হুগলি, 19 জুন: হুগলির ভদ্রেশ্বরের দিল্লি রোডে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। প্রতিবাদে সাড়ে তিন ঘণ্টা দেহ আটকে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। বিক্ষোভের জেরে দিল্লি রোডের আপ লেন পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে যায়। মৃত মহিলাদের নাম তাপসী রুই দাস (45) সুপ্রিয়া রুই দাস(40)। সিঙ্গুর থানার ন'পাড়া রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন ওই দুই মহিলা।
জানা গিয়েছে, তাপসী ও সুপ্রিয়া মুড়ি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় ভদ্রেশ্বর থানার শ্বেতপুর বাগডাঙ্গা এলাকার দিল্লি রোডের পাশে একটি মুড়ি কারখানা থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময় প্রচণ্ড গতিতে আসা একটি মারুতি গাড়ি তাঁদের সজোরে ধাক্কা মারে ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। এরপরই দেহ ঘিরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, গর্জি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি চেক করছিল। প্রতিদিনই সেখানে গাড়ি ধরপাকড় করে পুলিশ। মারুতি গাড়িটি সেখানে না দাঁড়িয়ে সজোরে চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই এই দুর্ঘটনা।
ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি চেক করার নামে টাকা তোলে বলেও অভিযোগ। তার ফলেই দুর্ঘটনা। শ্বেতপুর মোড়ে ট্রাফিক কিয়স্ক আছে ৷ সেখানেও ঠিকমত ডিউটি করে না ট্রাফিক পুলিশ, অভিযোগ স্থানীয়দের। মৃতদের ক্ষতিপূরনের দাবিতে দিল্লী রোড অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ চলতে থাকে। দুই মহিলার সেভাবে আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। সুপ্রিয়ার স্বামী নেই। তিন মেয়েকে নিয়ে মুড়ির কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতেন। তাঁর মৃত্যুতে সমস্যায় পড়বে পরিবার। এর আগে বেশ কয়েকবার এই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু রুইদাস অভিযোগ করে বলেন, "পুলিশ এই এলাকায় গাড়ি আটকে টাকা তোলে ৷ অনেক গাড়ি পালানোর চেষ্টা করে ৷ যার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে ৷ পুলিশকে বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি ৷"
আরও পড়ুন: বাইক চালককে 100 মিটার টেনে নিয়ে গেল গাড়ি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু যুবকের
গত মাসে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে দিল্লি রোডে ডাম্পারের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এলাকা। সোমবারও দুর্ঘটনার পর ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মৃতদেহ তুলতে বাধা দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ পর স্থানীয় মানুষকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ৷