ETV Bharat / state

Thalassemia Girl Clears NEET: থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে লড়ে নিট উত্তীর্ণ মেদিনীপুরের ইন্দ্রাণী

সম্প্রতি ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট পাশ করেছেন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা মেডিক্যাল পড়ুয়া ইন্দ্রাণী বিশ্বাস (Thalassemia Girl Indrani Biswas Clears NEET) ৷ তিনি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ৷ তাই নিত্যদিন বেঁচে থাকার লড়াই চলে তাঁর ৷ সেই ইন্দ্রাণীর স্বপ্ন চিকিৎসক হয়ে, থ্যালাসেমিয়াতে আক্রান্ত অন্যান্যদের পাশে দাঁড়ানো ৷ এই রোগের সচেতনতায় কাজ করা ৷

Medinipur Resident Thalassemia Girl Indrani Biswas Clears NEET
Medinipur Resident Thalassemia Girl Indrani Biswas Clears NEET
author img

By

Published : Nov 7, 2022, 7:16 PM IST

মেদিনীপুর 7 নভেম্বর: মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরের বাসিন্দা মেডিক্যাল পড়ুয়া ইন্দ্রাণী বিশ্বাস ৷ তিনি নিজে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ৷ সুস্থ থাকার জন্য মাসে অন্তত দু’বার রক্ত নিতে হয় ইন্দ্রাণীকে ৷ বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়েও এ বার অন্যদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর ৷ তাই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চাদের জীবন বাঁচাতে ভবিষ্যতে কাজ করতে চান কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ইন্দ্রাণী বিশ্বাস ৷ সেই লক্ষ্যে এ বছর ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET) উত্তীর্ণ হলেন ইন্দ্রাণী (Thalassemia Girl Indrani Biswas Clears NEET) ৷

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল পড়া ইন্দ্রাণীর ইচ্ছে ভবিষ্যতে হেমাটোলজি (Hematology) ও ব্লাড ক্যানসার নিয়ে পড়াশোনা করা ৷ যেহেতু নিজে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, তাই তাঁর মতো যাঁরা প্রতিনিয়ত এই সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই উদ্দেশ্য ইন্দ্রাণীর ৷ জন্মের 7 মাস পরেই ইন্দ্রাণীর বাবা অভিজিৎ বিশ্বাস এবং মা তনুজা বিশ্বাস জানতে পারেন তাঁদের মেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ৷ সেই থেকেই শুরু হয়েছে জীবনযুদ্ধের লড়াই ৷ আগে মাসে একবার রক্ত নিতে হত ৷ কিন্তু, বর্তমানে দু’বার রক্ত নিতে হয় ইন্দ্রাণীকে ৷

তবে, সবচেয়ে খারাপ সময় এসেছিল করোনার সময় ৷ সেই সময় লকডাউনের মধ্যে রক্তের জোগান কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন ইন্দ্রাণী ৷ সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি ৷ ইন্দ্রাণী বিশ্বাসের আদি বাড়ি বাঁকুড়া জেলার নীবড়া গ্রামে ৷ সেখানেই গড়গড়িয়া সুভাষ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছেন ৷ এরপর 2019 মেদিনীপুর শহরের নির্মল হৃদয় আশ্রম স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি ৷

থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে লড়ে নিট উত্তীর্ণ মেদিনীপুরের ইন্দ্রাণী

আরও পড়ুন: আজ জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিবস

তবে, তাঁর চলার পথ কখনই সহজ ছিল না ৷ চিকিৎসক হওয়ার লড়াইয়ে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর দুরারোগ্য ব্যাধি ৷ মাঝে এমনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যখন পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পরিস্থিতি চলে আসে ৷ কিন্তু, সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে বর্তমানে নিজের স্বপ্নপূরণের অনেক কাছে ইন্দ্রাণী বিশ্বাস ৷ আর তাঁর এই লড়াইয়ে সর্বদা পাশে পেয়েছিলেন বাবা, মা ও ভাইকে ৷ আজ ইন্দ্রাণী তাঁর মতো এবং সুস্থ জীবনযাপন করছেন এমন বহু মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা ৷

মেদিনীপুর 7 নভেম্বর: মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরের বাসিন্দা মেডিক্যাল পড়ুয়া ইন্দ্রাণী বিশ্বাস ৷ তিনি নিজে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ৷ সুস্থ থাকার জন্য মাসে অন্তত দু’বার রক্ত নিতে হয় ইন্দ্রাণীকে ৷ বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়েও এ বার অন্যদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর ৷ তাই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চাদের জীবন বাঁচাতে ভবিষ্যতে কাজ করতে চান কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ইন্দ্রাণী বিশ্বাস ৷ সেই লক্ষ্যে এ বছর ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET) উত্তীর্ণ হলেন ইন্দ্রাণী (Thalassemia Girl Indrani Biswas Clears NEET) ৷

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল পড়া ইন্দ্রাণীর ইচ্ছে ভবিষ্যতে হেমাটোলজি (Hematology) ও ব্লাড ক্যানসার নিয়ে পড়াশোনা করা ৷ যেহেতু নিজে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, তাই তাঁর মতো যাঁরা প্রতিনিয়ত এই সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই উদ্দেশ্য ইন্দ্রাণীর ৷ জন্মের 7 মাস পরেই ইন্দ্রাণীর বাবা অভিজিৎ বিশ্বাস এবং মা তনুজা বিশ্বাস জানতে পারেন তাঁদের মেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ৷ সেই থেকেই শুরু হয়েছে জীবনযুদ্ধের লড়াই ৷ আগে মাসে একবার রক্ত নিতে হত ৷ কিন্তু, বর্তমানে দু’বার রক্ত নিতে হয় ইন্দ্রাণীকে ৷

তবে, সবচেয়ে খারাপ সময় এসেছিল করোনার সময় ৷ সেই সময় লকডাউনের মধ্যে রক্তের জোগান কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন ইন্দ্রাণী ৷ সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি ৷ ইন্দ্রাণী বিশ্বাসের আদি বাড়ি বাঁকুড়া জেলার নীবড়া গ্রামে ৷ সেখানেই গড়গড়িয়া সুভাষ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছেন ৷ এরপর 2019 মেদিনীপুর শহরের নির্মল হৃদয় আশ্রম স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি ৷

থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে লড়ে নিট উত্তীর্ণ মেদিনীপুরের ইন্দ্রাণী

আরও পড়ুন: আজ জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিবস

তবে, তাঁর চলার পথ কখনই সহজ ছিল না ৷ চিকিৎসক হওয়ার লড়াইয়ে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর দুরারোগ্য ব্যাধি ৷ মাঝে এমনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যখন পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পরিস্থিতি চলে আসে ৷ কিন্তু, সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে বর্তমানে নিজের স্বপ্নপূরণের অনেক কাছে ইন্দ্রাণী বিশ্বাস ৷ আর তাঁর এই লড়াইয়ে সর্বদা পাশে পেয়েছিলেন বাবা, মা ও ভাইকে ৷ আজ ইন্দ্রাণী তাঁর মতো এবং সুস্থ জীবনযাপন করছেন এমন বহু মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.