ডোমকল ও আসানসোল, 10 জুন:পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে দ্বিতীয়দিনও অশান্তি অব্যাহত ৷ শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে ৷ আর ওইদিনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীর ৷ আর দ্বিতীয়দিনও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না ৷ মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবেদের ডোমকল এবং আসানসোলের বারাবনি এলাকা ৷ জমি ছাড়তে নারাজ দু'পক্ষই। যার জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দুই এলাকা ৷ আর ডোমকলে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লার কোমর থেকে পিস্তল বের করে নিতে দেখা গেল পুলিশ অফিসারকে ৷ আর যা নিয়ে ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ৷
শনিবার মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আসানসোলের বারাবনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থীদের কাছ থেকে ডিসিআর ফর্ম ছিনিয়ে নেওয়া হয় ৷ তবে এদিন অশান্তি যে ছড়াতে পারে তার আঁচ আগে থেকেই মিলেছিল। এদিন সিপিএমের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই বাধার মুখে পড়ে সিপিএমও পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বারাবনি ব্লক অফিসে।
অন্যদিকে, শুক্রবার খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুনের পর মুর্শিদাবাদে এই মুহূর্তে সব এলাকাই কার্যত স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। নির্বাচন ঘোষণার পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ডোমকল ব্লকের ইসলামপুর। শুক্রবারের পর অশান্তির চেহারা আরও বড় আকার ধারণ করে শনিবার। অভিযোগ, সিপিএম কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। শাসক দলের কর্মীরা রীতিমতো কিল-ঘুষি মারতে থাকে বলেও অভিযোগ ৷ এমনকী ব্লক অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সিপিএম কর্মীদের ৷ কোনওরকমে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। তবে পালটা সেখানেও ঘুরে দাঁড়ায় সিপিএম কর্মীরা ৷ শুরু হয় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ ৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায় ৷ আর সেই উত্তেজনার অবস্থাতেই খোদ তৃণমূল নেতার কোমড় থেকে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র ৷ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ওই নেতাকে ৷