখে ছিল রাগের ছাপ স্পষ্ট।যা অবাক করেছে অনেককেই।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-অনুপম হত‍্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী মনুয়া ও অজিতের শরীরি ভাষা আজ ছিল সম্পূর্ন আলাদা। এজলাসের ভিতর মনুয়া ছিল একটু মনমরা।অথচ,তার প্রেমিক অজিত ছিল সাবলীল। আগাগোড়া কোর্ট এজলাসে অজিতের চোখে মুখে ছিল রাগের ছাপ স্পষ্ট। এজলাসের ভিতরে ঢোকা থেকে বাইরে বেরনো,সবসময় তার চোখের অঙ্গভঙ্গি ছিল অন‍্যরকম।সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে আদালতের ফাস্ট ট্রাক ফোর্থ কোর্টের এজলাসে কড়া নিরাপত্তায় মনুয়া ও অজিতকে নিয়ে আসে পুলিশ।এরপর,১১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় সাজা ঘোষনার প্রক্রিয়া।চলে মাত্র ৫ মিনিট।এই সময়ে বিচারক বৈষ্ণব সরকার মনুয়া ও অজিতকে কিছু বলার আছে কিনা,তা জানতে চান।মামলায় সবোর্চ্চ, সর্বনিম্ন সাজা কি হতে পারে,তা তুলে ধরা হয় তাদের সামনে। প্রথমে মনুয়া বিচারককে বলেন, প্রকৃত দোষীকে আড়াল করতেই আমাকে এই মামলায় সফট কর্নার করা হয়েছে।এরপর,অজিত বিচারককে বলেন, যাকে কোনও দিনও দেখেনি,তার খুনেই আমাকে আসামি বানানো হয়েছে।দু-জনের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মনুয়া ও অজিতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। এছাড়া,৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছরের জেল।আজ প্রায় পৌনে এগারোটা নাগাদ প্রিজন ভ‍্যানে কড়া নিরাপত্তায় বারাসত আদালতে নিয়ে আসা হয় মনুয়া ও অজিতকে। কোর্ট চত্বরেও নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো।পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স‌ও মোতায়েন করা হয়েছিল।এরপর, প্রিজন ভ্যান থেকে মনুয়া ও অজিতকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোর্ট লক আপে। সূত্রের খবর, সেখানে দু-জনের মধ্যে সামান্য কথাবার্তাও হয়।মনুয়া আজ ঘিয়ে কালারের ওপর লাল ডোরাকাটা দেওয়া একটি চুড়িদার পড়ে কোর্টে এসেছিলেন।মুখ ছিল লাল ওরনায় ঢাকা।তার প্রেমিক অজিত‌ও একটি নস‍্যি কালারের ওপর ব্লু রঙের স্ট‍্যাপ দেওয়া জামা ও ব্লু রঙের প‍্যান্ট পড়ে এসেছিলেন।গতকাল অবশ্য মনুয়া ও অজিতের শরীরি ভাষা ছিল ঠিক উল্টো।মনুয়া সাবলীল থাকলেও তার প্রেমিক অজিত ছিল মনমরা।আর আজ তাদের শরীর ভাষায় দেখা গেল একে অপরের ভিন্ন।যা নিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।Conclusion:কোর্ট লক‌ আপে মনুয়া ও অজিতের মধ্যে আজ সামান্য কথাবার্তাও হয় বলে খবর।দু-জন দু-জনকে সান্ত্বনা দেওয়ারও চেষ্টা করেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.