আগরা, 16 জানুয়ারি: আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ পরিণতি হল এক যুবকের দেহের ৷ জানা গিয়েছে, সোমবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত একাধিক গাড়ি যুবকটির দেহের উপর দিয়ে গিয়েছে ৷ এর ফলে 500 মিটার এলাকা পর্যন্ত দেহের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে ৷ আজ সকালে ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ বেলচা দিয়ে দেহের ছোট ছোট টুকরো রাস্তা থেকে তুলেছে ৷
ফতেহবাগ জেলার পুলিশ সুপার গিরিশ কুমার জানিয়েছেন, যুবকের মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি ৷ তবে, সোমবার রাতে তাঁর দেহ আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের উপর প্রথম দেখা যায় ৷ কিন্তু, কোনও যানবাহন সেই দেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়নি ৷ বরং ছোট-বড় বিভিন্ন গাড়ি একের পর এক যুবকের দেহ পিষে দিয়ে চলে যায় ৷ এর ফলে দেহ টুকরো টুকরো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ৷ প্রায় পাঁচশো মিটার পর্যন্ত সেগুলি ছড়িয়ে পড়ে ৷ এমনকি যেখানে দেহটি প্রথমে পড়েছিল, সেখানে রাস্তার সঙ্গে দেহের অংশ মিশে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে বেলচা দিয়ে চেঁচে দেহ তুলতে হয়েছে পুলিশকে ৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কীভাবে ওই যুবকের দেহ সেখানে এল ? পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্তে দু’টি কারণ অনুমান করছে ৷ প্রথম কারণ, কেউ বা কারা যুবককে হত্যা করে দেহ এক্সপ্রেসওয়েতে ফেলে দিয়ে যেতে পারে ৷ যাতে বড় গাড়ির নিচে দেহটি এসে থেঁতলে যায় ৷ আর তা না হলে, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ কারণ, যুবকের দেহের আশেপাশে বা দূরে কোনও গাড়ি উদ্ধার হয়নি ৷ তবে, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হেঁটে চলাচল করা অসম্ভব ৷ ফলে পুলিশের অনুমান ওই যুবককে মেরে কেউ ফেলে দিয়েছে এক্সপ্রেসওয়েতে বা চলন্ত গাড়ি থেকেও তাঁকে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে ৷
তবে, পুলিশের তরফে সবরকম দিকই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে ৷ তবে, পুলিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যুবকের পরিচয় খুঁজে বের করা ৷ এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷ কারণ, যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে, এক্সপ্রেসওয়ের সেই অংশ দিয়ে পুলিশের 6টি টহলদারি গাড়ি রাতভর ঘোরে ৷ ফলে সেই গাড়ির নজর কীভাবে এড়িয়ে গেল ? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি ৷
আরও পড়ুন: