ETV Bharat / state

বৌভাতের অনুষ্ঠানে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার নব দম্পতির

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 25, 2024, 10:52 PM IST

Eye Donation Camp: চক্ষুদান করে নবজীবনে অঙ্গীকার বদ্ধ হলেন চুঁচুড়ার চক্রবর্তী দম্পতি ৷ চুঁচুড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'আলোয় ফেরা'-র ডাকে মরণোত্তর চক্ষুদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল এই দম্পতির প্রতিভোজ অনুষ্ঠানে ৷

Eye Donation Camp
মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার নব দম্পতির
মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার নব দম্পতির

চুঁচুড়া, 25 জানুয়ারি: চক্ষুদান করে নব জীবনে প্রবেশ চুঁচুড়ার দম্পতির ৷ বুধবার প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে চক্ষুদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন এই নব দম্পতি ৷ উদ্দেশ্য একটাই, সমাজের প্রতিটি মানুষকে মরণোত্তর এই চক্ষুদানে উৎসাহী করা। চুঁচুড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'আলোয় ফেরা'-র তত্ত্বাবধান এই উদ্যোগ নেওয়া হয় ৷

মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় দু’টি চোখ । তার আগে সেই চোখ যদি দান করা হয়, তবে তা অন্য মানুষের জীবনে আলোর সন্ধান দিতে পারে ৷ সেই কথা মাথায় রেখেই চুঁচুড়ার হরিদ্রাডাঙার বাসিন্দা সৌম্য চক্রবর্তী ও গার্গী চক্রবর্তীকে চক্ষুদানের আবেদন জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা ৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে এই যুগল । বধুবার ছিল এই দম্পতির বৌভাতের অনুষ্ঠান ৷ সেই অনুষ্ঠানে নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন আত্মীয়স্বজন থেকে বন্ধুবান্ধব । সবার সামনে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করে নবজীবনে প্রবেশের পথে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এই দম্পতি ৷

চক্ষুদানের মতো মহৎকার্যে নিজেকে সামিল করতে পেরে আপ্লুত সৌম্য ও গার্গী চক্রবর্তী ৷ তাঁরা জানান, বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে অনেকেরই আগমন হয় ৷ এই ধরনের কাজে যাতে আরও মানুষ এগিয়ে আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ । এই প্রসঙ্গেই আলোয় ফেরার সম্পাদক উদয়কুমার পাল বলেন, "এই চক্ষুদানের অঙ্গীকারের জন্য নব দম্পতিকে অনেক ধন্যাবাদ। তাঁদের দেখে আরও অনেকে এই কাজে এগিয়ে আসবে ৷"

দৃষ্টিহীনদের 'চোখের আলো' ফেরাতে চুঁচুড়ার আলোয় ফেরা নামে একটি সংস্থা তৈরি করে। 2018 সাল থেকে চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা প্রচার করছে এই সংস্থা । এখনও পর্যন্ত 50 জনের মরণোত্তর চক্ষু সংগ্রহ করা হয়েছে । পাশাপাশি দেহ ও অঙ্গ দান নিয়েও কাজ করে সারা বছর। এই কাজে সহযোগিতা করে শ্রীরামপুর সেবা কেন্দ্র আই ব্যাংক। চুঁচুড়া আলোয় ফেরার সম্পাদক ডঃ উদয় কুমার পাল জানান, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল, চন্দননগর শহরের মরণোত্তর চক্ষুদানের আবেদন ও সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা ৷ সৌম্য ও গার্গীর মতো নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসুক দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফেরানো জন্য। এটাই আবেদন সমাজের কাছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. বৌভাতের অনুষ্ঠানে রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান শিবিরের আয়োজন নবদম্পতির
  2. এখন থেকে আর গভীর রাতে দানের দেহ গ্রহণ নয়, সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের
  3. মরণোত্তর দেহদান ! চিকিৎসকের কিডনি পেলেন জামশেদপুরের এক মহিলা

মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার নব দম্পতির

চুঁচুড়া, 25 জানুয়ারি: চক্ষুদান করে নব জীবনে প্রবেশ চুঁচুড়ার দম্পতির ৷ বুধবার প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে চক্ষুদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন এই নব দম্পতি ৷ উদ্দেশ্য একটাই, সমাজের প্রতিটি মানুষকে মরণোত্তর এই চক্ষুদানে উৎসাহী করা। চুঁচুড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'আলোয় ফেরা'-র তত্ত্বাবধান এই উদ্যোগ নেওয়া হয় ৷

মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় দু’টি চোখ । তার আগে সেই চোখ যদি দান করা হয়, তবে তা অন্য মানুষের জীবনে আলোর সন্ধান দিতে পারে ৷ সেই কথা মাথায় রেখেই চুঁচুড়ার হরিদ্রাডাঙার বাসিন্দা সৌম্য চক্রবর্তী ও গার্গী চক্রবর্তীকে চক্ষুদানের আবেদন জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা ৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে এই যুগল । বধুবার ছিল এই দম্পতির বৌভাতের অনুষ্ঠান ৷ সেই অনুষ্ঠানে নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন আত্মীয়স্বজন থেকে বন্ধুবান্ধব । সবার সামনে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করে নবজীবনে প্রবেশের পথে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এই দম্পতি ৷

চক্ষুদানের মতো মহৎকার্যে নিজেকে সামিল করতে পেরে আপ্লুত সৌম্য ও গার্গী চক্রবর্তী ৷ তাঁরা জানান, বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে অনেকেরই আগমন হয় ৷ এই ধরনের কাজে যাতে আরও মানুষ এগিয়ে আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ । এই প্রসঙ্গেই আলোয় ফেরার সম্পাদক উদয়কুমার পাল বলেন, "এই চক্ষুদানের অঙ্গীকারের জন্য নব দম্পতিকে অনেক ধন্যাবাদ। তাঁদের দেখে আরও অনেকে এই কাজে এগিয়ে আসবে ৷"

দৃষ্টিহীনদের 'চোখের আলো' ফেরাতে চুঁচুড়ার আলোয় ফেরা নামে একটি সংস্থা তৈরি করে। 2018 সাল থেকে চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা প্রচার করছে এই সংস্থা । এখনও পর্যন্ত 50 জনের মরণোত্তর চক্ষু সংগ্রহ করা হয়েছে । পাশাপাশি দেহ ও অঙ্গ দান নিয়েও কাজ করে সারা বছর। এই কাজে সহযোগিতা করে শ্রীরামপুর সেবা কেন্দ্র আই ব্যাংক। চুঁচুড়া আলোয় ফেরার সম্পাদক ডঃ উদয় কুমার পাল জানান, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল, চন্দননগর শহরের মরণোত্তর চক্ষুদানের আবেদন ও সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা ৷ সৌম্য ও গার্গীর মতো নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসুক দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফেরানো জন্য। এটাই আবেদন সমাজের কাছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. বৌভাতের অনুষ্ঠানে রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান শিবিরের আয়োজন নবদম্পতির
  2. এখন থেকে আর গভীর রাতে দানের দেহ গ্রহণ নয়, সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের
  3. মরণোত্তর দেহদান ! চিকিৎসকের কিডনি পেলেন জামশেদপুরের এক মহিলা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.