কলকাতা, 1 মে:তাঁর প্রশংসা করার জন্য বুধবার কুণাল ঘোষকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পথ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এরপর তা নিয়েই সরব হলেন খোদ তাপস রায়। এই ঘটনাকে সংকীর্ণতার রাজনীতি বলছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এদিন একটা রক্তদান শিবিরে একই মঞ্চে দেখা যায় কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায়কে। কুণাল ঘোষ সেখানে বিজেপি প্রার্থীর প্রশংসা করেন। তারপরই রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ নিয়ে সরব হন তাপস রায় স্বয়ং। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "যেখানে আমি গিয়েছিলাম সকালে, তা আমার পুরোনো নির্বাচনী ক্ষেত্র। একটি ক্লাবের অনুষ্ঠান বিদ্যাসাগর কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত বেচু চ্যাটার্জি স্ট্রিটে অগ্নিবীণা ক্লাবে প্রতিবছর আমি যাই। কাকে ওরা নিমন্ত্রণ করবে এবং করবে না, সেটা তো আমি ঠিক করে দিতে পারি না। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই ছিল। কংগ্রেস এবং বিজেপিরও ছিল। খোঁজ নিলে দেখা যাবে আরও অন্য দলেরও অনেকে ছিল সেখানে। এর মধ্যে আমার সঙ্গে থাকার জন্য কুণালের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলও ৷ এটা রাজনৈতিক সংকীর্ণতা।"
তিনি বলেন, "গণতন্ত্রের কথা বলব সৌজন্যের কথা বলব তবে সত্য কথাটা বলা যাবে না। ওখানে যে কথাটি বলেছিল, তার মানে গত পুরসভা নির্বাচনে তো রিগিং হয়েছে। তাহলে এই সংখ্যার পুরো প্রতিনিধি যাওয়ার কথা নাকি! হোক না এখন আবার নির্বাচন। গত লোকসভা নির্বাচনে আমি ছিলাম না ৷ তাই আমি জানি না। তবে গত ৫৬ দিনে যা যা খবর পেয়েছি, প্রি পোল, পোস্ট পোল-যা নয় তাই হয়েছে। ভায়োলেন্স, ঢালাও প্রক্সি-এগুলি এবার আর হবে না। গণতন্ত্রের কথা বলব মুখে আর পুলিশের সাহায্য নিয়ে কাউন্সিলার হবে, এমএলএ হবে, এমপি হবে-এটা চলতে পারে না। মানুষ যাকে চাইবে সে যাবে। এই কথা কুণাল বলেছে। কুণাল তো ওর দলের কথাও বারবার বলেছে। আমার তো সে রকম কিছু মনে হয়নি। আমার উপস্থিতিতে যদি অন্য কারও প্রশংসা করা হতো, তাতে তো আমার কিছু যায় আসতো না। মূলত, এখানে সংকীর্ণতাকেই প্রমোট করা হচ্ছে।"
এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক হাত নিয়েছেন তাপস রায়। তার নাম না-করে তিনি বলেন, "আরও একবার কান্নাকাটি করেছেন। ঠিক যেভাবে আমি সভাপতি হলে কান্নাকাটি করে প্রেসিডেন্ট পদ ফেরত পেয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কান্নাকাটি করেছেন। মেসেজ করেছেন। কিন্তু জানতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্তু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তখন তিনি অনেক অকথা-কুকথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বলেছিলেন। অন্য কেউ বললে তো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। কেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। উত্তর কলকাতায় এরকম ভুড়ি ভুড়ি সুদীপ বিরোধী নেতা। কতজনকে তাড়ানো হবে?"
আরও পড়ুন:
- বিজেপির তাপস রায়ের প্রশংসার পরই কুণাল ঘোষকে ‘শাস্তি’ তৃণমূল কংগ্রেসের
- আমার মুখে লাগাম পরানোয় আনন্দিত বিরোধীরা, ক্ষুব্ধ কুণাল; কুইজমাস্টার তকমা ডেরেককে