গড়বেতা, 28 অগাস্ট : পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত CPI(M)-এর দুই নেতা ৷ বুধবার জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তিন মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবরাম পণ্ডিতের বিরুদ্ধে ৷ এরপর 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই CPI(M) নেতাদের উপর ফের হামালর অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ গড়বেতার 1 নম্বর ব্লকের উত্তরবিল এলাকার ঘটনা ৷
আক্রান্ত CPI(M) নেতা তপন ঘোষ ও দিবাকর ভুঁইঞা জানান, এলাকার প্রাক্তন দলীয় সভাপতি রঞ্জিত দে দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে দেখতেই যাচ্ছিলেন তাঁরা ৷ অভিযোগ, ফেরার পথে তাঁদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় ৷
গড়বেতায় CPI(M) নেতাদের উপর হামলার অভিযোগ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় গড়বেতা থানার পুলিশ ৷ কিন্তু আক্রান্ত CPI(M) নেতাদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেও মারধর করতে ছাড়েনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ পরে তাঁদের উদ্ধার করে গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তপনবাবু বলেন, "তৃণমূল আশ্রিত সমাজ বিরোধীরা মারধর করেছে ৷ কামারবাজার থেকে ফেরার পথে অতর্কিতে আমাদের গাড়ি ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা ৷ রড, লাঠি দিয়ে মারধর করে ৷ বলে এটা তৃণমূলের এলাকা ৷ এখানে তোমরা ঢুকলে কেন ৷ পাথর ছুড়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দেয় ৷ সামনেই ফাঁড়ি কিন্তু পুলিশকে ফোন করা সত্ত্বেও প্রায় একঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থানে আসে ৷" দিবাকরবাবু বলেন, "সাপ, গোরু, ছাগলকে যেমনভাবে মারধর করে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেভাবে আমাদের মারধর করেছে ৷ "
যদিও গড়বেতার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই ৷ এলাকার মানুষ ওদের মারধর করেছে ৷ কারণ বামফ্রন্ট আমলে ছোটো আঙারিয়া, দাসের বাঁধ এলাকায় 16 জন খুন হয়েছিল ৷ তাঁদের দেহ পাওয়া যায়নি ৷ তাঁদের পরিজনরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷