হায়দরাবাদ: কোলেস্টেরল রক্তে থাকা এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা সেল মেমব্রেনে পাওয়া যায় এবং যা রক্তে পরিবাহিত হয় । স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সেল মেমব্রেনের এটি একটি অত্যাবশ্যক উপাদান । ডিম কীভাবে খাবেন, জানালেন পুষ্টিবিদ ৷
ডিমের হলুদ অংশে সবচেয়ে বেশি ফ্যাট থাকে ৷ কিন্তু হাই ইউরিক অ্যসিড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিমের হলুদ অংশ বা কুসুম খান না অনেকে ৷ কিন্তু পুষ্টিবিদের মতে, এটি তালিকা থেকে একেবারে বাদ দেওয়াও উচিত নয় ৷ তাহলে সপ্তাহে কটা খাওয়া যায় ?
ডঃ সুচরিতা সেনগুপ্তর মতে, ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকলেও সেটি খাওয়ায় কোনও বিধিনিষেধ থাকে না ৷ ডিম খাব কী খাব না, সেটা ভাবার একটা মাত্র কারণ ডিমের হলুদ অংশ ৷ ডিমের কুসুম যদি সপ্তাহে 2 দিন খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব একটা বাড়াবে না ৷
যদি কারও কোলেস্টেরল বেশি থাকে বা তাঁর যদি ট্রাইগ্লিসারাইট বেশি থাকে বা এইচ ডি এল কম, এল ডি এল বেশি এইসব সমস্যায় যদি থাকেন, তাহলে সেই ব্যক্তিরা ডিমের সাদা অংশ রোজ খেতে পারেন ৷ তবে ডিমের ভিতরের অংশ অর্থাৎ কুসুমটা সপ্তাহে 2 দিন খাওয়াই ভালো, তার বেশি নয় ৷ এছাড়াও কারও যদি খারাপ কোলেস্টেরল না থাকে তাহলে তিনি একদিন ছাড়া ছাড়া ডিম খেতেই পারেন ৷ তাতে কোনও অসুবিধা নেই ৷ ডিমের হলুদ অংশে প্রচুর পরিমাণে 'গুড ফ্যাট' থাকে ৷ এছাড়াও চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন এ, ডি, কে, ই যেগুলি শরীরের মধ্যে ফ্যাট শোষণ করতে সাহায্য করে ৷ এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, ডিমের কুসুমে ফ্যাট আছে বলে এটা খারাপ ৷ কুসুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় ৷ যাঁরা অপুষ্টির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্যও খুবই উপকারী এই কুসুম ৷ ফলে যাদের এইরকম কোনও সমস্যা আছে, তারা সপ্তাহে 2 দিন গোটা ডিম খেতেই পারেন ৷ যাদের এরকম কোনও সমস্যা নেই, তারা একদিন ছাড়া ছাড়া গোটা ডিম বা কুসুম খেতে পারেন ৷ শরীরের উপকারে সব সময় সেদ্ধ ডিম খাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ ডঃ সুচরিতা সেনগুপ্ত ৷
যারা উচ্চ কোলেস্টেরেলেরসমস্যায় ভুগছেন তারা যদি ব্রেকফাস্টে পাতে ডিম রাখেন, তাহলে তার সঙ্গে আর কী খাওয়া যেতে পারে ?
ডঃ সেনগুপ্ত জানান, ডিম হল পুরো প্রোটিন ও ফ্যাটের অংশ ৷ যেহেতু এতে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইট আছে তাই কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও অনেক বেশি ৷ মনে রাখতে হবে, শরীরের জন্য ফাইবারও প্রয়োজন ৷ তাই সে ক্ষেত্রে ব্রেকফাস্টে ডিমের সঙ্গে ওটস রাখলে খুব ভালো হয় ৷ যদি পাতে আটার রুটি রাখা যায়, তাহলেও তা শরীরের জন্য উপকারী ৷ সাদা ব্রেডও যেহেতু ময়দার তৈরি ও ব্রাউন ব্রেডের মধ্যেও যেহেতু ফুড কালার যোগ করা হয়, তাই ব্রেডের বদলে হাত রুটিই বেশি উপকারী ৷
আরও পড়ুন:
- শুধু ট্যাবলেট নয়, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধে আরও অনেক উপায় রয়েছে
- ডায়েট করে ভাবছেন বাটার খাবেন কি না ? জেনে নিন পুষ্টিবিদের মতামত
- রান্নায় কোন তেল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? জানালেন ডায়েটিশিয়ান