পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Paddy Cultivation in Rooftop: বাড়ির ছাদে জৈব পদ্ধতিতে ধান চাষ ইলেকট্রনিক্স টেকনিশিয়ানের

জমি নেই বলে চিন্তা করবেন না ৷ এই প্রতিবেদন আপনাকে উৎসাহিত করবে ছাদে ধান চাষ করতে ৷ তাও আবার মিনিকিট ৷

Etv Bharat
ছাদের ধান জমিতে অমল বিশ্বাস

By

Published : Jun 2, 2023, 11:07 PM IST

ছাদে জৈব পদ্ধতিতে ধান চাষ ইলেকট্রনিক্স টেকনিশিয়ানের

দত্তপুকুর, 1 জুন: পেশায় ইলেকট্রনিক্স টেকনিশিয়ান । বাড়ির ছাদে জৈব পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন । তাও আবার উন্নত প্রজাতির মিনিকিট । ইনি হলেন উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুর এলাকার বাসিন্দা অমল বিশ্বাস । আগামী দিনে দেশের কৃষিজাত পণ্য়ে সাফল্য আনতে এই উদ্যোগ দিশা দেখাবে বলেই আশা তাঁর । তবে, এক্ষেত্রে কৃষি দফতরের সহযোগিতা না মেলার আক্ষেপও রয়েছে । তাই তিনি নিজেই বেছে নিয়েছেন অভিনব এই পদ্ধতি । একদিন তাঁর এই প্রতিভাকে প্রশাসন যথাযথ সম্মান দেবে বলেও আশায় বুক বাঁধছেন অমল ।

কৃষিজমিতে ধান কিংবা যে কোনও সবজির চাষ হামেশাই আমরা শুনে থাকি । কিন্তু জমির বদলে বাড়ির ছাদে ধান চাষ সচরাচর দেখা যায় না ৷ অবাক লাগলেও বাস্তবে সেটাই করে দেখিয়েছেন দত্তপুকুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা অমল বিশ্বাস । বাড়ির একতলার 800 স্কোয়ার ফুট ছাদে প্রায় একহাজার ধানের বীজ ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে । তাও আবার ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতলে । এক্ষেত্রে কোনওরকম কৃত্রিম সার প্রয়োগ করেননি তিনি । যা করেছেন তা সম্পূর্ণটাই জৈবসারের মাধ্যমে । অর্থাৎ আলু, কলা, আমের খোসা এবং ভাতের ফ‍্যান দিয়ে পরিবেশবান্ধব জৈব সার প্রয়োগ করে এই ধান চাষ করেছেন অমলবাবু ।

বাড়ির ছাদে প্লাসটিকের বোতলে ধান গাছ

একদিকে অভিনব পদ্ধতিতে ধান চাষ করে সাফল্য । অন‍্যদিকে প্লাসটিকের মতো ক্ষতিকারক বস্তুকে এভাবে চাষের কাজে লাগিয়ে পরিবেশরক্ষার বার্তাও দিতে চেয়েছেন বছর পঞ্চাশের এই ব‍্যক্তি ৷ মাস ছ'য়েক আগে তাঁর মাথায় প্রথম আসে এমন পরিকল্পনা । এর পিছনে অবশ্য কারণও রয়েছে । যেভাবে বসতবাড়ির ঠেলায় দিনদিন কৃষি জমি হারিয়ে যেতে বসেছে । তার জেরে কমে যাচ্ছে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদনও । ফলে, ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে কৃষিজাত পণ্য । এই কথা চিন্তা করেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন পেশায় ইলেকট্রনিক্স টেকনিশিয়ান অমল বিশ্বাস ।

আরও পড়ুন : পাঁকে নয়, খোলা ছাদে পদ্ম ফুটিয়ে তাক লাগালেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া

এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য,"এই পদ্ধতিতে চাষ করলে খরচ খুবই কম । আয়ও হবে বেশি । বছরে চারবার ধানের ফলন পাওয়া যাবে । প্রতি বছর এক টন করে অর্থাৎ চার টন ধান মিলবে । আমি শুধু চেয়েছি, বেকার সমস্যা সমাধান হোক । সুযোগ তৈরি হোক কর্মসংস্থানের । এই পদ্ধতি মেনে কোনও চাষ করা হলে তার সুফল মিলবেই । এটা আমি হলফ করে বলতে পারি । যে কোনও পরিবার স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারবে । এই নিয়ে প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা মেলেনি । তবে ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা রয়েছে । দেশের খাদ্য সমস্যা দূর করাই মূল উদ্দেশ্য আমার ।"



এদিকে প্রশাসন এখনও কৃতিত্ব না দিলেও অমল বিশ্বাসের এই অভিনব প্রতিভায় মুগ্ধ প্রতিবেশীরা । মিতা মাঝি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়,"ওনার কৃতিত্বকে সম্মান দেওয়া উচিত প্রশাসনের । তা হলে আমরাও এই ধরনের চাষে উৎসাহ পেতে পারি । উনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য । এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে চাষিরাও ।"
যদিও বিষয়টি জানার পরও এনিয়ে ইটিভি ভারতের সামনে মুখ খুলতে চাননি জেলা কৃষি দফতরের কোনও আধিকারিক ।

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details