বারাসত, 26 জুলাই : অনুপম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া ও অজিতের শরীরী ভাষা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা । এজলাসের ভিতর মনুয়া ছিল একটু মনমরা । অথচ, প্রেমিক অজিত ছিল সাবলীল । আগাগোড়া অজিতের চোখে মুখে ছিল স্পষ্ট রাগের ছাপ । কোনওরকম অনুতাপের ছাপ ধরা পড়েনি তার আচরণে ।
সকাল 11টা 5 মিনিটে আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফোর্থ কোর্টের এজলাসে কড়া নিরাপত্তায় মনুয়া ও অজিতকে নিয়ে আসে পুলিশ । মিনিট পনোরোর মধ্যেই শুরু হয় সাজা ঘোষণা । চলে মাত্র 5 মিনিট । এই সময়ে বিচারক বৈষ্ণব সরকার মনুয়া ও অজিতকে কিছু বলার আছে কি না তা জানতে চান । অনুপমকে হত্যার দায়ের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সাজা কী হতে পারে তা তুলে ধরা হয় তাদের সামনে । প্রথমে মনুয়া বিচারককে বলে, "প্রকৃত দোষীকে আড়াল করতেই আমাকে সফট কর্নার করা হয়েছে ।" এরপর অজিত বিচারককে বলে, "যাকে কোনও দিনও দেখেনি তার খুনেই আমাকে আসামি বানানো হয়েছে ।" দু'জনের বক্তব্য শোনার পর বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন । এছাড়াও 50 হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেন । অনাদায়ে আরও একবছরের জেল ।
আজ প্রায় পৌনে এগারোটা নাগাদ প্রিজ়ন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় বারাসত আদালতে নিয়ে আসা হয় মনুয়া ও অজিতকে । কোর্ট চত্বরে নিরাপত্তা ছিল আঁটসাঁট । এরপর, প্রিজ়ন ভ্যান থেকে মনুয়া ও অজিতকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোর্ট লকআপে । সূত্রের খবর, সেখানে দু-জনের মধ্যে সামান্য কথাবার্তাও হয় । গতকাল অবশ্য মনুয়া ও অজিতের শরীরী ভাষা ছিল ঠিক উলটো । মনুয়া সাবলীল থাকলেও তার প্রেমিক অজিত ছিল মনমরা । আর আজ ঠিক উলটোটা ।