হায়দরাবাদ, 21 এপ্রিল: লাইভ খবর পড়তে পড়তে স্টুডিয়োতে জ্ঞান হারালেন সঞ্চালিকা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার দূরদর্শন কেন্দ্রে ৷ সঞ্চালিকার নাম লোপামুদ্রা সিনহা ৷ পরবর্তী সময়ে তিনি নিজেই ফেসবুক পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেন ৷ মূলত, সঞ্চালিকা লোপামুদ্রা 19 তারিখ একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন ৷ সেখানে দূরদর্শন কেন্দ্রে খবর পড়ার সময় ঠিক কী হয়েছিল, সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেন ৷
ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিনি বাংলায় তাপপ্রবাহের খবর সঞ্চালনা করছিলেন ৷ এরপর খবর পড়তে পড়তে ক্রমশ তাঁর গলা ধরা আসতে থাকে ৷ ভিডিয়ো দেখে বোঝাই যাচ্ছিল টেলিপ্রম্পটার পড়তে অসুবিধা হচ্ছিল সঞ্চালিকার ৷ এরপরেই দেখা যায়, তিনি চেয়ারে বসেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন ৷ স্টুডিয়োতে সঙ্গে সঙ্গে আসেন তাঁর সহকর্মীরা ৷ চোখে-মুখে জল দিতে থাকেন ৷ কেউ কেউ হাওয়া করতে থাকেন ৷ বেশ কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান আসে সঞ্চালিকার ৷
এই ঘটনাটি ঘটেছে 18 এপ্রিল সকাল সাড়ে 8টা নাগাদ৷ শুক্রবার সঞ্চালিকা লোপামুদ্রা 14 মিনিটের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন ৷ সেখানে অজ্ঞান হওয়ার ভিডিয়ো তুলে ধরে তিনি বলেন, "মারাত্মক গরমে ব্লাড প্রেশার কমে গিয়েছিল ৷ লাইভ খবর পড়ার সময় আমি জ্ঞান হারাই ৷ তার আগে থেকেই শরীরটা খারাপ হচ্ছে বুঝতে পারছিলাম ৷ মনে হচ্ছিল একটু জল খেয়ে নিলে ঠিক হবে ৷ বুলেটিন তখনও 15 মিনিট বাকি ৷ এরপর যখন স্ক্রিনে ছবি চলছিল আমি ইশারায় ফ্লোর ম্যানেজারের কাছ থেকে জলের বোতল চাই ৷ একটু জল খেয়ে বাকি খবর পড়তে থাকি ৷ তার মধ্যেই ছিল তাপপ্রবাহের খবর ৷ সেটা পড়তে পড়তে আমার কথাটা জড়িয়ে যাচ্ছিল ৷"
তিনি আরও বলেন, "তখনও নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছিলাম ৷ এরপর চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করি ৷ এরপরে যে চেয়ারে বসে ছিলাম সেখানে উলটে পড়ে যাই ৷ প্যানেলে বুলেটিন প্রোডিউসার থেকে বাকিরা স্টুডিয়োয় আসেন ৷ চোখে-মুখে জল দেন ৷ ওআরএসের জল খাই ৷ চিকিৎসকের কাছে যাই ৷ সেখানে প্রেশার মেপে দেখা যায় 105/65 ৷ যখন আমি পড়ে গিয়েছিলাম তখন ব্লাড প্রেশার আরও কম ছিল ৷ এখন আমি সুস্থ আছি ৷" এরপর তিনি সকলের উদ্দেশ্যে সচেতনার বার্তা দেন ৷ গাছ লাগানোর কথা বলেন ৷ এখন অস্বাভাবিক গরম পড়েছে ৷ কলকাতার মানুষ এই গরমে অভ্যস্ত নয় ৷ গাছ লাগিয়ে পরিবেশ শীতল করার অনুরোধ জানান সঞ্চালিকা লোপামুদ্রা সিনহা৷