ইন্দাস (বাঁকুড়া), 14 মার্চ: রাস্তা পাকা করা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা ৷ কাঁচা রাস্তা পাকা না-হলেও রাস্তার সামনে একটি বোর্ড টাঙানো হয়েছে ৷ তাতে রাস্তা তৈরির বিস্তারিত বিবরণ লেখা আছে ৷ এই বোর্ড লাগানো নিয়ে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে ৷ ঘটনাটি বাঁকুড়ার ইন্দাসের ৷ সেখানে আকুই 1 নং গ্রামপঞ্চায়েতে মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে অর্থাৎ, 100 দিনের কাজের আওতায় রাস্তাটি পাকা করার কথা ৷ এই সংক্রান্ত বোর্ড লাগিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ৷ কিন্তু রাস্তার অবস্থা যেমন ছিল তেমনই রয়েছে ৷ লাল কাঁচা মাটির রাস্তা দিয়ে চলছে টোটো-বাইক-মানুষ ৷ এ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা (Controversy over BJP MLA Social Media Post over road construction sign board in Indas Bankura) ৷
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, "আকুই 1 নং পঞ্চায়েতের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের আবাস দুর্নীতির পর আজ আবার আকুই 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প বা 100 দিনের কাজে নির্মিত আকুই দক্ষিণ পাড়া যে ঢালাই রাস্তাটি হওয়ার কথা ছিল তার কোনো কাজ না-করেই তার সাইনবোর্ড বসিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছে শাসক দল তথা তৃণমূল ৷" আর স্থানীয় বিধায়কের এই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷
তৃণমূল পরিচালিত আকুই-1 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীনবন্ধু নন্দী রাস্তা না-হওয়ার দায় কেন্দ্রের উপর চাপান ৷ তিনি বলেন, "কোনটা স্কিম আর কোনটা জিও ট্যাগ- তা মানুষের কাছে পৌঁছয় না ৷ এই পরিকল্পনাগুলি জিও ট্যাগিংয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ৷" বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, "একটা জবকার্ডের টাকা কেন্দ্র এখনও দেয়নি ৷ আমরা রাস্তার অবস্থা খতিয়ে দেখেছি, মাপজোক করেছি ৷ বোর্ড পর্যন্ত টাঙিয়েছি ৷ কেন্দ্র আমাদের টাকা পাঠালে, আমরা কাজ শুরু করে দেব ৷" তাঁর দাবি, প্রায় 4 লক্ষ টাকা প্রয়োজন ৷
আরও পড়ুন: রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে মন্ত্রী মনোজের কনভয় আটকাল শিবপুরের মানুষ
ইন্দাস ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ বলেন, "কীভাবে কাজ হয়, সেই ধারণা নেই বিজেপি বিধায়কের ৷ তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন ৷ তিনি খোঁজখবর রাখেন না ৷ আমি বিধায়ককে বলব, আপনি একটা মামলা করুন ৷ তদন্ত হোক ৷" রাস্তা হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, "রাস্তা হবে বলে টেন্ডার হয়েছিল ৷ কিন্তু 100 দিনের কাজের টাকায় টান পড়ল, তখন বিডিও অফিস থেকে বারণ করেছিল যেন রাস্তা না হয় ৷" সাইনবোর্ড প্রসঙ্গে শেখ হামিদের দাবি, "রাস্তার কাজ শুরুর আগে বোর্ড পড়ে ৷ রাস্তা শুরুর পর অথবা শেষ হলে বোর্ড লাগানো হয় না ৷ এই রাস্তার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি ৷ তাই এজেন্সিরা হয়তো কাজটা করেনি ৷ ফান্ডিং নিয়ে সমস্যা ছিল ৷" তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিজেপি বিধায়ককে বিডিও'র কাছে অভিযোগ জানানো এবং মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন ৷