দেগঙ্গা, 6 সেপ্টেম্বর : দেগঙ্গার ব্যবসায়ী খুনে নয়া মোড় । প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই শওহর মোকাদ্দুস মোল্লাকে খুন করেছিলেন তাঁর বিবি সাবিনা । পুলিশি তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে । যদিও পরিকল্পনা করে সাবিনা ও তাঁর প্রেমিক সুজাউদ্দিন পুলিশকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷
আরও পড়ুন : অনুপম হত্যা মামলা : মনুয়া ও অজিতের যাবজ্জীবন
গতকাল সকালে হাবরার রুদ্রপুর বাগাডাঙা থেকে মোকাদ্দুস খুনের মাস্টারমাইন্ড সাবিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ আগেই হাবরার রুদ্রপুর থেকে সুজাউদ্দিন গ্রেপ্তার হয়েছিল ৷ তাঁকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে পুরো পরিকল্পনা ছিল সাবিনার ৷
আরও পড়ুন : 8 বছর প্রেমের পর বিয়ে, কিন্তু অজিতের সঙ্গে মনুয়ার সম্পর্ক কাড়ল অনুপমের প্রাণ !
5 জুলাই দেগঙ্গার আমুলিয়ার ঝিকুরিয়া এলাকার একটি পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাটি ব্যবসায়ী মোকাদ্দুসের দেহ ৷ তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ পরে সাবিনা অভিযোগ করেন, দেগঙ্গার ব্যবসায়ী সাহেব মণ্ডল তাঁর শওহরকে খুন করেছে ৷ সাহেবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সাহেবকে গ্রেপ্তার করে ৷ তিনি এতদিন জেল হেপাজতে রয়েছেন । অন্যদিকে সাহেবের পরিবার বারবার জানিয়েছিল, ঘটনার সঙ্গে সাহেবের কোনও যোগ নেই । এরপর পুলিশ ফের ঘটনার তদন্ত শুরু করে । আর তাতেই পরদা ফাঁস হয় ৷ ফের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সুজাউদ্দিনের নাম ৷ সুজাউদ্দিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সাবিনার । তাই পাকাপাকিভাবে তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য শওহরকে পথ থেকে সরানোর ছক কষেছিলেন সাবিনা ৷ আর পরিকল্পনামাফিক সুজাউদ্দিন মোকাদ্দুসকে সেদিন দেগঙ্গায় ডেকে খুন করেছিলেন ৷ খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে মৃতদেহ পানাপুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন ৷ তারপর পরিকল্পনামাফিক পুলিশকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করা হয় ৷
আরও পড়ুন : "সুবিচার পেলাম না", কান্নায় ভেঙে পড়লেন অনুপমের মা
এদিকে মিথ্যা অভিযোগে বাবাকে ফাঁসানোর জন্য সাবিনা ও সুজাউদ্দিনের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সাহেবের ছেলে জমিন মণ্ডল ৷
আরও পড়ুন : মনমরা মনুয়া, রাগে ফুঁসছিল অজিত !
এই ঘটনা যেন অনুপম হত্যার ছায়া । প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষে একইভাবে অনুপম সিংকে হত্যা করিয়েছিলেন স্ত্রী মনুয়া । পরে প্রেমিক অজিত ও মনুয়া গ্রেপ্তার হন । তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ।